শিরোনাম
◈ জাতীয় সংসদের আসন ৬০০ করার সুপারিশ নারী সংস্কার কমিশনের ◈ ১১ ওভারের মধ্যে জিতেও বিদায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের, বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ◈ অফিস সময়ে সভা করতে সম্মানী নয়: জ্বালানি উপদেষ্টা ◈ হজ ফ্লাইট ২৯ এপ্রিল, বিড়ম্বনা ও দুর্ভোগ ছাড়াই হজে যাবেন যাত্রীরা ◈ নারী সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন ছাপিয়ে বিলি করা হবে: ড. ইউনূস ◈ ৪ বিয়ে করে বিপাকে বৃদ্ধ, থানায় দেখা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে ◈ প্রধানমন্ত্রী নয়, মন্ত্রিপরিষদ শাসিত সরকার চায় এনসিপি: নাহিদ ইসলাম ◈ ইসরাইলিদের আল-আকসা মসজিদ ধ্বংস করার গুঞ্জন, ফিলিস্তিনের সতর্কবার্তা ◈ শেখ মুজিবের ছবি অপসারণের ঘটনায় শিক্ষার্থী বহিষ্কার, ছাত্রদলের প্রতিবাদ ◈ বড় হারে অনিশ্চয়তায় বাংলাদেশের বিশ্বকাপ স্বপ্ন 

প্রকাশিত : ০৮ জুলাই, ২০২৪, ০৪:৪৪ সকাল
আপডেট : ০৮ এপ্রিল, ২০২৫, ১১:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

একটা সময় ছিলো যৌক্তিক আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকেরা এককাতারে দাঁড়িয়ে দাবি তুলতেন

নাদিম মাহমুদ

নাদিম মাহমুদ: একটা সময় ছিলো যৌক্তিক আন্দোলনগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকরা এককাতারে দাঁড়িয়ে দাবি তুলত। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত প্রতিবাদ-সমাবেশ অব্যহত থাকত। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে আপনি যদি লক্ষ্য করেন, দেখবেন ছাত্রদের নায্য দাবি আদায়ের মিছিল-সমাবেশগুলোতে কেবল ছাত্ররা অংশগ্রহণ করছে, গুটিকয়েক মেরুদণ্ডওয়ালা শিক্ষক ব্যতিত অধিকাংশ শিক্ষকই মুখে কলুপ এটে বসে থাকত। তাঁরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনগুলোতে কণ্ঠ মিলাতে ভয় পান। আবাসিক হল থেকে তাড়িয়ে দেয়া, পিটুনি খাওয়া শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ায় না, ছাত্র সংগঠনগুলোর হাতে নির্যাতিত শিক্ষার্থীদের আগলে রাখেন না, ডিজিটাল সিকিউরিটির নামে চেপে দেয়া আইনে শিক্ষার্থী গ্রেপ্তারে তাঁদের মন খারাপ হয় না। সহকর্মীদের দ্বারা যৌন নিপীড়নের শিকার শিক্ষার্থীদের রক্ষায় প্রতিবাদ করেন না। হুটহাট বাড়িয়ে দেয়া বর্ধিত ফি বিরুদ্ধে কণ্ঠ ধারণ করেন না।

এসব না করার খেসারতে শিক্ষকদের পাশেও শিক্ষার্থীদের দেখি না। ছাত্র-শিক্ষক যে সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আবেশময় হওয়ার কথা, সেই জায়গা থেকে যোজন-যোজন দূরুত্বে। ফলে আজকে শিক্ষকদের একটি নায্য দাবির পক্ষে কোনো শিক্ষার্থী শিক্ষকদের আন্দোলনে শরিক হতে দেখলাম না। সামাজিক-যোগাযোগ মাধ্যমেও তাঁদের পক্ষে শিক্ষার্থীরা দুটি কথা লিখল না। আবার শিক্ষার্থীদের কোটা-বিরোধী আন্দোলনেও অধিকাংশ শিক্ষক মুখ-বন্ধ করে ছিল, থাকছে কিংবা থাকবে। এই সম্পর্কগুলোর মিলনবন্ধন তৈরি না হওয়ায় স্বার্থপন্থি আন্দোলন একক কাঠামোতে হচ্ছে। শিক্ষকদের আন্দোলনগুলোতে ছাত্ররা থাকছে না, আর শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে শিক্ষকরা। 

ফলে শাসকগোষ্ঠিদের এইসব আন্দোলন-সংগ্রাম দমন করতে কোনো বেগ পেতে হয় না। নায্য দাবির প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর স্থিমিত হয়ে যায়। ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনে দাবি আদায় কিংবা রাস্তা অবরোধে প্রতিবাদ জোরদার কেবল বাংলাদেশেই সম্ভব হয়। রাজনৈতিক মতাদর্শের ভেদাভেদ ভুলে সাধারণ স্বার্থ আন্দোলনগুলোতেই কেন তাঁরা একাট্টা হন? কেন তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষক কিংবা শিক্ষা-গবেষণার স্বার্থে একাট্টা হন না, গবেষণা বাজেট বাড়াতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করেন না? রাস্তা অবরোধ করেন না? ৬ জুলাই ২০২৪।  https://www.facebook.com/Nadim09

 

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়