দীপেন ভট্টাচার্য্য: ২০১৩-এর গণ-জাগরণ মঞ্চের একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের সাজা প্রদানের দাবিসহ ছিল জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি নিষিদ্ধ করা এবং জামায়াত-শিবির সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠান বয়কট করা। শেষোক্ত দুটির প্রতি তখন কোনোই কর্ণপাত করা হয়নি, বরং পরবর্তীকালে সরকার এবং জামায়েতীরা উভয়পক্ষই শাহাবাগী বলে ওই আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের কটাক্ষ করেছে। পরবর্তী কয়েক বছর চরমপন্থীরা যখন ব্লগার হত্যা করছিল কর্তৃপক্ষ থেকে তখন কোনো নিরাপত্তার আশ্বাস দেওয়া হয়নি বরং রাষ্ট্র এই সময়ে দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে।
জামায়াত একটি দল নয়, এটি একটি নির্দিষ্ট ধারণা-জিয়ার আমল থেকে যে ধারণা ধীরে ধীরে তৃণমূলে সঞ্চারিত হয়েছে এবং গত ১৬ বছর যে সঞ্চারণকে কোনো বাধাই দেওয়া হয়নি। রাষ্ট্রধর্ম না বদলে, পাঠ্যপুস্তকের ধর্মীয়করণ না উঠিয়ে, ডিজিটাল আইনের অবসান না করে, জনগণের মনে সত্যিকারের অগ্রগামী ধর্মনিরপেক্ষ ধারণার প্রসার না ঘটিয়ে, গণতান্ত্রিক চেক অ্যান্ড ব্যালেন্সে প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে, শুধু জামাতকে নিষিদ্ধ করে রাষ্ট্রের চেহারা পাল্টানো যাবে না। পুরোপুরিভাবে ১৯৭২-এর সংবিধানে কেন ফিরে যাওয়া যাবে না? ধর্মকে দাবার ঘুঁটির মতো ব্যবহার না করে, বাংলাদেশ দেশটি সৃষ্টির মূল ভিত্তিভূমিতে আস্থা রেখে দরকার ছিল এগোনোর। সেই ভিত্তি কি তারাও বিশ্বাস করে না? ৩০-৭-২৪। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :