শিরোনাম
◈ মাসে অতিরিক্ত ২৫০ মিলিয়ন ডলার গুনতে হবে মার্কিন শুল্ক থাকলে  ◈ ভারতের সঙ্গে কাশ্মীর নিয়ে দ্বন্দ্বের প্রসঙ্গ বাংলাদেশের কাছে তুলল পাকিস্তান ◈ মেরে না ফেলা পর্যন্ত ভারত, ‘র’ আর আ.লীগের বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত থাকবে: হাসনাত আবদুল্লাহ ◈ ‘চীন সরকারের হাসপাতাল নীলফামারীতে হবে’ ◈ বাংলাদেশ ভ্রমণে মার্কিন নাগরিকদের জন্য সতর্কতা ◈ বাসাবাড়িতে নতুন গ্যাস সংযোগ নিয়ে তিতাসের সতর্কবার্তা ◈ দেশের বাজারে আবার বাড়লো স্বর্ণের দাম, দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ◈ প্রশাসন কার পক্ষে,পাল্টাপাল্টি অভিযোগে এনসিপি - বিএনপি ◈ প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের বেতনস্কেলের প্রস্তাব বাস্তবায়নে কাজ চলছে: গণশিক্ষা উপদেষ্টা ◈ জাতীয় সংসদের আসন ৬০০ করার সুপারিশ নারী সংস্কার কমিশনের

প্রকাশিত : ০৭ জুলাই, ২০২৪, ০২:৫০ রাত
আপডেট : ১৭ এপ্রিল, ২০২৫, ০৮:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

 কাফকা ও মেয়েটির হারিয়ে যাওয়া পুতুল

দেবদুলাল মুন্না

দেবদুলাল মুন্না: ফ্রান্স কাফকা অবিবাহিত ছিলেন। চৌত্রিশ বছর বয়সে তিনি একবার ঘুরতে বের হন ইউরোপের বিভিন্ন দেশ। একদিন বার্লিনের পার্কে হাঁটছিলেন। হঠাৎ দেখেন,  একটি ছোট্ট মেয়ে কান্না করছে। কারণ সে তার প্রিয় পুতুল হারিয়ে ফেলেছে। কোথায় হারিয়েছে মনে নেই। কাফকা মেয়েটির বাবা-মায়ের অনুমতি নিয়ে মেয়েটিকে নিয়ে অনেকক্ষণ পুতুল খুঁজলেন। পেলেন না। কাফকা মেয়েটিকে পরের দিন আবার সেখানে আসতে বললেন। উদ্দেশ্য, আবার তাঁরা দু’জনে মিলে হারিয়ে যাওয়া পুতুলটি খুঁজবেন সেখানে। কিন্তু পরের দিনও পুতুলটিকে খুঁজে পাওয়া গেলো না। তখন কাফকা সেই মেয়েটিকে একটি চিঠি দিলেন। আর বললেন, এই চিঠিটি তোমার হারিয়ে যাওয়া পুতুলের লেখা। মেয়েটি বিশ্বাস করলো। চিঠিতে লেখা ছিলো, ‘প্লিজ তুমি কেঁদো না। আমি পৃথিবী দেখতে বেরিয়েছি। আমি আমার রোমাঞ্চকর ভ্রমণকাহিনি তোমাকে নিয়মিত লিখে জানাব।’

এরপর থেকে মেয়েটিকে নিয়মিত কাফকা চিঠি লেখতেন। মেয়েটির মা ছিলেন কাফকার সাহিত্যের একজন পাঠক। তিনি তার ছোট মেয়েটিকেও প্রশ্রয় দিতেন। সেজন্য তিনি কাফকাকে বাসার পোস্টাল ঠিকানা দিয়েছিলেন। কাফকার চিঠি আসত মেয়েটির কাছে। নিচে লেখা থাকত, ইতি তোমার  হারিয়ে যাওয়া পুতুল। চিঠিগুলোতে বিভিন্ন জায়গা ঘুরে বেড়ানোর বিবরণ থাকত। এভাবে কেটে গেলো বছর দুই। কাফকা একটি পুতুল কিনে মেয়েটির সঙ্গে দেখা করতে এলেন, বললেন, এই নাও, তোমার হারিয়ে যাওয়া সেই পুতুল। মেয়েটি বললো, এই পুতুলটি মোটেও আমার হারিয়ে যাওয়া পুতুলের মতো না। কাফকা বললেন, সে ভ্রমণ করতে করতে অনেক পাল্টে গিয়েছে। 

ছোট্ট মেয়েটি তখন নতুন পুতুলটিকে বুকের সাথে জড়িয়ে ধরল এবং অপার আনন্দে ভাসল। এর এক বছর পর কাফকা মারা যান। তারপর বহু বহু বছর পর সেই মেয়েটি যখন বড়ো হয়। তখন এক সন্ধ্যায় পুরনো জিনিস খোঁজার ফাঁকে সেই পুতুলের ভেতর থেকে একটা কাগজ পড়তে দেখে কৌতুহলী হয়ে পড়তে শুরু করে, সেই চিঠিতে লেখা, Everything you love will probably be lost, but in the end, love will return in another way : Franz Kafka. অবশ্য কাফকা মারা যাওয়ার আগে একটি টিভি ইন্টারভিউতে বলেন, আমি ওই ছোট মেয়েটির সাথে দেখা হওয়ার পর যতো জায়গায় যেতাম সেখানেই আমার চোখজোড়া একটা হারিয়ে যাওয়া পুতুল সম্ভবত খুঁজত। অথচ পুতুলটিকে আমি চিনতাম না। নিজেইবা কেন পুতুল সেজে চিঠি লেখতাম কে জানে।  Kafka, the Lost Doll and the Little Girl  থেকে। লেখক: সাংবাদিক 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়