শিরোনাম
◈ কবে দেশে ফিরবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান? (ভিডিও) ◈ যুবককে কুপিয়ে হত্যা, কেটে নিয়ে গেল হাত (ভিডিও) ◈ বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ: সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত ◈ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর হলেন তাজুল ইসলাম ◈ ‘দেহ ব্যবসা’র ভিডিও প্রতিবেদন ইস্যুতে সোহানা সাবার হুঁশিয়ারি ◈ বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা ইতালির মোনফ্যালকনে ◈ নিউইয়র্কে ইউনূস-মোদি সাক্ষাতে ঢাকার অনুরোধ, এখনো চুপ দিল্লি ◈ হদিস মিলছে না পলকের দুটি আগ্নেয়াস্ত্রের ◈ অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্ত যৌক্তিক ও সময়োপযোগী: ফখরুল ◈ ট্রাক থামিয়ে চাঁদাবাজি, যুবদল নেতাকে পুলিশে দিলো সেনাবাহিনী

প্রকাশিত : ২৭ জুলাই, ২০২৪, ০৩:৫২ রাত
আপডেট : ২৭ জুলাই, ২০২৪, ০৩:৫২ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আবু সাঈদের মৃত্যু ও মেট্রোরেলের আগুন, এই দুই ঘটনার তদন্ত সবচেয়ে জরুরি

শিশির ভট্টাচার্য্য

শিশির ভট্টাচার্য্য: ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর (শুক্রবার) অনেক রাজাকার মুক্তিযোদ্ধা হয়ে গিয়েছিল, যাদের বলা হয় FFF (Friday Freedom Fighter)। বাংলাদেশ কাঁপানো ৭ দিনে আমি কোনো আলী, ছালী, নীলীকে যুদ্ধক্ষেত্রে দেখিনি। দুরবস্থা সামাল দিতে এরা সরকারের কোনো কাজে আসেনি। আমি তেমন কোনো শিক্ষক/সুশীল সহকর্মীকে রাজাকারের বিপক্ষে যুদ্ধক্ষেত্রে দেখিনি, সব ঘাপটি মেরে ছিল। এখন অবস্থা বুঝে অনেকে সরব হচ্ছেন। FFF এর ২০২৪ সংস্করণ। নিউইয়র্কের তাজুল ইমামসহ আরও যে অল্প কয়েকজন মাত্র সামাজিক মিডিয়ায় দাঁতে দাঁত চেপে বক্তব্য রেখে গেছেন, তাদের উপর অশ্রাব্য গালাগালি ও অপমানের ঝড় বয়ে গেছে। আমার নীলি সহকর্মীদেরও কেউ কেউ আমাকে দালাল এবং অমানুষ বলেছে। অপমান এতটাই অসহ্য ছিল যে তাদের আনফ্রেন্ড ও ব্লক করতে হয়েছে। স্বীকার করতেই হবে যে, রাজাকার ও তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল বিএনপি-বামেরা প্রাণপণে যুদ্ধ করেছে। পিতা কিংবা পিতামহ রাজাকার ছিল এমন লোককেও যুদ্ধক্ষেত্রে দেখা গেছে এই প্রথম বারের মতো।

কুত্তার লেজ কখনও সোজা হয় না, রাজাকারের নাতিপুতিও রাজাকারই হয়। উনি রাগের মাথায় সত্য কথাই বলেছেন। তুমি কে, আমি কে? এটাও রাগের মাথায় সত্যবাচনই বটে। অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও নাশকতায় রাজাকারেরা ছিল অনন্য-সাধারণ। যেমন অসুরের শক্তি এদের গায়ে, তেমনি রয়েছে মাথাভরা বুদ্ধি। কিন্তু তারা নিমকহারাম নয়। যত নুন তারা খেয়েছে, তার দ্বিগুনেরও বেশি গুন গেয়েছে। তারা হেরেছে, কিন্তু লড়েছে প্রাণপণে। তারা এমন কিছু নোংরামিও করেছে, যা শুধু তাদেরই শোভা পায়। সহপাঠী ছাত্রীলীগের নেত্রীদের ছবি দিয়ে বলা হয়েছে, তারা ছাত্রলীগের নেতার রাতের খাবার। ছিলা মুরগির ছবি দিয়ে বলা হয়েছে, ছাত্রীলীগের সদস্যাদের নিম্নাঙ্গের অবস্থা নাকি ওই মুরগির নিম্নাঙ্গের মতো। কী যে কুৎসিত এই ছবি। প্রধানমন্ত্রীর কুরুচিপূর্ণ ছবি, হিজাবি মহিলা দলের হাতে ছাত্রী লীগের নেত্রীর অপদস্থ হবার মতো বেশুমার ভিডিও নেট দাপিয়ে বেড়িয়েছে। এসব অপরাধীকে খুঁজে বের করা কঠিন  নয়। শাস্তি না দিয়ে তাদের দিয়ে ছালীর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করুন। হজরত মুহাম্মদ (সা.) নিরক্ষরদের বর্ণমালা শিক্ষা দিলে বন্দিদের মুক্তি দিতেন। দুর্বল শিক্ষার্থীদের উপর ছালীর ন্যাক্কারজনক হামলার তদন্ত হওয়া উচিত। যে ছালী মাঠে একদিন টিকতে পারে তার কোনো প্রকার উপযোগিতা আছে কিনা ভাবা দরকার। ট্রাম্পের উপর হামলার কারণে গোয়েন্দা প্রধান পদত্যাগ করেছে যুক্তরাষ্ট্রে। বাংলাদেশের প্রশাসনে কেউ কি কোনো ভুল করেনি? কেন শিক্ষামন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানবেন না শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কী হতে চলেছে? কেন মেট্রোরেলে কোনো প্রকার নিরাপত্তা বলয় ছিল না? 

রূপপুর আক্রান্ত হলে কী হতে পারতো বা কী হতে পারে ভবিষ্যতে সে খেয়াল আছে? আবু সাঈদের মৃত্যু এবং মেট্রোরেলে আগুনÑএই দুই ঘটনার তদন্ত সবচেয়ে জরুরি। সবচেয়ে বড় কথা, একবারের জন্য হলেও উনিসহ প্রশাসনের সবার মুখে আতঙ্ক দেখা গিয়েছিল। ১৯৯০ সালে এর স্বাদ (মিষ্টি না টক?)-এর চোখে-মুখে অনুরূপ আতঙ্ক দেখেছিলাম বটে। জব্বর বাঁচা বেঁচে গেছেন ভাই সকল। ভয়ের সমানুপাতে দ্রুত নিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে পারলে ভালো হয়। এমন ঘটনা ভবিষ্যতে আরও ঘটবে, প্রস্তুত থাকুন। বি-দল এবং তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল আমার আত্মীয়-বন্ধু-সহকর্মীদের বলছি, যুদ্ধে জয়-পরাজয় থাকেই। ভুল থেকে শিক্ষা গ্রহণ করুন। আর একটা কথা মনে রাখবেন, বাংলার ইতিহাসে, বিদ্রোহ দমনে উনার চেয়ে অভিজ্ঞ আর কেউ নেই। উনার যা ক্ষতি ৭৫-এর ১৫ আগস্ট আপনারা করে ফেলেছেন। তথাকথিত ঈশ্বর সুবিচার করেন বলেই হয়তো উনাকে সেকেন্ড হাফে পরাজিত করবেন না।  ঈশ্বর যদি থাকেন, তিনি রাজাকারের পক্ষে থাকার কারণ নেই। ঈশ্বরের আক্কেল আপনাদের চেয়ে এক চামচ বেশি। ২৫-৭-২৪। ফেসবুক থেকে 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়