মহসিন কবির: সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে নানা ধরনের মন্তব্য করেছেন। তার ফেক এ মন্তব্যের জন্য ব্যাপক সমালোচিত হয়েছে আওয়ামী লীগ। ফেসবুক পেইজ ব্যবহার করে তার মন্তব্য ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। ফলে ফেসবুকসহ নানা সামাজিক মাধ্যমে রাজনীতিবিদসহ নেটিজেনরা ব্যাপক সমালোচনা করেছেন।
ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ১৬ জুলাই পুলিশের গুলিতে নিহত হন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র আবু সাঈদ। তার মৃত্যু নিয়ে একটি বক্তব্য দিয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার আওয়ামী লীগের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে শেখ হাসিনার ওই বক্তব্যের একটি অডিও রেকর্ড পোস্ট করা হয়েছে।
১ মিনিট ৩৯ সেকেন্ডের ওই অডিওতে শেখ হাসিনাকে বলতে শোনা যায় ‘গুলি খাওয়ার পরে আবু সাঈদকে চার-পাঁচ ঘণ্টা পরে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল।
আবু সাঈদ গুলি খাওয়ার পর তার সঙ্গী-সাথীরা যে তাকে টেনে নিয়ে গেল, কোথায় নিয়ে গেল? যার গুলি লাগবে তাকে তো সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নেওয়ার কথা।’
শেখ হাসিনা আরো বলেন, ‘হাসপাতালে নেবে, অপারেশন করবে, বুলেট বের করবে, বাঁচানোর চেষ্টা করবে। আবু সাঈদকে কিন্তু হাসপাতালে নেয় নাই। নিয়েছিল কিন্তু চার-পাঁচ ঘণ্টা পরে।
চার-পাঁচ ঘণ্টা পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর ডাক্তাররা যখন তাকে চিকিৎসা করে, তখন সে মৃত্যুবরণ করে। শেখ হাসিনার এ দাবি কতটুকু সত্য?
১৬ জুলাইল গণমাধ্যমেরর খবরে বলা হয় প্রকাশিত প্রতিবেদনে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে দেওয়া মৃত্যুসনদের বরাত দিয়ে বলা হয়, আবু সাঈদকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল।
ইংরেজি একটি দৈনিকের নগর সংস্করণেও ৪টা ১৩ মিনিটে আবু সাঈদের মৃত্যুর ব্যাপারে হাসপাতালের দেওয়া ডেথ সার্টিফিকেটের তথ্য দিয়ে লিখেছে, আবু সাঈদকে বিকেল ৩টা ৫ মিনিটে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত অবস্থায় আনা হয়। ওই দিনের ঘটনা নিয়ে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির ফেসবুক পেজে একটি লাইভ ভিডিও পাওয়া যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’- এ দাবি পুরোপুরি মিথ্যা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বার্তা সংস্থা এএফপি। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের কোনো সাক্ষাৎকারে এমন কোনো মন্তব্যই করা হয়নি, বিশেষত বাংলাদেশ এবং শেখ হাসিনাকে নিয়ে।
বুধবার (২০ নভেম্বর) এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেখ হাসিনাকে নিয়ে পোস্টটি ছড়িয়েছে, তাতে দাবি করা হয় যে ট্রাম্প সম্প্রতি এক পডকাস্ট সাক্ষাৎকারে বলেছেন, শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু এমন কোনো মন্তব্যই তিনি করেননি। বরং, ট্রাম্প ওই সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের প্রসঙ্গে কিছু বলেনই নি।
তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, এই মিথ্যা খবরটি ছড়িয়েছে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের কয়েক মাস পর। একটি পোস্টে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, ‘শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেননি, তাই তিনি এখনো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।’ এমন দাবি করা হয়েছিল যে, বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সম্প্রতি এ কথা বলেছিলেন যে, শেখ হাসিনার পদত্যাগ অবৈধ ছিল। এই প্রসঙ্গে কিছু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দাবি করা হয়, পিবিডি পডকাস্টে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেছেন, ‘যেহেতু শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেননি, তাই তিনি এখনও প্রধানমন্ত্রী।’
এএফপির ফ্যাক্ট চেক বলছে, এই মিথ্যা দাবির সঙ্গে একাধিক ছবি যুক্ত করা হয়েছিল, যেখানে ট্রাম্পকে পিবিডি পডকাস্টের উপস্থাপক প্যাট্রিক বেট-ডেভিডের সঙ্গে আলোচনা করতে দেখা গেছে। ছবির ওপরে লেখা ছিল- আমি মনে করি হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী: ট্রাম্প।
শেখ হাসিনা যুক্তরাজ্যে গিয়ে লাইভে বক্তব্য দিয়েছেন বলে টিকটকে প্রচারিত ভিডিওটি ভুয়া। খবর রিউমর স্ক্যানার ডটকম’র।
ওই ভিডিওটি দেখা যায়, শেখ হাসিনা বলছেন, ‘হাইকমিশনে ঢুকে জাতির পিতার ছবি নিয়ে অপমান করার এত বড় সাহস কোথায় পেল, জানতে চাই!’কিন্তু রিউমর স্ক্যানার অনুসন্ধান করে জানাচ্ছে, এটি একটি ভুয়া ভিডিও ক্লিপ। হাসিনা আদৌ এমন কোনো লাইভ ভিডিওতে বক্তব্য দেননি।
খবরে প্রকাশ, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে আশ্রয় নেন স্বৈরাচার সরকার প্রধান শেখ হাসিনা। সেই থেকে এখনও তিনি সেদেশেই আছেন বলে একাধিকবার নিশ্চিত করেছে দিল্লি। এরপর একাধিকবার তার অডিও ক্লিপ ফাঁস হলেও শেখ হাসিনাকে কখনোই প্রকাশ্যে দেখা যায়নি।
শর্ট ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম টিকটকের ওই ভুয়া ভিডিওটি ফেসবুকেও অনেকের হাতে হাতে ঘুরছে। অনেকে না বুঝেই এতে মন্তব্য করছেন, শেয়ারও দিচ্ছেন।
শুধু টিকটিকেই এ পর্যন্ত ভুয়া ভিডিওটি প্রায় ৭০ হাজার বার দেখা হয়েছে এবং প্রায় সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি পৃথক অ্যাকাউন্ট থেকে ভিডিওটিতে জানানো হয়েছে প্রতিক্রিয়া।
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি আদৌ সম্প্রতি যুক্তরাজ্যে শেখ হাসিনার কোনো বক্তব্যের দৃশ্যের নয়। বরং এটি প্রায় ৬ বছর আগে ২০১৮ সালের একটি ভিডিও ক্লিপ। উক্ত ভিডিওটির সাথে ভুয়া ভিডিওটির শেখ হাসিনার বক্তব্য, পোশাক, পারিপার্শ্বিক দৃশ্যের সাদৃশ্য পাওয়া যায়। ২০১৮ সালের ২১ এপ্রিল লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টারে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্যে শেখ হাসিনার দেয়া বক্তব্যটি ডিজিটাল প্রযুক্তিতে সম্পাদনার পর টিকটকে ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে। রিউমর স্ক্যানার এ ধরণের সাইবার ক্রাইম থেকে সবাইকে বিরত থাকার পাশাপাশি গুজব প্রচার না করার অনুরোধ জানিয়েছে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের দিন শেখ হাসিনা গণভবনে থাকলে ‘লোকজন তাঁকে ছিড়ে খুড়ে ফেলত’ বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের হাউস অব লর্ডসে একটি সম্মেলনে অংশ নিয়ে সাংবাদিকদের সামনে তিনি এ মন্তব্য করেন। ‘বাংলাদেশ: গণতন্ত্র ও মানবাধিকার সংকট’ শীর্ষক ওই সম্মেলনে বাংলাদেশের এম সাখাওয়াত হোসেনের মন্তব্য ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। তিনি বলেছেন, শেখ হাসিনা দেশত্যাগ না করলে সহিংসতা আরও ভয়াবহ হতো, যা দেশের জন্য ভালো হতো না।
তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা দেশে থাকা সমর্থকদের সরকারবিরোধী আন্দোলন করার জন্য উসকানি দিচ্ছেন। আমি তাঁদের বলতে চাই, শেখ হাসিনা বাংলাদেশে রাজনীতি করার জন্য আর ফিরতে পারবেন না। শুধু ফাঁসির কাষ্ঠে দাঁড়ানোর জন্যই ফিরবেন। যাঁরা এখনো পলাতক আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের উসকানিতে জনজীবন দুর্বিষহ করার চেষ্টা করছেন, তাঁদের সাবধান করে দিতে চাই।’
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ মুজিবের উত্তরসূরি শেখ হাসিনা ফ্যাসিবাদের চূড়ান্ত বাস্তবায়নকারী। শনিবার (২৩ নভেম্বর) সকালে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সম্মেলন উদ্বোধনকালে এ মন্তব্য করেন তিনি। সম্মেলনে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে খুন, গুম ও হত্যা মামলা আছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যখনই চাইবে ভারতকে তখনই শেখ হাসিনাকে ফেরত দিতে হবে। শুক্রবার (৮ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে নীলফামারীর বড়মাঠে আয়োজিত জেলা জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন পালাবেন না। কিন্তু তিনি চলে গিয়ে তার প্রিয় দেশে আশ্রয় নিলেন। তারা আমাদের প্রতিবেশী। প্রতিবেশীকে আমরা সম্মান করি। আমার প্রতিবেশী যদি ভালো থাকে, আমিও ভালো থাকবো। প্রতিবেশীকে যদি আমি কষ্ট দেই অনুরূপ কষ্ট পাওয়ার জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। কোনো প্রতিবেশীকে কষ্ট দেওয়া আমরা বিশ্বাস করি না। অনুরূপভাবে প্রতিবেশীর কাছ থেকেও আমরা সুপ্রতিবেশী সুলভ আচরণ পেতে চাই।
মির্জা ফখরুল বলেন, এ দেশে ফ্যাসিবাদের জনক শেখ মুজিবুর রহমান। তার হাত ধরেই, অর্থাৎ তার নেতৃত্বে এ দেশে হত্যা, লুণ্ঠন এবং অপরাজনীতি শুরু হয়। যুদ্ধবিধ্বস্ত নতুন বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার বদলে গণতন্ত্র হত্যা করে সব দলকে নিষিদ্ধ করে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করা হয়। স্বাধীন বাংলাদেশে একটি রুদ্ধশ্বাস পরিস্থিতির সৃষ্টি করে মানুষের কথা বলার অধিকার কেড়ে নিয়ে দেশকে একটি বদ্ধ কারাগারে পরিণত করা হয়েছিল।
বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে এখনো ভারতেই আছেন, সে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে আন্দোলন দমাতে ‘গণহত্যার’ অভিযোগে তার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল যে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে, সে বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে এসেছেন নিরাপত্তার জন্য। তিনি এখানেই আছেন।
আবু সাঈদকে নিয়ে মন্তব্য করায় ফেসবুক পোষ্টের কমেন্ট বক্সে সৈয়দ সোহানুর রহমান নামে একজন লিখেছেন, আপা বাংলাদেশের জনগণ আপনাকে পুনরায় রাষ্টক্ষমতায় দেখতে চায়। বাংলাদেশের জনগণ আপনার অভাব হারে হারে টের পাচ্ছে।
ফেসবুক পোষ্টের কমেন্ট বক্সে উর্মি একজন লিখেছেন, দেশ আবারও স্বাধীন হবে অতি শীঘ্রই এবং তার নেতৃত্ব দিবে আওয়ামী লীগ।
ফেসবুক পোষ্টের কমেন্ট বক্সে নাসির চৌধুরী নামে একজন লিখেছেন, আপা ভাগছে ভারতে এখন এই সব চিন্তা করে লাভ নাই … ।
ফেসবুক পোষ্টের কমেন্ট বক্সে নিগার সুলতানা নামে একজন লিখেছেন, তাদের কাছে সব মৃত্যু মিথ্যা ,অভিনয় , তাহলে লক্ষ লক্ষ মানুষ রাস্তায় নেমেছে তাদের পতনের জন্য, তাও মিথ্যা।
ফেসবুক পোষ্টের কমেন্ট বক্সে মো. অবদুল ওয়াদুদ নামে একজন লিখেছেন, শেখ হাসিনা ও তার দলের অধিকাংশ নেতা কঠোর মিথ্যাবাদি। ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে এখন কোন জঘন্য কাজ নেই যা তাদের দ্বারা না হয়েছে।
ফেসবুক পোষ্টের কমেন্ট বক্সে মাসুদ নামে একজন লিখেছেন, হাস্যকর ব্যাপার! আবু সাঈদ শহীদ হওয়ার পর আরও ২০ দিন এ মহিলা ক্ষমতায় ছিলো। তার প্রশ্নের উত্তর সে তখন বের করলোনা কেনো? সে নাকি প্রধানমন্ত্রী ছিলো!!
ফেসবুক পোষ্টের কমেন্ট বক্সে এম এ মইনুদ্দিন নামে একজন লিখেছেন, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে খুনি লীগের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে জনগণ তাদেরকে বয়কট করেছিল, খুনি লীগ গত ১৬ বছরে তার প্রতিশোধ নিয়েছে। আবার সুযোগ করে দিলে আরো ভয়ংকর প্রতিশোধ নিবে। খুনি লীগ নিষিদ্ধ চাই, করতে হবে।
ফেসবুক পোষ্টের কমেন্ট বক্সে গাজী মুহাম্মদ আল্ আমিন নামে একজন লিখেছেন, ক্ষমতায় থাকলে দুঃশাসন আর না থাকলে অরাজকতা- এটাই আওয়ামী লীগের একমাত্র নৈতিকতা।
আপনার মতামত লিখুন :