শিরোনাম
◈ কুষ্টিয়ায় পদ্মার ভাঙনে জাতীয় গ্রিডের টাওয়ার নদীতে বিলীন ◈ ভারতে থাকার মেয়াদ শেষ হচ্ছে, কোন আইনের বলে ভারতে থাকবেন শেখ হাসিনা? ◈ (২০ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার ◈ স্থিতিশীল ডলারের দর, ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভেও ◈ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ‘গ্যারান্টিতে’ নগদ টাকার সংকট কাটছে যে ৫ ব্যাংকের ◈ হত্যাকাণ্ড নিয়ে অপপ্রচার চলছে, জাবিতে কোন কমিটিই নেই : ছাত্রদল ◈ গণপিটুনিতে মৃত্যু: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার দুঃখপ্রকাশ, বৈষম্যবিরোধীদের নিন্দা, ফেসবুকে নানা সমালোচনা ◈ ভারতের গোলা যাচ্ছে ইউক্রেনে, ক্ষুব্ধ রাশিয়া ◈ সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান সুনামগঞ্জে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার গ্রেফতার ◈ মব জাস্টিস শুধু সহিংসতা ও অন্যায় সৃষ্টি করে: সমন্বয়ক হাসনাত

প্রকাশিত : ২৭ এপ্রিল, ২০২২, ০১:৪২ রাত
আপডেট : ২৭ এপ্রিল, ২০২২, ০১:৪২ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

হেলাল মহিউদ্দীন: গরিব মানুষের জন্য টিকে থাকা দোজখের আজাবের মতো হয়ে উঠছে দিনকে দিন

হেলাল মহিউদ্দীন: ২৬০ টাকার কলা কিনে ৯৫ টাকা ভিক্ষুককে দিতে হয়েছে। আমি দানবীর নই। চারপাশে ভিক্ষুক ঘিরে ধরেছিল ভীমরুলের মতো। দশজনের আট জনই বয়স্ক নারী। নয় জনকে ১০টাকা হিসেবে দেবার পর দশম জন ৫টাকার কয়েনটি পেয়ে মন খারাপ করেছিল। বলেছিলামÑ খালা, আর ক্যাশ টাকা নাই। ক্রেডিট কার্ড, বিকাশে, নগদে নিলে বলেন। কথাটি বলে ফেলে অনুতাপ-অনুশোচনা হলো। মনে হলো অসভ্যতা হয়ে গেছে। কিন্তু কী আর করা। কয়েকদিন আগে হাঁটতে বেরিয়ে পথচলতি ৭০ টাকায় একটা লাউ কিনলাম। বাকি ৩০ টাকাই ভিক্ষুককে দিয়ে দিতে হলো। রমজানে ৭০ গুণ সওয়াবের আশায় দিয়েছি তা নয়। ‘মাফ করেন’ বলতে আর একটুও এনার্জিতে কূলায় না। কিন্তু উন্নয়নের ভেতর এতো এতো ভিক্ষুক ঢুকে গেলো কীভাবে? কলা কেনা ও দানপর্ব সেরে বিক্রেতাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, এরা সবাই স্বভাবের ফকির নয় তো? ভিক্ষা ব্যবসা ফেঁদে বসেনি তো? কলাবিক্রেতা বললেন, ‘মনে হয় না স্যার। কয়জনেইবা ভিক্ষা দেওয় বা দেবার সামর্থ্য রাখে? ওরাও সবাইকে ধরে না। সারাদিন দেখি। কাউকে মোটামুটি দেনেওয়ালা মনে হলেই ঝাঁপিয়ে পড়ে। গরিব মানুষের জন্য টিকে থাকা দোজখের আজাবের মতো হয়ে উঠছে দিনকে দিন। 

খরচ এতো বেড়েছে যে ইচ্ছে থাকলেও সন্তান-সন্ততিরা আর বুড়া-বুড়ি বাবা-মাকে দেখা বা ভালো-মন্দ খেতে-পরতে দিতে পারছে না। বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা তাই রাস্তায় নামতে বাধ্য হচ্ছে। অনেকে এমনভাবে বেরোয় যে পরিবার সদস্যরাও জানে না। নিজের দুঃখের কথাও জানালো ফল বিক্রেতা। তিনদিন যাবত স্ত্রীর সঙ্গে মনোমালিন্য, কথা বলাবলি বন্ধ। বৃদ্ধা মা’র জন্য একটা নামাজের শাড়ি একটা পরণের শাড়ি কিনবে, কিন্তু স্ত্রী তা হতে দেবে না। কারণ তাতে বাচ্চাদের স্কুল-খরচ, সমিতির ধারের কিস্তির টাকার নিয়মিত হিসাবে গড়বড় হয়ে যাবে। কে জানে তার অজান্তে আড়ালে-আবডালে বৃদ্ধা মা-ও মানুষের কাছে হাত পাতছে কিনা। কলা বিক্রেতার গলা ভারি। চোখের কোণে দু’ফোঁটা জল জমে উঠেছিল কি? আমি তার চোখের দিকে তাকাইনি। আসলে তাকাতে পারিনি। ফেসবুক থেকে 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়