শিরোনাম
◈ ভারতের সঙ্গে কাশ্মীর নিয়ে দ্বন্দ্বের প্রসঙ্গ বাংলাদেশের কাছে তুলল পাকিস্তান ◈ মেরে না ফেলা পর্যন্ত ভারত, ‘র’ আর আ.লীগের বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত থাকবে: হাসনাত আবদুল্লাহ ◈ ‘চীন সরকারের হাসপাতাল নীলফামারীতে হবে’ ◈ বাংলাদেশ ভ্রমণে মার্কিন নাগরিকদের জন্য সতর্কতা ◈ বাসাবাড়িতে নতুন গ্যাস সংযোগ নিয়ে তিতাসের সতর্কবার্তা ◈ দেশের বাজারে আবার বাড়লো স্বর্ণের দাম, দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ◈ প্রশাসন কার পক্ষে,পাল্টাপাল্টি অভিযোগে এনসিপি - বিএনপি ◈ প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের বেতনস্কেলের প্রস্তাব বাস্তবায়নে কাজ চলছে: গণশিক্ষা উপদেষ্টা ◈ জাতীয় সংসদের আসন ৬০০ করার সুপারিশ নারী সংস্কার কমিশনের ◈ ১১ ওভারের মধ্যে জিতেও বিদায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের, বিশ্বকাপে বাংলাদেশ

প্রকাশিত : ১৭ জুলাই, ২০২৪, ০৪:১৬ সকাল
আপডেট : ০৯ এপ্রিল, ২০২৫, ০৯:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সরকারও চাচ্ছে কোটা বাতিল হোক

শুভ কামাল

শুভ কামাল: ভাই বিপ্লব করার আগে বুঝুন কী নিয়ে বিপ্লব করছেন। আমি কোটা সংস্কার এখন কোন পর্যায়ে আছে তার সরল ব্যাখা দিচ্ছি। আগে বুঝুন। পরে আন্দোলন করুন। সরকার ২০১৮ সালে পরিপত্র জারি করে কোটা বাতিল করেছিল। পরে একজন আদালতে মামলা করে দেয় সরকারের বিরুদ্ধে এই কোটা বাতিলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে। পৃথিবীর সব দেশেই সরকারি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা যায়, এটা প্রয়োজন চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স থাকার জন্য। তার মানে সরকারই এখন আসামী। সরকার ও কোটা আন্দোলনকারীদের মতো চাচ্ছে কোটা বাতিল হোক, তারা বাতিল করেছিলও। কিন্তু বাতিল করার পরে তারা আদালতে আটকে আছে। তার মানে আন্দোলনকারী আর সরকার এখন একই পক্ষ। 
যাই হোক জুন মাসে হাইকোর্ট বলল কোটা থাকবে, কারণ সভ্য দেশে কোটা থাকেই পিছিয়ে পরা জনগোষ্ঠীকে ব্যালেন্স করার জন্য। কিন্তু সরকার চাইলে এর সংস্কার করতে পারবে সংসদে। এখন সংসদে এইটা সংস্কার করার আগে কোর্ট থেকে নিষ্পত্তি করা প্রয়োজন। তাই সরকার আবার এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলো আপিলেট ডিভিশনে। তার শুনানির ডেট পরেছে আগস্ট মাসে। দেখুন এই মামলায় বিবাদী কিন্তু সরকার। মানে সরকারও চাচ্ছে কোটা বাতিল হোক। তাহলে আন্দোলনটা আসলে ঠিক কার বিরুদ্ধে? আদালতে রায় ফাইনাল হলে পরে সরকার এইটা সংসদে তুলে সংস্কার করবে। এখন মামলা চলার মাঝখানে আইন পরিবর্তন করলে আদালত অবমাননা হবে না? এইভাবে যদি আদালতের রায়ের মাঝখানে আইন সংস্কার করার সংস্কৃতি চালু হয় তবে কি বিচার বিভাগ আর এক্সিকিউটিভ বিভাগের মাঝে ক্ষমতার কোনো চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স থাকবে?

তাই বারবার বলছি, আগে বুঝুন কীসের জন্য, আর কার বিরুদ্ধে আন্দোলন করছেন। আমি তো কোটা বাতিলের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলাম, এখন কেন এই রাজাকার আন্দোলনকে সাপোর্ট দিচ্ছি না বুঝতে পারছেন? যেহেতু সরকারই চায় কোটা বাতিল করতে, তাই এটা বাতিল হবেই। আদালতে না হলে সংসদে বাতিল হবে। কিন্তু যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ায় হতে হবে না? আচ্ছা, আমার কথায় দ্বিমত থাকলে আপনারা বলেন সরকার কভিাবে এই মুহূর্তে কোটা বাতিল করবে। আগে তো পরিপত্র জারি করে বাতিল করেছিল। এখন কীভাবে করবে? আদালতের রায়ের মাঝেই সংসদে বাতিল করবে? হে মেধাবী , আপনি যদি বলেন এখনি সংসদে বাতিল করতে হবে আপিলেট ডিভিশনের রায়ের আগে, তাহলে ভবিষ্যতে নির্বাহী বিভাগ আর বিচার বিভাগের চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স কীভাবে বজায় থাকবে আর এর সুদূর প্রসারী ইমপ্লিকেশন কী হবে একটা দেশের ওপর, সেটাও বর্ণনা করবেন। ১৫-০৭-২৪। ফেসবুক থেকে 

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়