শিরোনাম
◈ মাদ্রাসাতেও দাখিলের নবম শ্রেণিতে বিভাগ বিভাজন চালুর নির্দেশ ◈ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হঠাৎ এত গুজব কেন? তথ্য যাচাইয়ের উপায় কী? ◈ ডাটা সেন্টারে সংরক্ষিত ১১ কোটির বেশি নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করে বিক্রি ◈ (১০ অক্টোবর) বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার  ◈ উনি কোথায় আছে সেটা নিয়ে আমার মাথাব্যথা নেই: আসিফ নজরুল (ভিডিও) ◈ শিবির অফিসে দুই শিশুকে নিয়ে হাজির হলেন মা, সেক্রেটারি জেনারেলের আবেগঘন স্ট্যাটাস ◈ ঈদ সামনে রেখে নতুন নোট ছাপানো এবং নোটের মজুদ বাড়ানোর আলোচনা শুরু ◈ ডিসি নিয়োগে 'দুর্নীতি': তদন্তে ৩ উপদেষ্টার কমিটি ◈ আরব উপসাগরীয় কুয়েত, কাতার ও সৌদি আরবসহ ছয়টি দেশকে ইরানের হুমকি ◈ সংস্কার কমিশনের প্রধানরা যেসব সুযোগ-সুবিধা পাবেন 

প্রকাশিত : ১০ অক্টোবর, ২০২৪, ০১:৫৬ রাত
আপডেট : ১০ অক্টোবর, ২০২৪, ০৪:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

প্রশাসনে আওয়ামী প্রেতাত্মাদের রাখা প্রতারণার শামিল: হাসনাত

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে দেশজুড়ে সহস্রাধিক মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। এর পেছনে যাদের হাত রয়েছে, তাদের প্রত্যেকের শাস্তি দাবি করেছেন এই আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। পাশাপাশি আওয়ামী মনোভাবাপন্ন যারা এখনও প্রশাসনে রয়েছেন, তাদের ষড়যন্ত্রকারী বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন ড. ইউনূস। হত্যাকাণ্ডের পেছনে যারা ছিলেন, ইউনূস সরকারের উচিত তাদের প্রত্যেকের শাস্তি নিশ্চিত করা, মনে করেন হাসনাত। অনেকে দেশ ছেড়ে পালাচ্ছেন, তাদেরও দেশে ফিরিয়ে আনার আহ্বান তার।

বুধবার (৯ অক্টোবর) ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে হাসনাত বলেন, ‘বিপ্লবী সরকার হিসেবে বর্তমান সরকারের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব ছিল গণহত্যায় জড়িত সকলকে বিচারের আওতায় আনা। কিন্তু পুলিশ এবং প্রশাসনে আওয়ামী সহযোগীদের বহাল রাখা বা তাদের নিরাপদে দেশত্যাগ করতে দেয়া সরকারের ব্যর্থতার পরিচায়ক। সাবেক ডিবি প্রধান হারুন এবং পুলিশ কর্মকর্তা মনিরুলের নিরাপদে দেশত্যাগ বর্তমান সরকারের প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে এখনও আওয়ামী প্রেতাত্মাদের উপস্থিতির প্রমাণ। তারা বিপ্লবের চেতনা এবং বিপ্লবকে ব্যাহত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।’

প্রশাসনে আওয়ামী লীগের লোকজনকে বহাল রাখা জনগণের সঙ্গে প্রতারণার শামিল উল্লেখ করে হাসনাত বলেন, ‘আওয়ামী প্রেতাত্মাদের প্রশাসনে বহাল রাখা জনগণের সঙ্গে প্রতারণার শামিল। প্রকৃতপক্ষে, প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দেশের বৃহত্তর স্বার্থ ভুলে গিয়ে ব্যক্তিগত স্বার্থ নিশ্চিত করার চেষ্টা করছে, যা বিপ্লবের চেতনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। আমরা প্রশাসনের সকল স্তরের কর্মকর্তাদের আহ্বান জানাই, আপনারা বিপ্লবের চেতনা ধারণ করুন এবং দেশের বৃহত্তর স্বার্থে সেবা প্রদান করুন। ক্ষুদ্র ব্যক্তিস্বার্থের জন্য দেশের ভবিষ্যৎকে বিপদে ফেলবেন না।’

হাসনাত যোগ করেন, ‘বিপ্লবী সরকারের প্রতিও আমাদের আহ্বান, বিগত ১৫ বছরে এবং জুলাই বিপ্লবে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডে যারা সহযোগী ছিল, তাদের যেন বিচারের আওতায় আনা হয়। যারা দেশ থেকে পালিয়ে গেছে, তাদের দেশে ফিরিয়ে এনে বিচার নিশ্চিত করতে হবে। আবু সাঈদ, ওয়াসিম এবং মুগ্ধের আত্মা তখনই শান্তি পাবে, যখন অপরাধীরা পূর্ণমাত্রায় শাস্তি পাবে এবং সরকার বিপ্লবের চেতনা নিয়ে কাজ করবে।’

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়