শিরোনাম

প্রকাশিত : ২৭ জুলাই, ২০২৪, ০১:৫৯ রাত
আপডেট : ২৭ জুলাই, ২০২৪, ০১:৫৯ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

এই শিশুরা বাবা-মায়ের ব্যক্তিগত সম্পদ

মোজাফ্ফর হোসেন

মোজাফ্ফর হোসেন: আটতলার বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় গুলিবিদ্ধ হয় ৪ বছর বয়সী শিশু আহাদ। গুলিটা ডান চোখে বিদ্ধ হয়ে মাথার ভেতরেই আটকে যায়। পরের দিন আইসিইউতে চিকিৎসাধীন আহাদকে মৃত ঘোষণা করা হয়। বাবা মায়ের একমাত্র বুকের ধন এভাবেই চলে গেলো। নাইমা সুলতানা দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। বাসার চারতলার বারান্দায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায় মেয়েটি। বাসার ছাদে খেলার সময় মাথায় গুলি লাগে ৬ বছরের শিশু রিয়ার। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সেও। মিরপুরে বাড়ির জানালা দিয়ে আসা একটি বুলেট চোখ দিয়ে ঢুকে মাথার খুলি ভেদ করে বেরিয়ে যায় সাফকাত সামিরের। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ১১ বছর বয়সী ছেলেটির।

এই শিশুরা তো রাষ্ট্রের সম্পদ না, বাবা-মায়ের ব্যক্তিগত সম্পদ। এই ক্ষতি কেউ নির্ণয় করবে না। কোনো মিনিস্ট্রি বলবে না, একটা অমূল্য শিশু হারিয়েছে রাষ্ট্র; কোনো মিডিয়া বলবে না, সর্বস্বান্ত হয়েছে দুজন বাবা-মা। এই শিশুদের মৃত্যু হয়েছে কোনো মিটিং-মিছিলে অংশ না নিয়েই; সরকারপক্ষ, রাষ্ট্রপক্ষ, বিরোধীপক্ষ কোনো কিছু না বুঝেই। মৃত্যু হয়েছে পুলিশের গুলিতে, বিচারইবা আর কার কাছে চাইবে? এই আন্দোলনের ঘটনা, রাষ্ট্রীয় ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ একদিন সকলে ভুলে যাবে। কিন্তু কতগুলো বাবা-মা দিনটি আমৃত্যু মনে রাখবে, স্মরণ করবে সন্তানের মৃত্যুদিন হিসেবে। কী সেই মৃত্যু? সেইটা তারা মনেপ্রাণে ভুলে যেতে চাইবে, কিন্তু পুলিশের হাতে অস্ত্র দেখলেই মনে পড়ে যাবে, সামান্য কোনো মিছিল, হট্টগোল, গণ্ডগোল, এমনকি কোনো শান্তিপূর্ণ সমাবেশ দেখলেই মনে পড়ে যাবে...।

লেখক: কথাসাহিত্যিক

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়