শিরোনাম

প্রকাশিত : ০৯ জুলাই, ২০২৪, ১২:০৯ রাত
আপডেট : ০৯ জুলাই, ২০২৪, ১২:০৯ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের আন্দোলনে সবার নৈতিক সমর্থন থাকা উচিত

খোরশেদ আলম

খোরশেদ আলম: [১] দেশ-বিদেশে নিরাপদ দূরত্বে বসে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের চলমান কর্মবিরতি নিয়ে ফেসবুক গরম করার আগে নিজে নিজেকে আস্ক করে দেখেনে যে, বাংলাদেশের নানাবিধ সংকটকালে ন্যায্য দাবিতে আপনি কবে-কখন মাঠে নেমেছেন। ছাত্রাবস্থায় কি আপনি নিজের বা অন্যের ন্যায্য দাবিতে কোনো আন্দোলনে শরিক হয়েছিলেন? প্রফেশনে এসে কি আপনি নিজের বা অন্যের কোনো ন্যায়সঙ্গত দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন আজতক? আপনি যদি নিজে ন্যায্যতা ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠার স্বার্থে কখনও কোনো ধরনের আন্দোলন-সংগ্রাম-প্রতিবাদে শরিক না হন, ন্যায় প্রতিষ্ঠায় আপনার যদি ক্ষতি বা ক্ষত স্বীকারের মানসিকতা না থাকে, তবে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের দুষছেন কোন প্রত্যাশায়, কোন নৈতিকতার মানদণ্ডে?! অন্যকে মিষ্টি না খাওয়ার পরামর্শ দেওয়ার আগে নিজেকে চিনি কম খাওয়া শিখতে হবে। এটাই মহানবীর শিক্ষা। 

[২] বাংলাদেশের বিদ্যামান বাস্তবতায় একটা পেশায় থেকে সে পেশার সমালোচনা করা অতো ইজি কর্ম নয়। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সীমিত’ স্বাধীনতার সুযোগ নিয়ে অসীম সাহসের সাথে অনেক শিক্ষককেই রাষ্ট্রীয় অনাচার ও অব্যবস্থাপনা নিয়ে কথা বলতে দেখা যায়। ২০০৭ সালের ১/১১ মুভমেন্টে জেল খেটেছেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকরাই। অন্য কোনো পেশার লোকজনকে সেদিন সোচ্চার হতে দেখা যায়নি। আপনি নিজে এখন যে পেশায় আছেন, সরকারি কিংবা বেসরকারি, কখনও কি তাদের অনাচারের প্রতিবাদ কিংবা সমালোচনা করেছেন পাবলিকলি? নিজ আরশিতে একবার চোখ রাখুন। 

[৩] বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন ও কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের ডাকে সারাদেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মবিরতি চলছে। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষক সমিতিসমূহের দলদাসত্ব নিয়ে বিভিন্ন সময় আমরা কথা বলি। ভবিষ্যতেও তা অব্যহত থাকবে। কিন্তু মনে রাখতে হবে যে, এগুলো পেশাজীবী সংগঠন। দেশের আর পাঁচটা পেশাজীবী সংগঠনের মতোই তারা পেটি-স্বার্থে অনেক ন্যায্য ইস্যুতে চুপ থাকে এবং ক্ষেত্র-বিশেষ সরকারের বি-টিম হিসেবে কাজ করে। ন্যায্য ইস্যুতে তাদের নিরবতা কিংবা দলান্ধতার সমালোচনা অবশ্যই জারি রাখা উচিত। কিন্তু তাদের বাইরেও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্কসহ অপরাপর শিক্ষক সংগঠনের ব্যানারে এবং ইনডিভিজ্যুয়ালি অনেক শিক্ষকই নানান ইস্যুতে সারাবছর সরব থাকেন। সে সব ভুলে গেলে ভুল হবে।  

[৪] নতুন পেনশন স্কিম কার্যকর হলে এ মাস থেকে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। অলরেডি নিয়োগপ্রাপ্ত কেউই এই স্কিমের আওতায় পড়বে না বলেই জানি। যদি তাই হয় তবে, চলমান কর্মবিরতি যারা অর্গানাইজ করছেন তারা কিন্তু তাদের নিজম্ব স্বার্থ মাথায় রেখে এটা করছেন না। বরং অনাগতরা যেন এ স্কিমের কোপানলে না পড়েন তা নিশ্চিত করতে চাইছেন। সে অর্থে এটি একটি ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠার আন্দোলন, যার একটি পরোপকারী চরিত্র আছে। এ আন্দোলনে সবার নৈতিক সমর্থন থাকা উচিত। ৫ জুলাই ২৪। যঃঃঢ়ং://িি.িভধপবনড়ড়শ.পড়স/শযধ.ধষধস.১

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়