শিরোনাম
◈ অক্সফোর্ড কলেজে শতাব্দীর রীতি: দাস নারীর খুলিতে তৈরি পাত্রে পরিবেশন হতো পানীয়! ◈ বেসরকারি খাতে ঋণের চাহিদা কম: বাণিজ্যিক ব্যাংকের ওপর সরকারের নির্ভরতা বেড়েছে ◈ বাংলাদেশের সঙ্গে এলএনজি সরবরাহ চুক্তি নবায়ন করবে কাতার ◈ বিভিন্ন জায়গায় ঝটিকা মিছিল, গ্রেফতার ১০ ◈ আওয়ামীপন্থি সেই ৬১ আইনজীবীর হাইকোর্টে জামিন ◈ কুয়েট ভিসির অপসারণের দাবিতে দেড় ঘণ্টা অবরোধের পর কর্মসূচি ঘোষণা করে শাহবাগ ছাড়ল শিক্ষার্থীরা (ভিডিও) ◈ মিরপুর বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধের সংস্কার হচ্ছে, ভাঙচুর নয় ◈ পারভেজ হত্যা: ‘দুই বান্ধবীকে’ খুঁজছে পুলিশ ◈ ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল: এবার নতুন তথ্য দিলেন ভারতের সাবেক বাণিজ্য কর্মকর্তা ◈ সাবেক গোয়েন্দা কর্মকর্তা এডিসি নাজমুলের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

প্রকাশিত : ১৭ জুলাই, ২০২৪, ০১:২৭ রাত
আপডেট : ০৫ এপ্রিল, ২০২৫, ০৯:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

চূড়ান্ত বিচারে সব সহিংসতাই মানবতার অপমান, নিন্দনীয়

আজিজুর রহমান আসাদ

আজিজুর রহমান আসাদ: রাজনীতিতে সহিংসতা নানা ধরনের আছে, শারীরিক ও সাংস্কৃতিক। রাজনীতিতে সহিংসতা নিয়ে নানা পক্ষপাত আছে। আমার পক্ষে হলে, অবুঝদের আবেগের কাজ, নীরব সমর্থন থাকে। বিপক্ষে হলে, সোচ্চার হই। সহিংসতা ও আত্মরক্ষার জন্য সশস্ত্র সংগ্রামের পার্থক্য আছে। ১৯২২ সালে উপমহাদেশের সাম্যবাদীদের কাছে কমিউনিস্ট আন্তর্জাতিকের চিঠিতে সশস্ত্র সংগ্রামের কথা ছিল, ব্যাখ্যা সহ। বলা হয়েছিল, সাম্যবাদীরা নীতিগতভাবে সহিংসতার বিরুদ্ধে। কিন্তু বৃটিশ সাম্রাজ্যবাদ সশস্ত্র এবং এদের উচ্ছেদ নিরস্ত্রভাবে করা যাবে না। এটি ছিল অভিমত ও ইংগিতও। মানে সামরিক প্রস্তুতির। সশস্ত্র আক্রমণ হলে ভারতীয় সাম্যবাদীরা যেন, সশস্ত্র প্রতিরক্ষা গড়ে তোলা যায়।  

সহিংসতার একটি উদহারণ লেখক ব্লগার হত্যা। এই হত্যা জায়েজ, এটা ছিল হেফাজতের অবস্থান। ইসলামের জন্য নাস্তিকদের হত্যা ‘ওয়াজেব হয়ে গেছে’, এই ছিল জামায়াত-হেফাজত-চরমনাইসহ অধিকাংশ ইসলামপন্থিদের মনোভাব। এরা জঙ্গিবাদী সহিংসতার বৈধতা দেয়, ধর্মের নামে, ইসলামের নামে। ক্রুসেড, জ্বিহাদ কিংবা আজকের ইজরায়েলের ইহুদি সেটেলারদের প্যালেস্টাইনি নারী ও শিশু হত্যা, ধর্মের নামে। শান্তিপূর্ণ, মানবিক ও নান্দনিক আন্দোলন সম্ভব। ২০১৩ সালে শাহবাগে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে আন্দোলন ছিল, সংগীতে, মোমের আলোয়, ফুলের সমাহারে ও নানা শিল্পকর্মে। মায়েরা গিয়েছেন শিশু সন্তানকে বুকে নিয়ে। গণআন্দোলনের রাজনীতিতে সহিংসতার প্রয়োজন নেই, বাঙালি জাতির এক মহান অভিজ্ঞতা।  

ছাত্রলীগের সহিংসতা যা আসলে গুন্ডামি, পাকিস্থান আমল থেকে চলে আসা সরকারি সমর্থকদের রাজনৈতিক গুন্ডামির ধারাবাহিকতায়। ছাত্রলীগের এই গুন্ডামির চেহারা দেখার সুযোগ হলো। এটি কাউকে আঘাতের চেয়ে, অপমান করার বার্তা বেশি। ‘তুমি কেউ না, তোমাকে পিটিয়ে রাস্তা ছাড়া করতে পারি’Ñএই ঔদ্ধত্য ও ব্যাটাগিরি দেখা খুবই পীড়াদায়ক। ‘হে মোর দুর্ভাগা দেশ, যাদের করেছ অপমান, অপমানে হতে হবে তাহাদের সবার সমান’। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কথাটা হয়ত দুই পক্ষের জন্যই খাটে। যারা কুকুরের গলায় ‘কোটাধারী’ প্ল্যাকার্ড ঝুলায়, মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করে, এবং যারা হেলমেট পরে কাউকে নির্বিচারে পেটায়। সবটাই মূলত সহিংসতার পন্থা, শারীরিক ও সাংস্কৃতিক। চূড়ান্ত বিচারে সকল সহিংসতাই মানবতার অপমান, নিন্দনীয়। লেখক: গবেষক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়