ফারুক আহমেদ, ফেসবুক থেকে: আমার এক বন্ধু, টুকটাক লেখালেখি করে। দিনকয়েক আগে হঠাৎ গেলাম তার বাসায়। দেখি ড্রইংরুমের এক কোণায় বসে সে কি যেন লেখালেখি করছে। আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম, কি লিখছিস? সে বললো, বই। আমি উৎসাহ নিয়ে তাকে আবার জিজ্ঞাসা করলাম, কিসের বই? উপন্যাস? নাকি কবিতার? সে বললো, না উপন্যাসও না কবিতাও না। আমি অবাক হয়ে বন্ধুকে পুনরায় জিজ্ঞাসা করলাম, তাহলে কিসের বই? সে বললো, আমার বইয়ের নাম "আধুনিক গালি শিক্ষা"। তার বইয়ের নাম শুনে আমার মাথা চক্কর দিয়ে উঠলো। আমি দ্রুত তার পাশের চেয়ারে বসে পড়লাম। তারপর বললাম, আধুনিক গালি শিক্ষা? মানে কি? সে বললো, মানে অতি সহজ। বর্তমান সময়ে নাটক সিনেমার সংলাপে যে পরিমাণ গালি ব্যবহার হচ্ছে, আমার ধারণা তাতে এক সময় গালির স্বল্পতা দেখা দিবে। ফলে বাধ্য হয়ে নাটক সিনেমায় একই গালি বারবার ব্যবহার করতে হবে। আর একই গালি বারবার ব্যবহারের কারণে দর্শকরাও বিরক্ত হবে। তাই দর্শকদের কথা বিবেচনা করে আমি নতুন এবং মানসম্মত আধুনিক কিছু গালি লেখার চেষ্টা করছি। তুই শুনে খুশি হবি যে, আমি বিলুপ্তপ্রায় গালিও পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছি এবং ইতিমধ্যে প্রায় দেড়শ গালি পুনরুদ্ধার করেছি। আমি মনে করি এই বইটি নাট্যকার ও অভিনেতাদের অনেক উপকারে আসবে। তারা অতি সাচ্ছন্দ্যের সাথে সংলাপে নতুন নতুন গালি ব্যবহার করতে পারবে এবং দর্শকরাও নাটক সিনেমায় নতুন গালি শুনে আনন্দ পাবে। আমি আমার বন্ধুর গালি বিষয়ে দীর্ঘ বক্তৃতা শুনে হতবাক।
ফারুক আহমেদ: অভিনেতা
আপনার মতামত লিখুন :