বিধান রিবেরু: এ পক্ষ, ও পক্ষ দুই পক্ষই আবেগ, অভিমান ও জেদ দিয়ে বিষয়টি সামলাচ্ছে। এতে রাজনৈতিক কূটকৌশল যে নেই তা বলা যাবে না। অথচ যুক্তি ও ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করলে খুব সহজেই, অনেক আগেই এই সঙ্কটের সমাধান হয়ে যেত। এখন শুরু হয়েছে স্লোগান নিয়ে বিতর্ক। পুরো বিতর্কটাই ফ্যালাসির উপর দাঁড়িয়ে করা হচ্ছে। পুরো স্লোগান হলো, ‘আমি কে তুমি কেÑ রাজাকার, রাজাকার। বলছে কে, বলছে কেÑ স্বৈরাচার, স্বৈরাচার’। প্রথমটা আবেগের স্লোগান, আন্দোলনে আবেগ থাকে। কিন্তু যিনি স্লোগান রচয়িতা তিনি বোঝেননি এর খণ্ডাংশ তাদের বিরুদ্ধেই অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে। অপর দিকে ‘তুমি কে আমি কেÑ বাঙালি বাঙালি’ স্লোগানটাও সমস্যাপূর্ণ। কারণ বাংলাদেশের আর জাতিগোষ্ঠীর তবে কি হবে? চাকমা, মারমা, খাসিয়া, নকমান্দি এরা সব বাঙালি? একদিকে অভিমান, অপরদিকে জাত্যাভিমান। অথচ সমাধান যুক্তি উপস্থাপন ও তাকে মেনে নেওয়ার ভেতর রয়েছে। অযথা এই আন্দোলন দীর্ঘ করা হচ্ছে। এখন এটি অযথা না যথাযথ তা অবশ্য সময় গড়ালে স্পষ্ট হবে আরো। লেখক, চলচ্চিত্র সমালোচক ও সাংবাদিক
আপনার মতামত লিখুন :