আফজাল হোসেন: দেশ অনেক বদলে গেছে। বদলে গেছে বহু মানুষই। একটু ভালো জীবনের আশায় শত চেষ্টা করেও কোটি কোটি মানুষের ভাগ্য বা কপাল বদলায়নি, বদলেছে কপালের খানিকটা উপরের দিক। হয় কপালে পড়েছে ভাঁজ অথবা মাথার চুল হতাশার ঠ্যালা গুঁতোয় হয়েছে উধাও। কষ্টের জীবন নিয়ে মানুষের অতো ক্ষোভ অশান্তি ছিল না, ক্ষোভ আর অশান্তি মন্দ মানুষদের নিয়ে। যাদের চাওয়া অশেষ, পাওয়ারও শেষ নেই। ঘোরতর অন্যায় তারা হাসতে হাসতে করতে পারে। অথচ যারা সাধারণ, অন্যায়ের দিকে এক পা বাড়াতে কেঁপে মরে। ভাবে, অন্যায় যদি করি-দেশের আইন গলা চেপে ধরবে, আবার উপরঅলাও শেষবিচারের দিন এক চুলও ছাড় দেবেন না। দেশের চোর ডাকাতগুলোর কলিজা বড়। তারা দেশের আইন বা আল্লাহ-কিছুরই ভয় করে না। ভাবে, আমি আমরা সবাইকে তুষ্ট করেই যা করার করছি। অন্যায়কারী অন্যায় একা করে না, অনেককে দিয়ে থুয়েই করে, সেটাই তাদের সাহস ও শক্তি জোগায়। এমনকি এমন তাঁদের দুঃসাহস, মনে করে থাকে, টাকা কামাতে পারলে আল্লাহকেও ম্যানেজ করা কঠিন হবে না।
মাথায় টুপি চড়িয়ে উপর আর পিছনে ছবি ঝুলিয়ে নীচ সন্তুষ্ট করার চেষ্টা অনেক দেখা যায়। এরকম একজনকে তো বলতেই শুনেছে সবাই-এইভাবে যা আয় করেছি, ব্যয় করেছি আল্লাহর পথে। যখন বলেছে একথা, চেহারাতে একটুও ভয়ডর দেখা যায়নি। ভালো মানুষেরা দীর্ঘশ্বাস ফেলে-আমাদের ভয়ডর এতো কেনো। চোর ডাকাত লুটেরারা সংখ্যায় বাড়তে বাড়তে নিকট পর্যন্ত এসে গেছে, সেই তাপে কারও কারও মনে হয়, সবাই করছে যখন এক অধটু নিজে করলে অসুবিধা কি। ওই ভাবা পর্যন্তই। ঠকতে ঠকতে জীবন তলানিতে পৌঁছেছে, তবু একদল মানুষ ভালো হয়ে থাকবার বাসনাটা টিকিয়ে রাখে। সে চেষ্টা কি সমাদর পায়? পায় না। যতো আইন তাঁদেরই নাকের ডগায় সাপের জিহ্বার মতো লকলক করে। ১৫-৭-২৪। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :