শিরোনাম
◈ ভারতের সঙ্গে কাশ্মীর নিয়ে দ্বন্দ্বের প্রসঙ্গ বাংলাদেশের কাছে তুলল পাকিস্তান ◈ মেরে না ফেলা পর্যন্ত ভারত, ‘র’ আর আ.লীগের বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত থাকবে: হাসনাত আবদুল্লাহ ◈ ‘চীন সরকারের হাসপাতাল নীলফামারীতে হবে’ ◈ বাংলাদেশ ভ্রমণে মার্কিন নাগরিকদের জন্য সতর্কতা ◈ বাসাবাড়িতে নতুন গ্যাস সংযোগ নিয়ে তিতাসের সতর্কবার্তা ◈ দেশের বাজারে আবার বাড়লো স্বর্ণের দাম, দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ◈ প্রশাসন কার পক্ষে,পাল্টাপাল্টি অভিযোগে এনসিপি - বিএনপি ◈ প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের বেতনস্কেলের প্রস্তাব বাস্তবায়নে কাজ চলছে: গণশিক্ষা উপদেষ্টা ◈ জাতীয় সংসদের আসন ৬০০ করার সুপারিশ নারী সংস্কার কমিশনের ◈ ১১ ওভারের মধ্যে জিতেও বিদায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের, বিশ্বকাপে বাংলাদেশ

প্রকাশিত : ০৭ জুলাই, ২০২৪, ০২:৪৪ রাত
আপডেট : ১২ এপ্রিল, ২০২৫, ০৬:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কী লিখি, কেন লিখি

আহসান হাবিব

আহসান হাবিব:  [১] মাঝেমাঝেই মনে হয় কেন এসব লিখছি, কি হয় লিখে? কিন্তু পরক্ষণেই এই চিন্তা হাওয়ায় মিলিয়ে যাচ্ছে, আবার লিখতে বসে যাচ্ছি। এই যে দ্বন্দ্ব এটা কিসের লক্ষণ?  তখন আমার ভাল লাগে, ভাল লাগে এই ভেবে যে আমি এখনো চিন্তা করছি এবং তা প্রকাশের তাড়না আমার ভেতরে তৈরি হচ্ছে।

[২] অনেকেই বলেন লিখছি নিজের জন্য। আমার কখনো এটা মনে হয় না। আমার মনে হয় আমি লিখছি বটে, কিন্তু সেটা আমার জন্য নয়, কারণ আমি যখনই লিখতে বসছি তখনই আমার ভেতর একটা ইচ্ছা কাজ করছে লেখাটা অন্যরা পড়ুক। যদি নিজের জন্যই হতো, তাহলে না লিখলেও চলতো, কারণ যা আমি লিখতে চাই, তা আমি জানি, সূতরাং তা লিখতে কেন হবে আমার জন্য? আসলে লিখি অন্যের জন্য। কিভাবে বুঝি? বুঝি যখন দেখি আমার লেখাটি একজনও পড়লো না, তখন মন বিষন্ন হয়। আবার কেউ যখন পড়ে, কমেন্ট করে, তখন মন ভাল হয়। অর্থাৎ আমার লেখা আমার নিজের জন্য নয়, অন্যের জন্য।

[৩] আমরা লিখে আসলে কি জানাতে চাই অপরকে? প্রধানত আনাদের চিন্তা, আমাদের দর্শন। আমরা যে প্রেমের কবিতা লিখি, সেটাও কিন্তু আমাদের প্রেমকে কি চোখে দেখি তার বয়ান। কবিতা বাড়তি আনন্দ দেয়, তার ছন্দের জন্য, তার বলবার ভঙ্গির জন্য। কিন্তু প্রকৃতপ্রস্তাব আমাদের সব লেখায় থাকে আমাদের চিন্তার বৈশিষ্ট্য যা আমাদের একে অপরকে আলাদা করে। এই যে চিন্তা যা একজন মানুষকে দার্শনিকভাবে আলাদা করে, তা কি আমরা সবসময় চিহ্নিত করতে পারি? আমার ধারণা পারি না। কারণ এটা সমাজিক বিকাশের বিজ্ঞানের সংগে জড়িত যা বুঝতে হয়। এই যে আমরা কাউকে কাউকে প্রগতিশীল বলি, কিসের ভিত্তিতে বলি? বলি তার সমাজবিকাশে ভূমিকা কি তা শনাক্ত করে। এই শনাক্তকরণ কিন্তু সহজ নয়। একটি পুঁজিবাদী সমাজে কে প্রগতিশীল তা নির্ধারণ করা হয় শোষিতের পক্ষে দাঁড়াবার জায়গাটি দেখে। আমাদের এখানে এটা দেখার দৃষ্টিভঙ্গি নাই বললেই চলে। বরং বুর্জোয়া প্রগতিশীলতাকেই এখানে একমাত্র প্রগতিশীলতা বলে মনে করা হয়। [৪] লিখি এটা জানানোর জন্য যে আমি কোন পক্ষের। নিজেকে যেহেতু দাবী করি আমি একজন প্রগতিশীল চিন্তার মানুষ, তাই আমার পক্ষ শোষিতের পক্ষে। কারণ সমাজকে বৈষম্যহীন একটি সুন্দর সুষম সমাজে বদলাবে যে অগ্রগামী শক্তি,তা এই শোষিতেরা। এটাই এই সমাজের দ্বন্দ্বকে মিমাংসার বিজ্ঞান। লেখক: কথাসাহিত্যিক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়