শিরোনাম
◈ প্রাথমিকে আগের নিয়মে ফিরছে বৃত্তি পরীক্ষা ◈ (১৬ নভেম্বর) বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার  ◈ মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার নয়া অধিকর্তা তুলসী গ্যাবার্ড কে? বিজেপির সঙ্গেও ‘নৈকট্য’ ◈ বাংলাদেশের ১২ ক্রিকেটার আইপিএলের নিলামে, কার ভিত্তিমূল্য কত? ◈ স্ত্রীর মোহরানাও ঋণের অন্তর্ভুক্ত, অনাদায়ে স্বামীর ঘাড়ে তা ঋণ স্বরূপ বহাল থাকবে ◈ খাদ্য অধিদপ্তরের চাল মজুদ করে ব্র্যান্ডের প্যাকেটে বিক্রি ◈ ‘মাকে হত্যা’ করে ফ্রিজে রাখার ঘটনায় নতুন মোড় ◈ দায়বদ্ধতা থেকেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে: জ্বালানি উপদেষ্টা ◈ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ইস্যুতে ভারতের প্রভাবের কাছে নত হতে হচ্ছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে ◈ আরও একটি নতুন রাজনৈতিক জোটের আত্মপ্রকাশ

প্রকাশিত : ১৫ জুলাই, ২০২৪, ১২:১৬ রাত
আপডেট : ০৩ নভেম্বর, ২০২৪, ১০:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আমাদের নতুন করে চিন্তা করা উচিত পুরো সিস্টেম নিয়ে

মোহাম্মদ আব্দুল বাতেন

মোহাম্মদ আব্দুল বাতেন: তৃতীয় বিশ্বের সব দেশেই সরকারি চাকরি জনপ্রিয়। কারণ এসব দেশে পুওর গভর্নেন্স ফ্রেমওয়ার্ক সরকারি চাকুরেদের  অবারিত ক্ষমতা প্রদান করে। আর ক্ষমতার সাথে অর্থযোগ এর সংযোগ মোটামুটি প্রতিষ্ঠিত। বাংলাদেশ যে এখনো তৃতীয় বিশ্বে বিলং করে এবং এখানে জনগণের ক্ষমতায়ন অত্যন্ত দুর্বল সেটা সরকারি চাকরির প্রতি মানুষের আগ্রহ ও মোহ দেখেই বুঝা যায়। এটাকে একটা প্রক্সি ভেরিয়েবল হিসাবে দেখতে পারেন। পৃথিবীর অন্য দেশে সেরা মেধাগুলো এন্ট্রিপ্রিনিউর হয়, জব ক্রিয়েশনের চেষ্টা করে, পৃথিবীর কোনো বার্নিং প্রবলেম সলভ করায় মেধাকে নিয়োজিত করে। এতে অর্থকড়ি ও সম্মান দুটোই আসে। কিন্তু আমাদের দেশে সেরা মেধাগুলো একটা সিকিউরড জব খোঁজে। প্রথম শ্রেণির চাকরি পাওয়াকে মেধার স্বীকৃতি মনে করে।  এই মানসিকতা মেধাবীদের সমস্যা না, বরং দেশের রাজনৈতিক নেতৃত্বের দুর্বলতা। কারণ তারা তরুণদের সামনে যথেষ্ট সম্ভাবনা হাজির করতে পারছে না, যার জন্য তারা সাহসী হয়ে উঠতে পারে। রিস্ক নিতে পারে।

কোটা সংস্কার অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ দাবি। একইসঙ্গে চাকরিতে শ্রেণি তুলে দেওয়ার দাবিকেও সামনে আনা উচিত। এই যে প্রথম শ্রেণি, দ্বিতীয় শ্রেণি, তৃতীয় শ্রেণি, চতুর্থ শ্রেণি এইভাবে চাকরির শ্রেণি বিভাগ করা হয় এটা একধরনের শ্রেণি বৈষম্য যা আমাদের  কলোনিয়াল মানসিকতার লালন। আমাদের সরকারি চাকরিগুলো দিয়েই শুরু সামাজিক বৈষম্যের। চাকরির শ্রেণি একধরনের অহংকার ও পাওয়ার প্রাকটিসের অপব্যবহার ছাড়া সত্যিকারের সার্ভিস ডেলিভারী হয় কিনা সেটা নিয়ে ভাবার সময় এসেছে। তাই বলে আমি হায়ার্কি তুলে দেওয়ার কথা বলছি না। বরং এই শ্রেণিভুক্ত চাকরি বলে যে সামাজিক সুপেরিওরিটির পেছনে আমরা দৌড়াই সেটা যে কলোনিয়াল মানসিকতা সেটার ক্রিটিক করছি। বেসরকারি চাকরিতেও হায়ার্কি আছে। কিন্তু সেখানে কাজগুলো টিমভিত্তিক। যে যার পজিশনে কাজ করে। হায়ার্কি আছে কিন্তু শ্রেণি বিভাগ এর নামে ক্ষমতা প্রদর্শন ও ক্লাস তৈরির পেছনে শ্রম ও মেধার অপচয় কম। 

তাই প্রাইভেট সেক্টর অল্প সময়ে ভালো সার্ভিস ডেলিভারী করতে পারে। সময় এসেছে সরকারি চাকরিতে শ্রেণি তুলে পজিশন অনুযায়ী ম্যানপাওয়ার হায়ার করার সিস্টেম নিয়ে দাবি তোলার। সরকার ও প্রশাসন সমাজ এ সাম্য তৈরির জন্যই সার্ভ করা যেখানে লক্ষ্য, সেখানে সে নিজেই শ্রেণি বিভেদের দেয়াল তুলে, সেটাকে লালন করে, একদল দাম্ভিক অফিসার তৈরির যে প্রক্রিয়া দিনের পর দিন প্রমোট করে যাচ্ছে-এটা সুশাসন ডেলিভার করতে পারছে কি? আমার ধারণা পারবে না। আমাদের নতুন করে চিন্তা করা উচিত পুরো সিস্টেম। এই কলোনিয়াল অফিসার তৈরির প্রজেক্টটাই ফল্টি, আমরা সেই আওয়াজ তুলছি না। সবাই ব্যস্ত কে প্রশ্ন পেয়েছে, আর কে পায়নি। এই সিস্টেমে মেধাবী সিভিল সার্ভেন্ট তৈরি করা হয় না। বরং কিছু অহংকারী প্রশাসক তৈরি করা হয়। যেটা ব্রিটিশরা করে গেছে, আমরা সেটাই ভিন্ন মোড়কে পুনঃউৎপাদন করে যাচ্ছি। লেখক: শিক্ষক, নৃবিজ্ঞান, ইউনিভার্সিটি অব মেইন, যুক্তরাষ্ট্র

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়