সাম্প্রতিক সময়ে আলোচনা-সমালোচনার মাঝে রয়েছেন বিতর্কিত নির্বাসিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন। এবার তাকে নিয়ে কথা বলেছেন শফিক রেহমান।
শফিক রেহমান বলেন, তসলিমা নাসরিন কবিতা লিখতেন। আমারই অনুরোধে তিনি কলাম লেখা শুরু করলেন। মজার কথা তিনি জিজ্ঞেস করেছেন, আমার কলামের নাম কি হবে? আমি বললাম, তুমি তো একটা নষ্ট মেয়ে। তোমার কলামের নাম হবে নষ্ট কলাম।
ইসলাম ধর্ম বিদ্বেষী লেখা সে লেখা শুরু করল। এতে তার বিপদ হবে আমি জানতাম। এবং তাকে বারবার অনুরোধ করেছিলাম, যার ধর্ম, তার ধর্ম। সেটাই তাকে পালন করতে দাও। যেদিন করতে গিয়ে আমি খেয়াল করি যে, আমরা আসলে সবাই এলিটিস্ট অর্থাৎ আমি লিখি প্রথম আলোর জন্য, প্রথম আলো রেখে আমার জন্য, যুগান্তর রেখে সমকালের জন্য, সমকাল রেখে যুগান্তরের জন্য। এই ছিল কিন্তু অবস্থা। এখনো অনেকটা তাই।
তিনি আরো বলেন, কিন্তু যায়যায় দিনে প্রথম সংকেত আমি ঘোষণা দেই, আমরা মফসল কেন্দ্রিক হতে চাই, ঢাকা কেন্দ্রিক নয়। মফসল থেকে আপনারা লেখা পাঠান এবং বিশেষত মেয়েদের কাছ থেকে আমরা লেখা আহ্বান করি। এটা খুব দরকারি। আপনি ভেবে দেখুন, এদেশে আপনার অধিকাংশ সময় জুড়ে কিন্তু নারী ক্ষমতার শীর্ষে। সেটা খালেদা জিয়াই হোক, শেখ হাসিনাই হোক।
কিন্তু কলাম লেখক মহিলা বলতে তসলিমা নাসরিন এবং কনক চাপা ছাড়া আমি আর দেখিনি। তসলিমা কবিতা লিখতেন, আমারই অনুরোধে তিনি কলাম লেখা শুরু করলেন। মজার কথা, তিনি জিজ্ঞেস করেছেন, আমার কলমের নাম কি হবে? আমি বললাম, তুমি তো একটা নষ্ট মেয়ে। তোমার কলামের নাম হবে নষ্ট কলাম।
সেইভাবে কিন্তু সে যায়যায় দিনে লেখা শুরু করল। খুবই জনপ্রিয় ছিল। কিন্তু সে চলে গেল নারীর ক্ষমতায়নের চাইতে বেশি চলে গেল, ইসলাম ধর্মবিদ্বেষী লেখা সে লেখা শুরু করল।
এতে তার বিপদ হবে আমি জানতাম এবং তাকে বারবার অনুরোধ করেছিলাম, যার ধর্ম, তার ধর্ম। সেটাই তাকে পালন করতে দাও।
আমার এবারে এসে গ্রাফিতে ওইটাই ভালো লেগেছে, ধর্ম যার, ধর্ম তার। দেশটা সবার। এরকম একটা স্লোগান আমি দেখেছি। সেটাই হওয়া উচিত। এই দেশ, বাংলাদেশ সবার। হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, মুসলমান সবার।
যাই হোক শেষ পর্যন্ত সেটা বুঝতে পারেনি এবং কিন্তু আমার লেখার জন্য বা আমার পত্রিকা লেখার জন্য, তার এখান থেকে চলে যেতে হয়নি। হয়েছিল কেন?
কলকাতার স্টেটসম্যান পত্রিকায় তিনি একটা ইন্টারভিউ দিয়েছিলেন। সেখানে তিনি কোরআন শরীফ উল্টো করে পড়ছেন। টিশার্ট পড়া ছিল, সিগারেট খাচ্ছিলেন এরকম। সেদিনই আমি বুঝেছিলাম তার বিপদ হবে। তাকে পালাতে হয়েছিল এবং মজার কথা এই যে, সে আমার কাছেই আশ্রয় চেয়েছিল।
আমি তাকে থাকতেও বলছিলাম যে, আমার যা হয় হবে, আমি তোমাকে রক্ষা করবো। তুমি চলে এসো আমার বাড়িতে। সে অন্যখানে শেষ পর্যন্ত চলে গিয়েছিল এবং আমি খুবই সংকিত ছিলাম যে, যেহেতু তার সঙ্গে বিভিন্ন সম্পাদকের বিভিন্ন সময়ে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। সেহেতু আমার নাম কখনো না লিখে দেয়, আমি আতঙ্কিত ছিলাম যে হচ্ছে, খন্ডিত ক, এগুলো ক, এগুলো বের করা শুরু করলো।
আমি তাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি যে, তিনি আমার বিষয়ে কিছুই লেখেননি। আমি আশ্বস্ত হয়েছি যে, আমার সঙ্গে তার সম্পর্ক কেটে যাবে না, সম্পর্ক এখনো আছে।
আপনার মতামত লিখুন :