রউফুল আলম: জার্মানির প্রায় ৭০ জন বিজ্ঞানী নোবেল বিজয়ী। একটা দেশে যদি বিজ্ঞানেই ৭০ জন নোবেল বিজয়ী থাকে, তাহলে সে দেশের আবিষ্কার-উদ্ভাবনের সংস্কৃতি কতোটা শক্তিশালী, চিন্তা করেন। নোবেল চালু হয়েছে ১৯০১ সাল থেকে। তার আগে জার্মানরা তৈরি করেছে দুনিয়া সেরা আরো বহু বিজ্ঞানী। এই যে এতো বড়ো বড়ো বিজ্ঞানী গড়ে তোলার সংস্কৃতি, সেটা কিন্তু রাতারাতি হয়নি। পাঁচ-দশ বছরে হয়নি। এমনি এমনি হয়ে যায়নি। এটা বহু যুগের সাধনা। জ্ঞান-বিজ্ঞানের একটা উর্বরভূমি তৈরি করার সাধনার ফসল। এই সাধনা তাদের আবিষ্কার-উদ্ভাবন ও গবেষণার সংস্কৃতিকে এতোই শক্তিশালী করেছে যে, তারা নেতৃত্বস্থানে আছে। একটা সমৃদ্ধ সংস্কৃতিতে সমৃদ্ধশালী মানুষ, মন তৈরি হয়। একটা ব্রিলিয়ান্ট শিক্ষা ব্যবস্থায় যুগের পর যুগ ব্রিলিয়ান্ট মাইন্ড তৈরি হয়। এটা একটা চেইন প্রক্রিয়া। ভালো, আরো ভালো তৈরির পথ তৈরি করে।
জার্মানির বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গনে হাঁটবেন, দেখবেন পৃথিবী সেরা বিজ্ঞানী, দার্শনিক, সাহিত্যিকদের ভাস্কর্য। তাদের জীবনগাঁথা। তাদের পদচিহ্ন। সেসব পরিবেশে আপনি গিয়ে নেতার শ্লোগান দিলে, নেতার পোস্টার লাগালে, গর্দান ধরে বের করে দিবে ক্যাম্পাস থেকে। কারণ মূর্খকে ওরা সময় থাকতেই দমন করে। যেনো একটা মূর্খ, আরো দশজনকে মূর্খের পর্যায়ে নামাতে না পারে। ওরা জানে, একটা সমৃদ্ধশালী সংস্কৃতি গড়তে যুগের পর যুগ সাধনা করতে হয়। কিন্তু সেটা ধ্বংস করতে একটা অনিয়মই যথেষ্ট। জার্মানির বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে দেখবেন, ওদের শিক্ষক-গবেষক, শিক্ষার্থীরা ঘড়ির কাটার সাথে কতোটা মেপে চলে। প্রোডাক্টিভিটি নিয়ে ওদের কতো পরিকল্পনা। যোগ্যতার প্রশ্নে ওরা অটল। শিক্ষার গুণের প্রশ্নে আপোসহীন। ওরা জানে, আলো তৈরির জায়গায়, অন্ধকার মন দিয়ে ভরে রাখা যায় না। এজন্যই ওদের আবিষ্কার-উদ্ভাবনের সংস্কৃতি এতো ভাইব্রেন্ট, এতো জীবন্ত, এতো জাগ্রত। পৃথিবীকে ওরা এমনি এমনি নেতৃত্ব দেয় না। ২-৭-২৪। https://www.facebook.com/rauful.alam15
আপনার মতামত লিখুন :