শিরোনাম
◈ যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে রাজি হিজবুল্লাহ, বেঁকে বসলেন নেতানিয়াহু ◈ হাইকোর্টের সেই তিন বিচারপতির পদত্যাগ ◈ টিসিবি ট্রাকের মাধ্যমে ৪০ টাকা কেজি আলু বিক্রি করবে ◈ যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ায় ইউক্রেনের হামলা ◈ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাবেক দুই মন্ত্রীসহ ১০৬ নামে নাশকতার মামলা ◈ আমি মিডিয়ার ওপর প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ: হাসনাত আব্দুল্লাহ (ভিডিও) ◈ প্রাথমিকের সাড়ে ৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগ হাইকোর্টে স্থগিত ◈ ‘নতুন বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের পথে যেসব চ্যালেঞ্জের কথা জানাল টিআইবি ◈ টেস্ট অধিনায়ক হয়েই ফিরলেন টেম্বা বাভুমা, দক্ষিণ আফ্রিকার দল ঘোষণা ◈ আজকের পর থেকে আমাকে দেশনায়ক, রাষ্ট্রনায়ক বলবেন না: তারেক রহমান (ভিডিও)

প্রকাশিত : ১৯ নভেম্বর, ২০২৪, ০৬:৩৬ বিকাল
আপডেট : ১৯ নভেম্বর, ২০২৪, ০৮:৩০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আদালতে আমু, কামরুল ও শাজাহান খানের ব্ক্তব্য নিয়ে নানা মন্তব্য

মহসিন কবির: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যা মামলার আসামি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আমির হোসেন আমু, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ও জন্য সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান আদালতে হুঁশিয়ারি বক্তব্য দিয়েছেন। তাদের বক্তব্য নিয়ে বিভিন্ন জন নানা মন্তব্য করেছেন। 

রাজধানীর নিউমার্কেট থানার ব্যবসায়ী ওয়াদুদ হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামের ৮ দিনের রিমান্ড আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) রিমান্ড শুনানি চলাকালে আদালতে কামরুল ইসলাম বলেন, যে মামলায় আমাকে আসামি করা হয়েছে আমি সেই এলাকার সংসদ সদস্য কিংবা বাসিন্দা নই। এই দিন দিন নয়, দিন আরও আসবে।

সোমবার (১১ নভেম্বর)। এসময় ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গ্রেফতার শুনানির মাঝে শাজাহান খান বিচারক মেহেদী হাসানের অনুমতি নিয়ে বলেন, আমার বাবা-দাদাসহ আমাদের পরিবারের ৬ জন মুক্তিযোদ্ধা। আমার বাবা ৩ বারের এমপি ছিলেন। আমি আট বারের এমপি ছিলাম। মন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছি। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদেরও হাতকড়া পরানো হয়নি। আমাকে যাতে হাতকড়া পরতে না হয়।

হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমুর ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) তাকে আদালতে হাজির করে রিমান্ড আবেদন জানায় পুলিশ। এ সময় শুনানিতে আদালতে রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের আইনজীবীর বক্তব্য শোনেন। পরে আদালত আমুর বক্তব্য শুনতে চান।

তখন আমু বলেন, আমি ঢাকা বারের সদস্য, হাইকোর্ট বারের সদস্য। এখানকার পরিবেশ দেখে দুঃখিত। এই পরিবেশে কিছু বলা উচিত না। মামলা চলবে, ভবিষ্যতে আমি আমার বক্তব্য উপস্থাপন করব। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অনেক কথা বলেছেন। আমি একজন রাজনীতিবিদ। রাজনৈতিক বক্তব্য দিতে গেলে দুই ঘণ্টা লেগে যাবে।

তিনি বলেন, আমরা একে অপরের ভাই-ভাই। মিলে-মিশে থাকা উচিত। আমরা একসঙ্গে থাকব। কেন দ্বন্দ্বে জড়াব? আশা করছি এ পরিবেশ থাকবে না।

ওয়াহিদ জানান নামে একজন ফেসবুকে লিখেছেন,  দলের পক্ষ থেকে এদের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো উচিত। এরা দেশ ও দলের শত্রু ৷ সেলিম হাসান নামে একজন ফেসবুকে লিখেছেন, অনেক দিন পর আসবে কাকু। মো. জুবায়ের হোসেন একজন ফেসবুকে লিখেছেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করা হোক। মোঃ আখতারুজ্জামান একজন ফেসবুকে লিখেছেন, আপনি বেঁচে থাকতে আর আসবে না মনে হয়।অহংকার করবেন না।

আহসান পারভেজ নামে একজন ফেসবুকে লিখেছেন, ক্ষমতায় ছিলেন প্রায় ১৬ বছর তখন কিন্তু এই মিষ্টি কথা বলেন নাই। অবৈধভাবে ক্ষমতায় থেকে দেশের মানুষের উপর জুলুম নির্যাতন, দেশের সম্পদ ও অর্থ লুটপাট করেছেন, বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের হত্যা গুম হামলা মামলা দিয়ে বিরোধী রাজনৈতিক মতকে নির্মূলের চূড়ান্ত ভাবে ফ্যাসিবাদী কায়দায় দেশ শাসন করেছেন। জাতি আপনাদের কঠোর বিচার চায়। শাস্তি আপনাদের পেতেই হবে।

নাসির নামে একজন ফেসবুকে লিখেছেন, চোর না শুনে ধর্মের কাহিনী।আমির হোসেন আমুর মিষ্টি কথার কোন মূল্য নেই। এই লোকটিকে অবিলম্বে আইনের আওতায় এনে মাননীয় আদালত কর্তৃক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করুন। মো. ইয়ার হোসেন একজন ফেসবুকে লিখেছেন, আগে পাপের প্রায়শ্চিত্ত কর, তারপর ভেবে দেখা যাবে। কবির পাটোয়ারী একজন ফেসবুকে লিখেছেন, যখন গুলি করে মানুষ মারছিলা তখন এই মিষ্টি কথাগুলা কোথায় ছিল।

মুহিবুর রহমান নামে একজন ফেসবুকে লিখেছেন, ইনশাআল্লাহ আধার কেটে আলো আসবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়