শিরোনাম
◈ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সফলতা চান রাজনীতিবিদরা ◈ ফরিদপুরের প্রতিমা ভাঙচুর করা ব্যক্তি ভারতীয় নন, গোপালগঞ্জের নাগরিক ◈ খাগড়াছড়ি থেকে পুলিশ পরিদর্শক মাজহার গ্রেফতার ◈ আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনে অভিজ্ঞতা ছাড়াই চাকরি ◈ আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে পারলে স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করব: অতিরিক্ত আইজিপি মনিরুল ইসলাম (ভিডিও) ◈ বাংলাদেশ থেকে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ, কলকাতায় ইলিশের কেজি ৫ হাজার টাকা ◈ জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউ‌ন্ডেশনে ১০০ কোটি টাকা দিলো সরকার ◈ শাহজালালে বিদেশ ফেরত যাত্রীর সঙ্গে অসদাচরণ, বরখাস্ত ৩ কর্মকর্তা  ◈ অন্তর্বর্তী সরকার যাতে নিজেরাই নিজেদের ব্যর্থতার কারণ না হয়ে দাঁড়ায়: তারেক রহমান (ভিডিও) ◈ যৌথ বাহিনীর অভিযানে ময়মনসিংহে যুবদল নেতা নিহত 

প্রকাশিত : ১৩ আগস্ট, ২০২৪, ০৭:১১ বিকাল
আপডেট : ১৪ আগস্ট, ২০২৪, ০৭:৫৩ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রাহুল আনন্দের বাড়িতে আগুনের সঙ্গে ধর্মের সম্পর্ক নেই : ফারহানা হামিদ

‘রাহুলদার বাসায় আগুনের সঙ্গে তাঁর ধর্ম, বর্ণ, জাত, সংস্কৃতির কোনো সম্পর্ক নেই। এমন গুজব না ছড়ানোর অনুরোধ করছি।’ ফেসবুকে লিখেছেন ফ্যাশন হাউস খুঁতের অন্যতম স্বত্বাধিকারী ফারহানা হামিদ। সূত্র : প্রথমআলো

৯ আগস্ট ফারহানা হামিদের পোস্টটি ‘জলের গানের’ (রাহুল আনন্দের ব্যান্ড) অফিশিয়াল পেজ থেকে শেয়ার করে লেখা হয়েছে, ‘প্লিজ, লেখাটা পড়ুন ও সত্যটা জানুন।’

ছাত্র–জনতার রক্তক্ষয়ী অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর দেশজুড়ে বিজয় মিছিল করেছে ছাত্র–জনতা। এদিন বিভিন্ন সরকারি স্থাপনা ও আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। কিছু কিছু জায়গায় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার খবরও এসেছে।

এর মধ্যেই ‘জলের গান’-এর সংগীতশিল্পী, অভিনয়শিল্পী, বাদ্যযন্ত্রী রাহুল আনন্দ ও খুঁতের অন্যতম স্বত্বাধিকারী ও চিত্রশিল্পী ঊর্মিলা শুক্লার ধানমন্ডি ৩২–এর ভাড়া বাড়িতে আগুনের ঘটনাকে কলকাতা ও ঢাকার কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে ‘সাম্প্রদায়িক হামলা’ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও তেমনটাই ছড়িয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে আলোচনার আগুনের ঘটনার আদ্যোপান্ত তুলে ধরে ফ্যাশন ডিজাইনার ফারহানা হামিদ লিখেছেন, ধানমন্ডি ৩২–এর বঙ্গবন্ধু মিউজিয়ামকে লক্ষ্য করে অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা। রাহুল আনন্দের বাসাটা মিউজিয়ামের দেয়ালঘেঁষা। পরে তাঁর বাড়িতেও আগুন দেওয়া হয়েছে।

জলের গানের অফিশিয়াল পেজে পোস্টটি শেয়ারের বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন রাহুল আনন্দ। তিনি প্রথম আলোকে জানান, ‘দেশের ভিখারি থেকে উঁচুতলার মানুষ আমাকে ভালোবাসে। আমার বাড়িতে আগুন দিতে যায়নি। এখানে হাজার হাজার মানুষের মধ্যে অতি উৎসাহীরা এটা করেছে।’

ফারহানা হামিদ লিখেছেন, ‘রাহুলদাকে উদ্দেশ করে আগুন দিলে তারা এই পরিবারকে এভাবে বের হয়ে যাওয়ার সুযোগ দিত না। আর সুযোগ না দিলে সেই বাসা থেকে বের হওয়া অসম্ভব। রাহুলদার বাসায় আগুনের সঙ্গে রাহুলদার ধর্ম, বর্ণ, জাত, সংস্কৃতির কোনো সম্পর্ক নেই। তাই এমন গুজব না ছড়ানোর অনুরোধ করছি। দেশের পরিস্থিতিতে যেকোনো গুজব ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। আমরা সচেতন হই।’

ফারহানা আরও লিখেছেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে কোথাও আগুন দেওয়ার পক্ষেই না। বঙ্গবন্ধু মিউজিয়ামের মতো দেশের একটা গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাসে আগুন দেওয়ার পক্ষে তো অবশ্যই না। এই সময়ে সংখ্যালঘুর ওপর আক্রমণের বিষয়ে আমি অবগত এবং এর ঘোর বিপক্ষে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে ভাষা, ধর্ম, বর্ণ, জাত, সংস্কৃতির কারণে আক্রমণ করা হয় নাই কিন্তু কোনো কারণে গুজব ছড়াচ্ছে আর সেই গুজবকে গুজব বলা যাবে না।’

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়