হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশ পুনর্গঠনের অংশ হিসেবে অনেককেই নতুন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আশিক চৌধুরী পেয়েছেন বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব। এই দায়িত্ব পেয়ে তিনি কিভাবে সামাল দিচ্ছেন, কিভাবে দেশ বদলে দেয়ার চেষ্টা করছেন সে গল্প জানিয়েছেন নিজের ফেসবুকে।
আশিক চৌধুরী বলেন, সরকারি চাকরির আজকে এক মাস হলো। সেপ্টেম্বর এর মাঝামাঝি এক দুপুরে প্রফেসর ইউনুস হঠাৎ ফোন করে বললেন, "আশিক, দেশের মানুষের সেবা করার সুযোগ পাওয়া গেছে। আসবা নাকি?" আমি নন্দিনীকে জিজ্ঞেস না করেই রাজি হয়ে গেলাম। জানতাম ও কোনোদিন মানা করবে না। সো ৫৯ সেকেন্ডের এক হোয়াটসঅ্যাপ কলে আমরা সিঙ্গাপুরের বিলাসী জীবন ছেড়েছুঁড়ে দেশের পথে রওনা দিলাম বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে, বন্ধুদের ভাষায় বাংলাদেশের চিফ মার্কেটিং অফিসার হিসেবে।
কাজের চ্যালেঞ্জ নিয়ে তিনি বলেন, গত এক মাস শুক্র-শনিবারসহ দিনে ১৮ ঘণ্টা কাজ করেও কূল পাচ্ছি না। প্রায় আড়াইশো সিইও, ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে বুঝার চেষ্টা করছি তাদের সমস্যাগুলো কোথায় আর কি করে তার সমাধান করতে পারি। নতুন ইনভেস্টমেন্ট কিভাবে আনতে পারি। চেষ্টা চলছে। ফেইল করা যাবে না। আমরা জনগণের সরকার। তাই প্রত্যাশা অনেক। অনেকটা জাতীয় ক্রিকেট দলের মতো। সবাই চায় আমরা জিতি। কিন্তু পরের বলটা একটু খারাপ হলেই সবাই হা হা করে উঠে।
নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলেন, টিম সিলেকশন, বোলার সিলেকশন, ফিল্ড সেটিং, এইসব নিয়ে নানা সমালোচনা। ম্যাচে সবাই ভালো বল করবেনা এটাই স্বাভাবিক। তা নিয়ে দলের সমর্থকরা গালাগালি করবে তাও স্বাভাবিক। দলটাতো আমাদের। কয়দিন আগেও এইসব করা কবিরা গুনাহ ছিলো। তাই দিনশেষে টায়ার্ড হয়ে ফেসবুক খুলে যখন মনে হয় আমার বউ ও বিরোধী দল, তখন নিজেকে বুঝাই: এটাই তো আসলে বাক স্বাধীনতা। হোক না সমালোচনা। আমরা ভুল করব। তারপর শুধরাবো। আমাদের দেশটা আস্তে আস্তে ঠিক রাস্তায় হাটবে।
ব্যাক্তিগত জীবনে আশিক সিঙ্গাপুরের করপোরেট প্রতিষ্ঠানের কর্মী হলেও তিনি স্কাই ডাইভার হিসেবেও পরিচিত।
আপনার মতামত লিখুন :