লুৎফর রহমান রিটন, ফেসবুক থেকে: [রোজা এবং ঈদের নানান হ্যাপা অতিক্রম করে এখন চলছে ধুন্দুমার ছুটির ছুটোছুটি। ফাঁকে একটা নির্ভেজাল ছোটদের ছড়া পড়া যেতেই পারে।
ছড়াটা উৎসর্গ করছি অনুজপ্রতিম দুই নিসর্গপ্রেমী বন্ধু তারেক অণু এবং তানভীর অপুকে। ওরা দুই সহোদর সেদিন নেপালের দুই পাহাড়ের মাঝের কোনো এক পিক থেকে ফোন করে চমকে দিয়েছে আমাকে!]
আমার একটা ভালুক আছে
লুৎফর রহমান রিটন
আমার একটা ভালুক আছে
নাদুস নুদুস ভালুক।
খায় চকোলেট ক্যান্ডি ও স্যুপ
ভালুক খায় না শালুক।
লক্ষ্মী ভালুক মিষ্টি ভালুক
দেখায় না ভয় মোটে,
যেখানে যাই ভালুক আমার
পেছন পেছন ছোটে।
আমার সঙ্গে পড়তে বসে
টিচার যখন পড়ায়,
আমার সঙ্গে নাচতে থাকে
রিটন কাকুর ছড়ায়।
মাছ খেতে খুব ভালোবাসে
ভালুক, সে তো জানি।
ভালুক ছানার প্রিয় খাবার
মধু অর্থাৎ হানি।
ভালুকরা হয় বেজায় খুশি
মধুর বাটি পেলে,
ঢিং চিকাচিক ডিগবাজি খায়
মেয়ে কিংবা ছেলে।
কী তুলতুলে! দুধ শাদা রঙ
আমার ভালুক ছানা--
শেষ হবে না বলে ছানার
কাণ্ড ও কারখানা!
খুদে একটা লেজ আছে তার
পেটটা বেজায় মোটা,
সারাটাদিন আমার সঙ্গে
লেপ্টে থাকে ওটা।
আমার সঙ্গে ঘুমায় খেলে
আমার সঙ্গে হাসে,
বিকেল বেলায় হাঁটতে বেরোয়
মাঠের সবুজ ঘাসে।
কুকুর দেখলে ধাওয়া করতে
ভাল্লাগে ওর খুবই,
ছুটির দিনে আমার সঙ্গে
দেখতে বসে মুভি।
খুব প্রিয় ওর এনিমেশন
মিকি এবং মিনি।
আমার ভালুক বিখ্যাত খুব
সবাই ওকে চিনি।
নাম বললেই চিনতে পারবে,
জানতে চাইছো ডিয়ার?
গাপ্পু গুপ্পু ভালুক ছানার
নামটা টেডি বিয়ার...
আপনার মতামত লিখুন :