আলী রীয়াজ: বাংলাদেশে অনেক ঘটনাই ঘটে যেগুলো আমার কাছে বেশ প্রতীকী বলে মনে হয়। সমাজে ও রাষ্ট্রে যা ঘটছে তা খুব সহজেই এই সব দৈনন্দিন ঘটনায় প্রতিফলিত হয়। এই রকম ঘটনা হচ্ছে রাজধানীর কলাবাগানে খেলার মাঠে ভবন নির্মাণের সিদ্ধান্ত এবং তা মোকাবেলায় পুলিশের আচরণ। ২০২০ সাল থেকে চেষ্টা চলছে খেলার মাঠের জায়গায় থানা ভবন তৈরির। এর মধ্যে বার্তাটা স্পষ্ট খেলার মাঠ যা শিশু-কিশোর-তরুণদের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ, সহযোগিতা, সুস্থতা তৈরি করবে, যেখানে স্থানীয় অধিবাসীরা সামাজিক কারণে একত্রিত হবে তার দরকার নেই, দরকার হচ্ছে থানা ভবনের।
পুলিশি ব্যবস্থা, নিয়ন্ত্রণ, শক্তি, ভীতির প্রতীক হচ্ছে থানা- সেটা বেশি দরকার, মুক্ত পরিবেশে বেড়ে ওঠার চেয়েও এটাই বেশি দরকার। তারপরে থানা মানেই অবকাঠামোগত ‘উন্নয়ন’, দালান উঠবে, তাকে কেন্দ্র করে বানিজ্য হবে, নতুন অনেক কিছুই কেনা হবে তাকে কেন্দ্র করে বাণিজ্য হবে।
আর এই যে ভবন তৈরির কাজ ভিডিও করতে গিয়ে একজন নাগরিককে আটক করা হলো, একজন শিশুকে আটক করা হলো সেটাও লক্ষণীয়। জবাবদিহি না থাকায় সরকার বা তার প্রতিনিধি কী করছেন সেটার প্রমাণ আপনি রাখতে পারবেন না। সেজন্যে আপনি হেনস্থার শিকার হবেন। আপনি যদি প্রতিবাদ করেন তবে আপনাকে তাঁর মাশুল গুণতে হবে। এই বার্তা কেবল আটক ব্যক্তির জন্য নয়, অন্য নাগরিকদের জন্যেও। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :