অপরাহ্ণ সুসমিতো: [১] স্ত্রী যখন টেলিভিশনে গান করে, আমি ২ ঘণ্টা আগে থেকে টেলিভিশন খুলে বসে থাকি। 

[২] উনি যখন গান শেষ করেন, আমি অনুষ্ঠানের লিংক শেয়ার করি। একটু পর পর তাকে টেক্সট করে জানাই ক’টা লাইক পড়ল।

 [৩] স্ত্রীর বড় ভাই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সাদা প্যানেলের লোক। বিদেশ থেকে ফেরার সময় আমি এয়ারপোর্টে যাই তাঁর লাগেজ আনার জন্য, তিনি আমাকে সুগন্ধি সাবান উপহার দেন। 

[৪] শ্যালিকার যেদিন বাচ্চা হবে, আমি তার আগের রাত হাসপাতালের কেবিন হেফাজতের মতো পাহারা দিয়েছি। স্ত্রী খুশি হয়ে আমার হাতে কিছু টাকা দিয়ে বললো, তুমি খুব কিউট। এই নাও কিছু টাকা। বাচ্চাটার জন্য একটা সোনার চেইন নিয়ে এসো। বাকিটা তোমার বকশিস। যা খুশি খেয়ো।

[৫] ফেসবুকে আমার প্রিয় এক বান্ধবী আছেন, ভবতারিণী নাম। প্রায়ই আমাকে আদর করে সুইট বলদ বলে ডাকে।

[৬] বিয়ের পর আমি একবার মিনমিন করে শ্বশুরের কাছ থেকে কিছু টাকা আনতে বলেছিলাম। বউ জবাবে যা বললো, তা ভয়ংকর। কথাটার সবচেয়ে ভদ্রস্থ রূপ হলো, হাইহিল দিয়ে তোমার এমন জায়গা পিষে দেবো না। আমি চিরজনমের জন্য মুখ সেলাই করেছি। 

[৭] বউয়ের প্রাক্তন প্রেমিক আমাদের বাড়িওয়ালা ও কবি। প্রতি মেলায় আমাকে দৌড়ে দৌড়ে বাড়িয়ালার বই কিনতে হয়। 

[৮] বউ প্রতিদিন রাত ৯টা থেকে ১১.৩০টা পর্যন্ত ফেসবুক করে। তখন তাকে বুয়া ১ কাপ, আমি ১ কাপ চা বানিয়ে দিই। ফেসবুকিং শেষ হলে ড্রেসিং টেবিলের সামনে এসে বলেন তার একটা ছবি তুলে দিতে।

তিনি সেলফি পছন্দ করেন না।

 [৯] রাতে ঘুমাবার আগে আমরা যে দুইটা বই পড়ি, আমি: ১০০ Positions. স্ত্রী: 101 Excuses.

[১০] (বোনাস) সেদিন রাতে ঘুমাচ্ছিলাম, বউয়ের মোবাইলে বিপ শব্দ শুনে ঘুম ভেঙে গেলো। মোবাইল হাতে নিয়ে রেগে বউকে বললাম, কে তোমাকে রাত দুপুরে বিউটিফুল লেখে? স্ত্রী আমার কান টেনে আরও রেগে বলে, চশমা পরো কানা। ওটা বিউটিফুল না ব্যাটারি ফুল।