জাহিদ হোসেন: নিজেদের পেনশন, বেতন (২০১৬ সালের আন্দোলন স্মর্তব্য) নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা যতোটা কাতর এবং প্রতিবাদী, দেশের শিক্ষা নিয়ে ততোটা নন। অথচ শিক্ষা ব্যবস্থার অবনতির কারণে তাঁদেরই প্রথম ব্যথিত হওয়ার কথা। বলছি এ কারণে যে, তাঁরা দেশের সবচেয়ে শিক্ষিত শ্রেণি। সেই হিসাবে সবচেয়ে সচেতন অংশ। সেই হিসাবে সর্বনাশের আশংকাটা সবচেয়ে আগে টের পাওয়ার কথা এবং সেই হিসাবে, সবচেয়ে আগে এগিয়ে এসে জাতিকে রক্ষায় তঁদেরই সচেষ্ট হওয়ার কথা। কিন্তু হচ্ছেন না। তাঁদের কি এই সর্বনাশে কিছুই এসে যায় না?
আমার দুটি সন্তান পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছে। আমি প্রজাতন্ত্রের কর্মচারিদের সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের তুলনায় বিশ্বাস করি না। দুইজনের কাজ দুই রকম। আমি এও মনে করি যে, একজন বিদ্যানুরাগী অধ্যাপকের একদিনের ক্লাস বা এক পাতার লেখার মূল্য অনেক অনেক রাজ কর্মচারির সারা বছরের কাজের চেয়ে দামি ও স্থায়ী হতে পারে। তবুও একজন পিতা হিসাবে, সন্তানের সেশনজটমুক্ত শিক্ষাজীবন নিয়ে আমি আমার উৎকণ্ঠা জানাতেই পারি। সেটা জানিয়ে রাখলাম। কোনো অপরাধ ছাড়াই আমার সন্তান যেন শাস্তি না পায়। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :