আজিজুর রহমান আসাদ: ৪৫ তম বিসিএস ক্যাডার প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল ২ লাখ ৬৮ হাজার ১১৯ জন। এতে উত্তীর্ণ হয় ১২ হাজার ৭৮৯জন। এই যে ১২ হাজার ৭৮৯ জন প্রিলিমিনারি পাস করেছে, এদের মধ্যে কতজনের চাকরি হবে? বিজ্ঞপ্তি অনুসারে মাত্র ২ হাজার ৩০৯ জনের। এই ২ হাজার ৩০৯ জন বাদ দিলে ২ লাখ ৬৬ হাজার মেধাবী তরুণের কী হবে? মানে যারা চাকরি পাবে না, তাঁদের প্রধান অংশটা শিক্ষিত বেকার হয়ে যাবে। বাংলাদেশে ডয়সে ভেলের তথ্য অনুসারে, ২০২৩ সালে শিক্ষিত বেকার ২৫ লাখের উপড়ে। এই ২ লাখ ৬৬ হাজারের বাইরে ২৫ লাখের উপড়ে শিক্ষিত এবং মেধাবী যারা বিসিএস দিতে পারেনি, তাঁদের কী হবে?
একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমি মুক্তিযোদ্ধা কোটা নামে কিছু থাকুক, তা চাই না। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে যে ঘৃণ্য রাজনীতি চলছে, বিশেষ করে রাজাকার আলবদরদের এবং আওয়ামী লীগ বিরোধীদের, সেটা কি শিক্ষিত মেধাবী বেকারদের চাকরির নিশ্চয়তা দেবে?
মুক্তিযোদ্ধা কোটায় কতজন চাকরি০ পাবে? এদের বাতিল করে দিলে কি সকল শিক্ষিত মেধাবীদের কর্মসংস্থান হবে? যারা রাজাকার-আলবদরের রাজনীতি করছে, এরা যেকোনো সুযোগে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা এবং মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করবে। আপনি যদি আসলেই বেকার মেধাবীদের ব্যাপারে চিন্তিত হন, আপনি এই ব্যাপক বেকারত্ব নিয়ে কেন কথা বলছেন না? আপনি কোটার পক্ষে না বিপক্ষে? এই প্রশ্নের বদলে আপনি কি শিক্ষিত বেকারদের পরিপূর্ণ কর্মসংস্থানের পক্ষে না বিপক্ষে? সেই প্রশ্ন কেন তুলছেন না? আপনি কেন কোটা প্রশ্নে রাজাকারের সঙ্গে কণ্ঠ মেলাচ্ছেন? রাজনৈতিকভাবে অসচেতন ছাত্রদের প্রভাবিত করছেন? আপনি কেন একটি মিথ্যে তথ্য প্রচার করছেন যে ৫০০০০ মুক্তিযোদ্ধার বয়স ৫০ এর নিচে। কে আপনাকে এই তথ্য দিয়েছে? রাজাকার আলবদরের সাথে কণ্ঠ মেলানো বন্ধ করুন। লেখক: গবেষক
আপনার মতামত লিখুন :