আরিফা রহমান রুমা: অনার্স পরীক্ষা দিয়ে ২২তম বিসিএসে অংশ নিয়েছিলাম। আমার রোল ২৯৩০১। মৌখিক পরীক্ষা বা ভাইভার সময় বিএনপি ক্ষমতায়। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হওয়ায় ভাইভা বোর্ড থেকে পরীক্ষা না নিয়েই আমাকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছিলো । পিএসসি আমাদের ভাইভার আগে নতুন করে একটা শর্ত আরোপ করেছিলো এই বলে যে যারা মুক্তিযোদ্ধা কোটায় আবেদন করেছেন তাদের বিএনপি-জামায়াত সরকারের কাছ থেকে নতুন করে আবার মুক্তিযোদ্ধার সনদ নিতে হবে। সংগত কারণেই মুক্তিযুদ্ধবিরোধী কোনো সরকারের দেওয়া সনদপত্র বাবা নিলেন না। আমার লিখিত পরীক্ষার ফলাফল খুবই ভালো থাকায় আমার বিশ্বাস ছিলো বিসিএসের চাকরির জন্য আমার কোনো কোটার প্রয়োজন হবে না।
যথারীতি ভাইভা দিতে গেলাম, বোর্ডে থাকা শিক্ষকরা আমাকে চিনলেন এবং মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী সরকারের প্রদান করা মুক্তিযুদ্ধ সনদ না থাকায় আমার মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ করলেন না। মুক্তিযোদ্ধা কোটা দরকার কারণ দীর্ঘ একটা সময় তারা এবং তাদের পরিবার নির্যাতিত হয়েছে, অপমানিত হয়েছে, হত্যার শিকার হয়েছে। তখন কেউ ন্যূনতম প্রতিবাদও করেননি। বুক চিতিয়ে বলেননি এ দেশ মুক্তিযোদ্ধাদের, আমরা তাদের অপমান মানি না, মানব না। আজকে যেমন আপনারা তাদের অপমান করছেন তেমনি অতীতে আপনাদের পূর্ব পুরুষরা করেছিলো। আমি বা আমার পরিবারের কেউ মুক্তিযোদ্ধা কোটার সুবিধাভোগী নই। আমার পরের প্রজন্মের কারো এই সুবিধাভোগের ন্যূনতম সম্ভাবনা নেই। কিন্তু বৈষম্যের শিকার হওয়া মুক্তিযোদ্ধা পরিবার আর রাজাকার পরিবারের বৈষম্য কমাতে আমি মুক্তিযোদ্ধা কোটাকে সমর্থন করি। তবে আলোচনা সাপেক্ষে সংস্কার হতে পারে। কিন্তু বাতিল হোক তা চাই না। ১৪-৭-২৭। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :