গণপিটুনিতে মারা গেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা আব্দুল্লাহ আল মাসুদ। শারীরিক প্রতিবন্ধী ছিলেন তিনি। শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সদ্যজাত মেয়ের জন্য ওষুধ আনতে ফার্মেসিতে গিয়েছিলেন। পথিমধ্যে হামলার শিকার হয়ে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। এতিম হয় তাঁর চারদিনের কন্যাশিশু।
মাসুদের এই মৃত্যু ছুঁয়ে গেছে অনেককে। ইতিমধ্যে ঘটনাটি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকেই করেছেন প্রতিবাদ। প্রতিহিংসার রাজনীতি বন্ধের পক্ষে মত দিয়েছেন তাঁরা। এবার বিষয়টি নিয়ে কথা বললেন নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) নিজের ফেসবুকে ফারুকী লেখেন, ‘রাজশাহীর ঘটনাটা মনটা দুমড়ে মুচড়ে দিল। ছোট বাচ্চাটার দিকে কি আমরা তাকাতে পারব? যদি তার বাবা অপরাধ করেও থাকে কে মবকে লাইসেন্স দিল বিচার করার?’
এরপর ফারুকী লিখেছেন, ‘মবরাজ থামান। শৃঙ্খলা আনেন। না হলে কোনো সংস্কার কাজে আসবে না।’
এই নির্মাতা আরও লেখেন, ‘আমি জানি পুলিশ বাহিনীকে দুর্বল করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এর সমাধানের পথে তো হাঁটতে হবে। সবাই ঐক্য ধরে রেখে মববাজি থামাতে হবে। পুলিশকে আরও কনফিডেন্স দিয়ে এঙ্গেজ করতে হবে।’
সবশেষে ফারুকী বলেন, ‘বিপ্লবের কৃতিত্ব কার, কে ক্রিম খাবে, কাকে ঠেকিয়ে কাকে ওঠাতে হবে এটা পরেও করা যাবে। এখন এটা নিয়ে বিজি থাকলে বিশৃঙ্খলাই কেবল বাড়বে। ফ্যাসিস্ট শক্তি এটাই চায়। এখন ভাবেন তার চাওয়া পূরণ করবেন নাকি ইফেকটিভ সরকার কায়েম করবেন। প্লিজ।’
প্রসঙ্গত, শনিবার রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়-সংলগ্ন বিনোদপুর এলাকায় যান আব্দুল্লাহ আল মাসুদ। এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে হামলার অভিযোগে তাঁর ওপর আক্রমণ হয়। পরে একদল শিক্ষার্থী তাঁকে প্রথমে মতিহার থানায় নিয়ে যান। কিন্তু মতিহার থানায় ৫ আগস্টের সহিংসতার কোনো মামলা নেই। তাই বোয়ালিয়া থানায় আনা হয়, যেন কোনো সহিংসতার মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। কিন্তু মাসুদের শারীরিক অবস্থা গুরুতর দেখে সেনাবাহিনীর সহায়তায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
আপনার মতামত লিখুন :