মঈন চৌধুরী: গত কিছুদিন যাবত আস্তিক, নাস্তিক বিষয়ক কিছু পোস্টিং বা লেখা চোখে পড়লো। এগুলো লিখে খুব যে একটা কাজ হয়, তা আমি মনে করি না, কারণ আস্তিকতা-নাস্তিকতা ব্যাপারটা আসলে একজন মানুষের আওয়ামী লীগ করা আর বিএনপি করার সাথে তুল্য। আপনি আস্তিক হলে প্রতিক্রিয়াশীল, আর নাস্তিক হলে প্রগতিশীল, এমন ভাবা চরম মুর্খামি ছাড়া আর কিছুই নয়। মানুষের চিন্তার সীমাবদ্ধতার একপর্যায়ে গিয়ে অধিবিদ্যার সৃষ্টি হয়, আর তখন বিশ্বাস করা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকে না। মানুষের ধর্ম হলো বিশ্বাস কেন্দ্রিক দর্শন, এই দর্শন চলে আসছে প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে। এখনো কোনো প্রশ্নের উত্তর না পেলে আমরা অধিবিদ্যার দ্বারস্থ হই। ধর্মকেন্দ্রিক বা অধিতাত্ত্বিক বিশ্বাস অনেকসময় মানুষকে অযৌক্তিক করে তোলে। তবে আমাদের মনে রাখা উচিত, অযথা প্রগতির কথা বলে বিশ্বাসীদের অবিশ্বাসী করা যায় না, একমাত্র জ্ঞানতত্ত্বই পারে মানুষকে বদলে দিতে।
ধর্মে বিশ্বাস না করার অধিকার মানুষের আছে। একজন মানুষের ব্যক্তিগত দর্শনের বিপক্ষে যাওয়া আমাদের উচিত নয়। তবে নাস্তিকতার সাথে সৃষ্টির যুক্তি অনেকসময় বিরোধ সৃষ্টি করে। একজন যে মুহূর্তে তার বাবা আর মাকে তার সৃষ্টির প্রেক্ষাপটে নিয়ে আসেন, ঠিক সে মুহূর্তে তার নাস্তিকতায় বিরোধ সৃষ্টি হয়। পৃথিবীতে অনেক মানুষ আছে, যারা পূর্বপুরুষের পুজো করে। মৌলবাদ শুধুমাত্র ধর্মকে কেন্দ্র করে হয়, এ ধারণা ভুল। মার্ক্সীয় মৌলবাদ, আওয়ামী মৌলবাদ, বিএনপি মৌলবাদ, জাতীয়তাবাদী মৌলবাদ, মুর্খতা ইত্যাদিও ফ্যাসিজমের জন্ম দিতে পারে। আমাদের সবধরনের মৌলবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে।
৭ জুলাই ২০২৪। https://www.facebook.com/mayeen.chowdhury
আপনার মতামত লিখুন :