শিরোনাম
◈ ভারতের সঙ্গে কাশ্মীর নিয়ে দ্বন্দ্বের প্রসঙ্গ বাংলাদেশের কাছে তুলল পাকিস্তান ◈ মেরে না ফেলা পর্যন্ত ভারত, ‘র’ আর আ.লীগের বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত থাকবে: হাসনাত আবদুল্লাহ ◈ ‘চীন সরকারের হাসপাতাল নীলফামারীতে হবে’ ◈ বাংলাদেশ ভ্রমণে মার্কিন নাগরিকদের জন্য সতর্কতা ◈ বাসাবাড়িতে নতুন গ্যাস সংযোগ নিয়ে তিতাসের সতর্কবার্তা ◈ দেশের বাজারে আবার বাড়লো স্বর্ণের দাম, দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ◈ প্রশাসন কার পক্ষে,পাল্টাপাল্টি অভিযোগে এনসিপি - বিএনপি ◈ প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের বেতনস্কেলের প্রস্তাব বাস্তবায়নে কাজ চলছে: গণশিক্ষা উপদেষ্টা ◈ জাতীয় সংসদের আসন ৬০০ করার সুপারিশ নারী সংস্কার কমিশনের ◈ ১১ ওভারের মধ্যে জিতেও বিদায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের, বিশ্বকাপে বাংলাদেশ

প্রকাশিত : ২৭ জুলাই, ২০২৪, ০১:৫৯ রাত
আপডেট : ০২ এপ্রিল, ২০২৫, ১১:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ওই শিক্ষকের ‘মেরুদণ্ড’ সত্যিই আছে কি?

নাদিম মাহমুদ

নাদিম মাহমুদ: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক কোটা সংস্কারে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর ‘নৃশংস হামলার’ প্রতিবাদে স্বেচ্ছায় চাকরি থেকে অব্যহতি নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। ‘নৃশংস’ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় চারিদিকে শিক্ষকরা যখন চোখ বন্ধ করে আছে, সেখানে একজন শিক্ষক হলেও তার প্রতিবাদ স্বরূপ ‘শিক্ষকতাকেই’ বিদায় জানিয়েছে, ভেবে কিছুটা হলেও স্বস্তি পেয়েছিলাম। সেই খবর গণমাধ্যমে আসার পর আমি নিজেও তাকে ‘মেরুদণ্ডওয়ালা’ শিক্ষক হিসেবে ধরে নিয়েছিলাম। কিন্তু যখন ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের’ ইস্যু করা চিঠি হাতে এলো, তখন আকাশ থেকে পড়লাম। এমনিতেই দেশের বাইরে উচ্চশিক্ষায় এসে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অনেক শিক্ষকই দেশে ফিরতে চান না, বিদেশেই থিতু হতে চান, কিন্তু এই শিক্ষক এমন এক সময় নিজেকে ‘প্রতিবাদী’ বনে নিয়ে গেলেন, যখন সেই শিক্ষক নিজেই উচ্চশিক্ষার্থে ‘শিক্ষা ছুটি’ নিয়ে আমেরিকায়। 

আমি নিশ্চিত নই, এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ওঠা ‘নৈতিকতার’ বিষয়টি কতোটা সত্য, তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এই চিঠির ভাষা বলে দিচ্ছে, তিনি অভিযোগ মাথায় নিয়ে দেশ ছেড়েছেন, অথবা তদন্ত প্রতিবেদনটির আভাস কিছুটা টের পেয়েছিলেন। হ্যাঁ যে অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তুলেছে, তাতে হয়তো তার চাকরি যেত না, তবে শাস্তি পেতেন। যদিও প্রশ্ন থাকছে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাহলে কেন এতোদিন ‘তদন্ত প্রতিবেদন করতে’ কেন এই দীর্ঘ সময় লাগিয়েছেন কিংবা ওই শিক্ষক অব্যহতির পত্র না পাঠালে বিশ্ববিদ্যালয়ের বক্তব্য কেমন হতো। তবে তার বিরুদ্ধে উঠা এসব অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হলে, খুব খুশি হতাম।

যাইহোক, মানুষের আবেগ নিয়ে ‘খেলা করা’ উচিত নয়। এখন এই শিক্ষক ঠিক কোন অবস্থান থেকে এই ‘অব্যহতির’ পত্র লিখেছেন তা তিনি ভালো বলতে পারবেন। তবে দেশের এই সংকটকালীন সময়ে আমরা সবাই ব্যথিত, মর্মাহত। নিজের কাঁধে আকাডেমিক ডিসিপ্লিনিয়ারির অভিযোগের পালা থাকার পরও যদি এই সময়টাকে পুঁজি করে কেউ যদি অন্যান্য শিক্ষকদের মূল্যবোধ ও নৈতিকতাকে জাগাতে আসে তাহলে নেহাত সেটি একধরনের ‘দ্বিচারিতা’ ছাড়া কিছু নয়। তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে কেউ মিথ্যাচার করতে চাইলে হিরোদের জিরো হতে সময় লাগে না, সে কথা ভুলে গেলে চলবে না। এই শিক্ষকরাই যদি নৈতিকভাবে সৎ না থাকেন তাহলে, সাধারণ মানুষ কাকে বিশ্বাস করবে? তিনি কি এখন দাবি করবেন যে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনে তোলা অভিযোগগুলো মিথ্যা? ফেসবুক থেকে 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়