শিরোনাম
◈ ‘ভাড়াটে’ অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করছে আন্তর্জাতিক সাইবার প্রতারণা চক্র ◈ দেশে ফেরা নিয়ে যা বললেন জায়েদ খান ◈ অন্তর্বর্তী সরকারের নির্বাচনমুখী যাত্রা শুরু হয়ে গেছে: আইন উপদেষ্টা ◈ শিশুদের খেলনায় বিষাক্ত সিসা, ঝুঁকিতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম : এসডো’র গবেষণা ◈ পুঁজি হারিয়ে রাস্তাপথে বিনিয়োগকারীরা, কেন পতন ঠেকানো যাচ্ছে না?  ◈ মেডিকেল কলেজের শ্রেণিকক্ষে লাঠি হাতে ঢুকে পড়া সেই যুবক কিশোরগঞ্জে আটক ◈ তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের খুবই কাছে রয়েছে বিশ্ব: ট্রাম্প ◈ ঢাকায় মানবাধিকার অফিস খুলতে চায় জাতিসংঘ : সমকামিতা প্রসারের আশঙ্কা ◈ পটুয়াখালী-৩ আসনে নুরকে সহযোগিতার নির্দেশ বিএনপির, যা বললেন গোলাম মাওলা রনি ◈ আ.লীগসহ ১১টি দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ চেয়ে রিট প্রত্যাহার

প্রকাশিত : ১৭ জুলাই, ২০২৪, ১২:৫৭ রাত
আপডেট : ২৭ অক্টোবর, ২০২৪, ০১:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

গত কয়েক দশকে দেশে পেশায় শিক্ষকতা করে এমন মানুষের সংখ্যা অনেক বেড়েছে, কিন্তুকমেছে শিক্ষক! 

মোহাম্মদ আব্দুল বাতেন

মোহাম্মদ আব্দুল বাতেন: পেশা হিসাবে আমি শিক্ষকতা করি। কিন্তু আমি এই পরিচয়ে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি না। কেউ যদি জিজ্ঞেস করে আপনি কী করেন? আমি উত্তর দিই,  একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াই। প্রশ্নকারী প্রায়ই পালটা বলে উঠে, উহ তার মানে শিক্ষক? আমি বলি, না। শিক্ষকতা আমার পেশা। আমার কাছে শিক্ষকতা পেশা ও শিক্ষক দুইটা আলাদা সত্ত্বা। যে কেউ শিক্ষক হতে পারে। একজন কুলী, মুজুর, কৃষক, শ্রমিক, গৃহিনী সবাই। যে তার কর্ম ও চিন্তায় সৎ এবং সেই সততা অন্যকে ছড়িয়ে দেয় সেই শিক্ষক। একজন মা শিক্ষক। একজন বাবা শিক্ষক। কিন্তু পেশায় শিক্ষকতা মানে যার জীবিকা আসে এই পেশা থেকে। 

গত কয়েক দশকে আমাদের দেশে পেশায় শিক্ষকতা করে এমন মানুষের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। কিন্তু শিক্ষক কমেছে। তাই যারা ছাত্র- ছাত্রীদের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আমি কিংবা আমার মতো হাজার হাজার পেশায়  শিক্ষকতা করে এমন মানুষদের কাছে প্রত্যাশা করেন আমরা ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়িয়ে অন্যায়ের, তাচ্ছিল্যের, শাসকের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করবো, তাহলে আপনি ভুল গ্রুপের কাছে প্রত্যাশা করছেন। আমাদের মধ্যে কেউ কেউ হয়তো শিক্ষক হয়ে উঠতে পেরেছে, যিনি প্রতিবাদ করছেন। অন্যায়কে অন্যায় বলছেন। 

আর বেশির ভাগ তুই আর তোরা তাচ্ছিল্য অর্থের যে ক্যাটাগারি, সেই ক্যাটাগরির মধ্যে আটকে নিজেকে পন্ডিত ভাবছে। জাতির অর্গাজমের দায়িত্বপ্রাপ্ত ভাবছে। হুমায়ূন আহমেদের বিখ্যাত সংলাপ, ‘তুই রাজাকার’ যেমন একই সাথে সামাজিক ঘৃণা ও দেশপ্রেমের একটা চমৎকার ব্লেন্ড। তেমনি, তোরা শিক্ষক একই সাথে ক্ষমতা, দাম্ভিকতাকে সার্ভ করা শিক্ষকতা পেশায় নিযুক্ত অনেকের আত্মপরিচয়। এটা তাদের সামনে আয়না। দুর্ভাগ্য এই আয়নায় আমরা মুখ দেখি না, পদপদবি দেখি। আমার কাছে আন্দোলনকারী প্রতিটা শিক্ষার্থী, তাদের সমর্থনকারী সবাই শিক্ষক। কারণ তারা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে লড়ছে। শুধু আমাদের শিক্ষক হিসাবে গণ্য করে সময় নষ্ট করবেন না। শিক্ষকতার চাকরি যে করে, সে তো চাকর। চাকরের কাছে ন্যায়বিচার আশা করা যায় না। এটা আমার কথা না রবীন্দ্রনাথও বলেছেন। 

লেখক: শিক্ষক, নৃবিজ্ঞান, ইউনিভার্সিটি অব মেইন, যুক্তরাষ্ট্র

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়