শিরোনাম
◈ জাতীয় সংসদের আসন ৬০০ করার সুপারিশ নারী সংস্কার কমিশনের ◈ ১১ ওভারের মধ্যে জিতেও বিদায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের, বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ◈ অফিস সময়ে সভা করতে সম্মানী নয়: জ্বালানি উপদেষ্টা ◈ হজ ফ্লাইট ২৯ এপ্রিল, বিড়ম্বনা ও দুর্ভোগ ছাড়াই হজে যাবেন যাত্রীরা ◈ নারী সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন ছাপিয়ে বিলি করা হবে: ড. ইউনূস ◈ ৪ বিয়ে করে বিপাকে বৃদ্ধ, থানায় দেখা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে ◈ প্রধানমন্ত্রী নয়, মন্ত্রিপরিষদ শাসিত সরকার চায় এনসিপি: নাহিদ ইসলাম ◈ ইসরাইলিদের আল-আকসা মসজিদ ধ্বংস করার গুঞ্জন, ফিলিস্তিনের সতর্কবার্তা ◈ শেখ মুজিবের ছবি অপসারণের ঘটনায় শিক্ষার্থী বহিষ্কার, ছাত্রদলের প্রতিবাদ ◈ বড় হারে অনিশ্চয়তায় বাংলাদেশের বিশ্বকাপ স্বপ্ন 

প্রকাশিত : ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১০:৩৭ রাত
আপডেট : ১৬ এপ্রিল, ২০২৫, ১২:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড : আমার নিজের অভিজ্ঞতা ও উপলব্ধি

উম্মুল ওয়ারা সুইটি

উম্মুল ওয়ারা সুইটি, ফেইসবুক থেকে :

১.  কার্ড শুধু জরুরিই নয় সাংবাদিকদের জন্য মূল্যবান। 
যেহেতু অফিসের পরিচয়পত্র দিয়ে সাংবাদিকরা সব জায়গায় যাওয়ার সুযোগ পায়না  তাই প্রত্যেক রিপোর্টারের জন্যই এই কার্ড জরুরি। 

কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে কার্ডের কোটার বাধ্যবাধকতা থাকায় একেকটি প্রতিষ্ঠানের কয়েকজন এই কার্ড পেয়ে থাকেন। ফলে অনেক রিপোর্টার এইসব স্থানে গিয়ে রিপোর্ট করা বা এসব জায়গার অভিজ্ঞতা নিতে পারেন না। সাংবাদিকের সংবাদ সংগ্রহ ও তথ্যের জন্য অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বেশ জরুরি। 

গত ৩০ বছরে যেমন গনমাধ্যম প্রতিষ্ঠান বেড়েছে, তেমনি সাংবাদিকের সংখ্যা বেড়েছে। আর দু‌‌:খজনক হলেও সাংবাদিকতার সুযোগ কমেছে। সাংবাদিকরাও কেউ কেউ রাজনৈতিক প্রলেপে নিজেকে ধন্য করেছেন এবং করছেন। 

২. অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড সোনার হরিণ কেন?
গত ৩০ বছর ধরে সচিবালয়সহ সরকারি বিভিন্ন জায়গায় এই অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড সাংবাদিকতায় ব্যবহার না হয়ে বাণিজ্যে হচ্ছে। তাতে প্রকৃত‌পেশাদার সাংবাদিকরা বিব্রত হচ্ছে। 

আমি নিজে হাজার হাজার উদাহরণ দিতে পারবো। আবার আমার অনেক সহকর্মী বন্ধু পেশাদার ( তবে তদবিরের সিদ্ধহস্ত ) সাংবাদিককেও দেখেছি এই কার্ডকে সোনার হরিণের মতো ব্যবহার করেছেন এবং করছেন। এই কার্ড এখন আর শুধু সাংবাদিকদের কাছে নেই। বেশিরভাগ‌ই ধান্দাবাজদের হাতে।  এ নিয়ে বিগত সরকারের স্বরাষ্ট্র ও তথ্যমন্ত্রী এবং সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আমরা বেশ কয়েকদফা বৈঠক করেছি। সেটা ব্যর্থ হয়েছে। এই কার্ড অনেককে সোনার ডিম‌ও পাইয়ে দিয়েছে। 

মূলধারার গনমাধ্যমের সাংবাদিকদের পাশাপাশি নাম সর্বস্ব গনমাধ্যমের নামে এই কার্ড ইস্যু হয়। এর সঙ্গে সাংবাদিকরা খুব বেশি যুক্ত নয়। 

৩. রাজনৈতিক প্রলেপ কেন?
এই কার্ড শুধু সাংবাদিকতার কাজে ব্যবহার হলে রাজনৈতিক পালা বদলে খড়গের রূপ নিতে পারতো না।  রাজনৈতিক বা অন্যকোন সরকারের সময় সাংবাদিকদের‌ও এই প্রলেপের দোষে দুষ্ট হতে হয়। কারন কেউ কেউ এই কার্ড বা ওই রেজিমের সাংবাদিকতাকে এমন সুবিধার রূপে নিয়ে যায়, অন্য আরেকটি পক্ষ সময় গুনতে থাকে। কখন তাদের পালা আসবে। এবার‌ও এর ব্যাখ্যায় ঘটেনি। 

নোট: রাজনৈতিক সরকারগুলোর চোষা সাংবাদিকরা সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকে। যেই টোপ সরকারগুলো আগ্রহ নিয়ে খেয়ে থাকেন। আমি ১৯৯৬ সাল থেকে নিজে এই টোপ গিলতে দেখেছি সরকারপক্ষকে। বিষয়টি চলমান।

৪. আহ্বান : সাংবাদিকদের‌ই কার্ড বরাদ্দ থাকুক 

আমরা জানি যে ৮ হাজারের বেশি সাংবাদিকদের নামে কার্ড বরাদ্দ রয়েছে। আমি মনে করি এরমধ্যে ৩০ শতাংশের বেশি সাংবাদিক নেই। বাকি কারা আছে ? এটা আমাদের জন্য চরম বিব্রতকর। 

বর্তমান সরকার প্রায় তিন শ জনের কার্ড বাতিল করেছে। আবার এ ব্যাপারে পূনর্বিবেচনা সিদ্ধান্ত দিয়েছে। আর সচিবালয়ের আগুনের ঘটনায় এখন সেখানে কিছুদিনের জন্য প্রবেশ স্থগিত করেছে। তা নিয়ে সাংবাদিকরা লিখছেন। অবশ্যই এটার একটা সুরাহা হবে। 

আমার আহ্বান থাকবে: এই সুযোগে কারৃড বরাদ্দে সাংবাদিকদের প্রতি সদয় হোন। সাংবাদিকতার নামে এই কার্ড নিয়ে যারা বাণিজ্য করেন সেটা বদ্ধ করে আমাদের মুক্তি দিন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়