সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা: জেদাজেদির বিষয় নয়। কোটার বিষয়টি সমাধান করতে হবে বাস্তবতা ও ন্যায্যতার ভিত্তিতে। শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের অনেক পরিবার একাত্তরের আঘাত হতে বের হতে পারেনি। অর্থনৈতিকভাবে সেই যে তারা বিদ্ধস্ত হয়েছিল সেখান থেকে আর উঠতে পারেনি। অনেক যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারও কষ্টের ভিতর দিয়ে গেছে, এখনও যাচ্ছে। আমরা যে কিছু স্বচ্ছল নাগরিক মুক্তিযোদ্ধা দেখি তারা ক্ষমতা কাঠামোর ভিতরকার মানুষ। তাদের দেখে সব মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে বিচার করা যাবে না। ভুয়া মুক্তিযোদ্ধারা কিন্তু সবার আগে সুবিধা নিতে পারদর্শী। মুক্তিযোদ্ধা ও রাজাকারের তালিকা তৈরি করতে গিয়েও কম কেলেঙ্কারি হয়নি।
তেমনিভাবে প্রতিবন্ধী, পাহাড়ি ও সমতলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জন্য অবশ্যই কোটা লাগবে। কিন্তু সবকিছু মিলিয়ে ৫৬ শতাংশ কোটা অনেক বেশি। একটা ন্যায্য স্তরে নিয়ে আসাটাই হবে বিবেচনার কাজ। এমন একটা সমাধান দরকার যেন কোটাও থাকে আবার কোটার বিরোধিতা তৈরি না হয়। এটা কোন কঠিন কাজ নয়। লেখক: সিনিয়র সাংবাদিক। ৭ জুলই ২০২৪। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :