ব্রাত্য রাইসু : ভালো লোকদের কিংবা নিরপরাধ লোকদের জেলখানায় ভরলে আপনার খারাপ লাগে। অথচ অপরাধী বা খারাপ লোকদের সেখানে ভরলে আপনার খারাপ লাগে না। আপনার নিজের অনুভূতি নিয়ন্ত্রিত হইতেছে আপনার কাছে কোনটা খারাপ আর কোনটা ভালো তার ভিত্তিতে। মানুষের এই বিচার করার অবস্থাটি বেশ মজার। মানে এই সহৃদয় মানুষগুলোই খারাপ লোকদের নিশ্চিহ্ন কইরা ফেলতে কোনো দ্বিধা করে না। যেহেতু তারা বুদ্ধি বা ধারণার চাইতে মন দিয়া বেশি নিয়ন্ত্রিত হয়। আমি এই অবস্থারে মানবজাতির দুর্দশার মূল মনে করি।
[২] মানুষের মধ্যে ভালো-খারাপ ভাগ কইরা আবার তা দিয়া নিজেরাই নিয়ন্ত্রিত হওয়ার অবস্থা। এই থেকে বাহির হওয়ার উপায় কী? কীভাবে আমার অনুভূতি বা সংবেদনরে আমি আমার নীতি-নৈতিকতার বাইরে রাখতে পারি? বা তা আলাদা রাখা কেন দরকার? অর্থাৎ আমি ভালো-খারাপ বিচার অবশ্যই করবো, কিন্তু তা দিয়া আমার অনুভূতি বা মন নিয়ন্ত্রিত হবে না।
[৩] আমি নিজের ব্যাপারে বলতে পারি, ‘ভালো’ লোকদের জেলে ভরলে বা খুন কইরা ফেললে আমার কিছু দুঃখকষ্ট বা খারাপ লাগা হয় না। যেমন হয় না ‘খারাপ’ লোকদের মারলে বা জেলে ভরলে। আমি এ রকম স্বার্থপর মানুষ না যে ভালো লোক মরলে দুঃখ পাবো আর খারাপ লোক মরলে তাতে খুশি হবো। আমি এগুলোরে সময়ের উপস্থাপন হিসাবে দেখতে পাই। অর্থাৎ সময় যেভাবে প্রকাশিত তার ওপর আমার হাত নাই। তাই এই সুখ বা দুঃখ আমি এড়াইতে চাই। এবং আমি তাতে সক্ষম। তার অর্থ এই না যে আমি মানুষ হিসাবে ঘটনা বা পরিপার্শ্বের বিচারের দায়িত্ব কাধের ওপর থেকে সরিয়ে ফেলছি।
[৪] আপনারা যে এই অবস্থাটারে খারাপ বলেন, তা কেন বলেন? মানে কীভাবে এইটা খারাপ?
[৫] অর্থাৎ বিচার করার সাথে সাথে আপনি যদি পক্ষপাত না দেখান তা কেন খারাপ? [৬] আর যদি পক্ষপাত দেখান তাইলে সেইটা কেমনে বিচার?
লেখক: কবি। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :