শেখ ফরিদ: পিএসসির এই প্রশ্নফাঁসে যারা জড়িত তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসেন। চিরদিনের জন্য প্রশ্নফাঁসের পথ রুদ্ধ করে দেন। শুধু জড়িতদের শাস্তি দিলে হবে না, সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল সবাইকে অব্যাহতি দেন, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এই সাহস না করে। কোটা ব্যবস্থা সংস্কার করেন। শুমারির তথ্য থেকে সমাজের মাইনোরিটি (আদিবাসি শ্রেণি) ও প্রতিবন্ধি শ্রেণির তথ্য নেন। এর পরে সরকারি চাকরিতে তাদের রিপ্রেজেন্টেশন দেখেন। যদি কম হয়, কয় বছরের জন্য তাদের জন্য কোটা সংরক্ষণ করেন। তাদের পার্সেন্টেজ আশানুরূপ হলে আবার বাতিল করেন। আবার প্রতিবন্ধির ডেফিনেশনে অনেক গড়মিল আছে। কোনো কোনো ক্যাটাগরিকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে, সেটাও স্পষ্ট করেন।
পিএসসির নিয়োগ পরীক্ষা সংস্কার করুন। প্রিলি পরীক্ষা সম্পূর্ণ জিআরই ভিত্তিক করেন, শুধু মেন্টাল এবিলিটি যাচাই করার পরীক্ষা হিসেবে গণ্য করেন। লিখিত পরীক্ষা যেভাবে আছে সেভাবে রাখেন। তবে পরীক্ষা পদ্ধতির সংস্কার করতে হলে ৪ বছর আগে জানিয়ে দিতে হবে। অনেকেই বর্তমান পদ্ধতির প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। এই সংস্কার জরুরি যেন একাডেমিক পড়াশোনার প্রতি ছাত্রছাত্রীরা অমনোযোগী না হয়। এই সবগুলো কাজ করতে হবে রাষ্ট্র পরিচালনার কাজে যোগ্য লোক যাচাইয়ের জন্য। করতে হবেই। পিএসসিকে শক্তিশালী করতে হবে, মেধাবীদের আস্থার জায়গা বানাতে হবে। ৭ জুলাই ২০২৪। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :