শিরোনাম

প্রকাশিত : ১৩ মে, ২০২২, ১২:৫২ রাত
আপডেট : ১৩ মে, ২০২২, ১২:৫২ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মো. গোলাম সারোয়ার: দেশটা নষ্ট হয়ে গেলে কোথায় যাবেন?

মো. গোলাম সারোয়ার: ইলেকশন কমিশনে গিয়েছিলাম আগারগাঁও। দুপুরে প্রচণ্ড বৃষ্টি। ডিডি খিচুড়ি খাইয়েছেন। আমি সাধারণত বিরিয়ানি, খিচুড়ি খাই না। আমি মোটা চালের লোক। আমার রক্তে কালামোডা, রাজাইল চালের ভাতের নির্যাস। তবুও সভ্যতায় চলতে গেলে সময়ে সময়ে ধনীর খাদ্য খেতে হয়। খিচুড়ির জন্য লিখছি না। লিখছি কমিশনের কাজের গতি দেখে। একটি কাজ করতে তারা সময় নিলো মাত্র বার মিনিট। আমি সত্যি আপ্লুত। বার মিনিটে কাজ শেষ করে আনন্দে আমি আড়াই ঘণ্টা আড্ডা দিলাম ডিডির সাথে। 

যে কাজটি করতে বছর পাঁচেক আগে অন্তত তিনদিন ছুটি নিয়ে গ্রামের বাড়ি গিয়ে প্রচুর খবচ করে অনেক হয়রানির শিকার হয়ে সম্পন্ন করার পরেও ফলাফল পেতে সময় লাগতো ছয় মাস, তা হলো বার মিনিটে! সত্যি বার মিনিট। হয়তো পরিচিতি কানেকশন অনুঘটক হিসেবে কাজ দিতে পারে। তবুও বার মিনিটে এই কাজ করতে রাষ্ট্রীয় পলিসি সাপোর্ট ছাড়া সম্ভব হতো না, যদি আপনি ডিজির লোকও হয়ে থাকেন। 

এই হলো ডিজিটাল পৃথিবী। প্রথম প্রথম যখন ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নের কথা বলা হতো, অনেকে হাসতো। অনেকে ব্যঙ্গ করতো। আজ সবাই সে সুবিধা গ্রহণ করছে। প্রযুক্তি কিংবা জ্ঞানকে তুচ্ছ করা ঠিক নয়। আপনি হয়তো কোনো দলীয় সরকারকে সমর্থন করেন না। কিন্তু রাষ্ট্রের যা কিছু অর্জন তার মালিক আপনিও। সরকার ভিন্ন ভিন্ন দলের হতে পারে কিন্তু এই দেশ আপনার, আমার, সবার। দেশের পক্ষে থাকুন। দেশটাকে ভালোবাসুন। দেশটা নষ্ট হয়ে গেলে কোথায় যাবেন? ফেসবুক থেকে 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়