শিরোনাম

প্রকাশিত : ১৩ মে, ২০২২, ১২:৪২ রাত
আপডেট : ১৩ মে, ২০২২, ১১:০৪ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

এ বি এম কামরুল হাসান: ‘বিশেষ প্রয়োজনের’ ফাঁকফোকর দিয়ে জনস্বার্থ যেন উপেক্ষিত না হয়

এ বি এম কামরুল হাসান: বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিদেশ সফরে যেতে পারবেন না। প্রধানমন্ত্রী এরকম একটা নির্দেশনা দিয়েছেন। খুব ভালো কথা। বিশেষ প্রয়োজনের সংজ্ঞা কী? বিশেষ প্রয়োজন মানে নিজের প্রয়োজন? নাকি দেশ ও জনগণের প্রয়োজন? করোনার প্রকোপের সময় যে সব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী বিদেশ সফরে গেছেন, তাঁরাই দেশপ্রেমিক। তাঁরাই দেশ ও জনগণের কথা ভাবেন। আছেন এমন কেউ? করোনাতে বাংলাদেশে মারা গেছে প্রায় ত্রিশ হাজার মানুষ। বৈশ্বিক সংখ্যার হিসাবে এ সংখ্যা খুবই কম। কিন্তু যেখানে বেশি মারা গেছে যেমন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল, ফ্রান্স, জার্মানি, চীন এসব দেশে আমাদের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কী যেতে পারতেন না? সেটাও তো ‘বিশেষ প্রয়োজন’ ছিল, জনস্বার্থে। ওহ উড়োজাহাজ বন্ধ ছিল? নিদেনপক্ষে ভারতেও তো যেতে পারতেন।

সড়কপথে, সেখানে মারা গেছে প্রায় সোয়া পাঁচ লক্ষ। সরেজমিনে দেখতেন কেন মারা যাচ্ছে, পরিকল্পনায় কী ভুল তাদের? ভ্রমণপিপাসু সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সে অভিজ্ঞতা দেশে এসে কাজে লাগাতে পারতেন। তাতে দেশে করোনাজনিত মৃত্যুর হারও কমতো। করোনা নিয়ন্ত্রিত হত আরও আগে, ক্ষয় ক্ষতি কম হত। করোনাকালের সে বিদেশ সফরে জনস্বার্থ ছিল। সেটাতেই ছিল ‘বিশেষ প্রয়োজন’। কিন্তু ভ্রমণপিপাসু সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সে সময়ে বিদেশ সফরে কোনো আগ্রহ দেখা যায়নি। সে সময়ে জনস্বার্থ হয়েছে উপেক্ষিত। করোনা চলে যাবার সাথে সাথে সেই উপেক্ষিত জনস্বার্থ পুষিয়ে নিতে সবাই আবার ঝাঁপিয়ে পড়ছেন। কিন্তু এবার বাঁধ সাধলেন প্রধানমন্ত্রী। এখন খেয়াল রাখা প্রয়োজন, ‘বিশেষ প্রয়োজনের’ ফাঁক-ফোকর দিয়ে জনস্বার্থ যেন আবারও উপেক্ষিত না হয়।
লেখক: প্রবাসী চিকিৎসক, কলামিস্ট 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়