শিরোনাম

প্রকাশিত : ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১১:৪০ দুপুর
আপডেট : ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০১:০৪ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

এভাবে আর কত প্রাণ যাবে?

এখন দেশে যে যেভাবে খুসী মানুষকে হত‍্যা করছে! কেউ দেখার নেই! মহামান‍্য ড. মু ইউনুস একজন জ্ঞানী মানুষ। এই মানুষটিকে ক্ষমতায় বসিয়ে সবাই ভাবছিল দ্রুত দেশের আইন শৃংখলা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবে; দেশের মানুষের মনে স্বস্তি  আসবে। মানুষ নিরাপদে জীবন যাপন করবে। সবাই নিজ নিজ কাজে ফিরে যাবে। দেশ চলবে সুশীল গতিতে। বিশেষ করে ছাত্ররা ফিরে যাবে শিক্ষালয়ে। মনযোগ দিবে নিজ নিজ পাঠে। 

কিন্তু এই ছাত্ররা আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে যা খুসি করে বেড়াচ্ছে! কেউ দেখার নেই! আর সরকারের মহামান্য উপদেষ্টারা ছাত্র সমাজ ধ্বংস হয়ে যাবার দৃশ‍্য শুধু দেখছেন! এর পরিণাম কিন্তু ভয়াবহ হবে! এদের মধ‍্যে শৃংখলাবোধ, মানুষের প্রতি সম্মানবোধ এবং দেশ গড়ার প্রেরণা ও ভালোবাসা আর ফিরিয়ে আনা যাবে না। ধ্বংসের চোরাবালিতে ওরা হারিয়ে যাবে। ধবংস হবে অমিত সম্ভাবনার সুপ্ত আধার এই যুবশক্তি। 

মনে হয় কোন অদৃশ‍্য শক্তি এমনটাই চাচ্ছে বাংলাদেশের পরাণতি! তা না হলে এমনটা হবে কেন? মহামান‍্যরা দেখেও না দেখার ভান করছেন কেন? একবার যখন বিকৃত ক্ষমতা প্রয়োগের স্বাদ কেউ পেয়ে যায়। তাঁকে এক জীবনে সে ধ্বংস থেকে ফেরানো মহাকঠিন। এমনকি আর ফেরানো সম্ভব নয়! বর্তমান প্রজন্ম সেদিকেই নিমজ্জিত হচ্ছে! পর পর দু'টি হত‍্যা যেমন উৎসব মন্ডল ও তোফাজ্জল হত‍্যার চিত্র থেকে এমন আবাস প্রকট! সেইসাথে আজ এক নিরীহ হিন্দু ভদ্রলোককে হত‍্যা করেছে তাঁরই মহাজন। নিহত ব‍্যাক্তির নাম জ্ঞানেন্দ্র বালা মাদারী পুরের রাজৈর উপজেলার বাসিন্দা। তিনি পেশায় একজন কাঠমিস্ত্রি। তিনি তাঁর কাজের পাওনা ৭০০০ টাকা চাইতে গিয়েছিলেন এক ই উপজেলার মহাজন মো: জাকির কারিগর এর বাড়িতে। সেই টাকাতো তাঁকে মহাজন জাকির দেয়ইনি। উল্টো ফিরতি পথে লোকজন দিয়ে এই জাকির, জ্ঞানেন্দ্র বালাকে হত‍্যা করে ঝুপের ভিতর গাছে লাশ ঝুলিয়ে রেখেছে। এই হচ্ছে মহামান‍্যরা আপনাদের শাসনে দেশের সার্বিক অবস্হা! সেইসাথে আরও কতকি। 

মানুষ আসলে জানতে চায় আপনারা আদৌ কি দেশ পরিচালনা করতে পারবেন? না দেশকে যোগ‍্য ব‍্যক্তিদের হাতে অর্থাৎ যাদের রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, অভিজ্ঞতা এবং দেশ পরিচালনায় অভিজ্ঞতা আছে এমন লোকেদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে দেশের মানুষকে স্বস্তি দেবেন? আপনাদের প্রতি প্রথমে সবাই আস্হাশীল ছিল। যখন মানুষ আপনাদের কোন কর্মদক্ষতার কোন পরিচয় পায়নি এবং ভাবছিল আপনাদের না দেখা সুশীল ও উন্নত দক্ষতায় অতি সত্তর সবকিছুই সুন্দর স্বাভাবিক হয়ে  যাবে। কিন্তু  এখন যেহেতু তাঁরা তেমন কিছু দেখছে না। তাই তঁরা হতাশ! এখন আর আপনাদের উপর মানুষ আস্হা রাখতে পারছে না। আপনাদের জনপ্রিয়তা এখন ষোল আনা থেকে সিকি আনায় নেমে এসেছে! সুতরাং পারলে দ্রুত আইন শৃংখলা পরিস্হিতির উন্নয়ন করেন; মানুষের জীবনের নিরাপত্তা দিন। 

বাংলাদেশের শান্তিপ্রিয় মানুষ আপনাদের নিকট থেকে শুধু এটুকুই প্রত‍্যাশা করে। তাঁরা পোলাও মাংস খাওয়ার প্রত‍্যাশা আপনাদের কাছে করে না। সরল বাংলাদেশের মানুষের এই হচ্ছে নিঃষ্পাপ চাওয়া। পারলে দ্রুত পুরণ করেন। শুধু করছি, করবো বলে আশার গোলক ধাঁধায় এই সরল মানুষগুলোকে আবদ্ধ করে রাখবেন না। প্রকৃতি এই ভার সইবে না! প্রহরে প্রহরে শুধু দেনা বেড়েই চলছে! এর হিসার প্রকৃতির নিয়মেই পরাশোধ করতে হবে! এই কথাটিকে আপনাদের মন দিয়ে অনুধাবন করর জন‍্য অনুরোধ করছি। কারণ আপনাদের অনেককে আমি পছন্দ করি। শুভ চিন্তা ও কর্মযজ্ঞের উন্মেষ ঘঠুক! এই  প্রত‍্যাশায় ও বাংলার স্নিগ্ধ প্রান্তরে জীবনের আনন্দ ও উচ্ছাস দেখার মানসে যবনিকা! 

শৈলেন কুমার দাশ, কলামিস্ট

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়