ফজলুল বারী: বাঙালি জাতির জনকের নাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এটি একাত্তরে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত সত্য। মুক্তিযোদ্ধারা কোনো অপারেশনে যাবার আগে জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু বলে শপথ নিতেন। অপারেশন বিজয়ের পর রণধ্বনি করতেন জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু শ্লোগানে। মোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করিÑ গানের একটি ফুল ছিল বাংলাদেশ আর বঙ্গবন্ধু। শোনো একটি মুজিবরের থেকে লক্ষ মুজিবরের মতো অনেক জ্ঞান মুক্তিযোদ্ধাদের প্রেরণা জোগাতো।
১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের বন্দিশালা দেশে ফেরত আসার পর বাংলাদেশের বিজয়, স্বাধীনতা পূর্ণতা পায়। বাংলাদেশ স্বাধীন হবার আগে এই ভূখণ্ডে পাকিস্তানের জাতির পিতা হিসাবে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বরেণ্য ছিলেন। মোহাম্মদ আলী জিন্নাহকে যারা জাতির পিতা বলতে গদগদ ছিলেন, তারাই এখানে বলা শুরু করেন, মুসলমানদের জাতির পিতা হযরত ইব্রাহীম ইত্যাদি। ১৯৭৫ সালে সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বাংলাদেশের সরকারি প্রচার মাধ্যমে জাতির পিতা নিষিদ্ধ হন। জিয়া এরশাদ খালেদা জিয়া যতদিন ক্ষমতায় ছিলেন ততদিন নিজভূমে নিষিদ্ধ ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে জাতির পিতাকে নিয়ে কেউ কেউ ধৃষ্ট উচ্চারণ শুরু করেছেন। শেখ হাসিনাকে গালি দিয়ে বলার চেষ্টা করছেন, দেশটা কারো বাপের না। জামায়াত-শিবিরের এক আইনজীবী সর্বশেষ আদালতে গিয়েও অপ্রয়োজনীয়ভাবে এই ধৃষ্ট উচ্চারণ করেছেন, কারো বাপের জন্য আসিনি। যত কায়দা করে যে যাই ধৃষ্ট বলার চেষ্টা করেন না কেন, সাফ কথা হলো দেশটা আমাদের বাঙালি জাতির বাপের। সেই বাপটা হলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আপনাদের বাপটা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ। সেখানে গেলে বীরের মর্যাদা পাবেন। আমাদের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে ধৃষ্ট অপমানসূচক কিছু বলার চেষ্টা করবেন না। মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীন দেশটার শ্লোগান জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।
যঃঃঢ়ং://িি.িভধপবনড়ড়শ.পড়স/ঢ়ৎড়ভরষব.ঢ়যঢ়?রফ=৬১৫৫২২০৪১৬০২৭৪
আপনার মতামত লিখুন :