শিরোনাম
◈ পদ্মা সেতু প্রকল্পের সমাপনী অনুষ্ঠানে ভাষণ দিবেন প্রধানমন্ত্রী ◈ সচিব সভায় সম্পদের হিসাব প্রকাশ নিয়ে মতানৈক্য ◈ ঈশ্বরদীতে প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ৫ জন নিহত ◈ বিএনপির অবস্থান সবসময় গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের বিপরীত মেরুতে: ওবায়দুল কাদের ◈ প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে শিক্ষক-কর্মচারীদের কর্মবিরতিতে অচল ৩৫ বিশ্ববিদ্যালয় ◈ ব্যয়ের ক্ষেত্রে আবারও কৃচ্ছ সাধনের নীতিতে সরকার ◈ ওমান শিগগিরই বাংলাদেশীদের জন্য ওয়ার্কিং ভিসা চালুর চেষ্টা করছে ◈ ধর্ষণ মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের মুশতাক-ফাওজিয়া ◈ সিলেট কাস্টমস কমিশনার এনামুল হকের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ ◈ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসার কিছু নেই: ড. ইউনূস

প্রকাশিত : ০১ জুলাই, ২০২৪, ০৩:৪৮ রাত
আপডেট : ০১ জুলাই, ২০২৪, ০৩:৪৮ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!

গাজী নাসিরউদ্দিন আহমেদ

গাজী নাসিরউদ্দিন আহমেদ: ঘুম থেকে উঠে দেখি ফেসবুক সমাজে আহাজারি চলছে। সুরিয়াকুমার ডেভিড মিলারের ক্যাচ নেবার সময় নাকি ওর পা বাউন্ডারি লাইন টাচ করেছে। ক্লিকখোর দু’একটা মিডিয়া হয়তো সো কলড কন্টেন্টও দিয়েছে। বাংলাদেশের মিডিয়া ও সমর্থকদের এই আচরণ নতুন কিছু না। ৩৪ বছর আগের কথা। আমরা স্কুলে পড়ি। ম্যারাডোনার আর্জেন্টিনা ও পশ্চিম জার্মানির ফুটবল বিশ্বকাপ ফাইনাল। রেফারি মেক্সিকান। ন্যাড়া মাথার কোডেসাল। নব্বই বিশ্বকাপের আলোচিত চরিত্র। কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ডকে দুইটা পেনাল্টি দিয়েছিলেন। তাতে আউট হয়ে গেছিল ওই বিশ্বকাপের সেনসেশন ক্যামেরুন। এটুকও বলে রাখি যে, ক্যামেরুনের মতো মেরে খেলতে আজ অব্দি কোন দলকে আমি দেখিনি। এনিওয়ে, ফাইনালে জঘন্যতম ফুটবল খেলা আর্জেন্টিনা হারল পেনাল্টি গোলে। লাল কার্ড খেলো দুজন। ম্যারাডোনার কান্নায় ভেঙে পড়ল বাঙালি সমাজও। 

মজার ব্যাপার হলো, যারা আর্জেন্টিনাকে পেনাল্টিনা বলে তারা জানলে দুঃখ পাবেন যে, আর্জেন্টাইন ভক্তরা একই অভিযোগ করতো বিপক্ষের বিরুদ্ধে। এপারের মুসলমান সমাজের পাশাপাশি ওপারের রূপক সাহা দাদারাও। বলে রাখি, রূপক সাহা ম্যারাডোনাভক্ত কিংবদন্তি স্পোর্টস জার্নালিস্ট। ম্যারাডোনাকে নিয়ে বইও লিখেছেন। মারা গেছেন বোধকরি। বিস্তারিত থাক। বাঙালি মিডিয়ায় শুরু হলো মাতম। কোডেসালের দাদা ছিল আর্জেন্টাইন। তাকে কুলাঙ্গার বলতেও কসুর করল না। তার চেহারাকে কটাক্ষ করে লেখালেখি। সুপ্রিম কোর্টের কোনো এক আইনজীবী মনে হয় রিটও করেছিল। জাতীয় সংসদে তোলপাড়। সরকার এবিষয়ে কিছু করতে পারে কি না তারও আব্দার উঠেছিল। 

বাংলা মিডিয়া মারফত সেসব খবর আমরা পেতাম। আর্জেন্টাইন ভক্তরা আশায় বুক বাঁধে। ফাইনাল কি আবার হবে! গল্পের মতো একটি সত্যি কাহিনি বলে শেষ করি। ১৯৭৮ সালের বিশ্বকাপ ফাইনাল হয় আর্জেন্টিনা-নেদারল্যান্ডসের মধ্যে। তো পরের বছর সম্ভবত দুদলের আবার খেলা পড়ে। প্রীতি ম্যাচ ফ্যাচ কিছু। ওয়্যার সার্ভিসে খবর তো ইংরেজিতে আসতো। এখনো তাই। দেশের প্রধান মিডিয়া তখন ইত্তেফাক। বাজারের আশি শতাংশই তার কব্জায়। তো সেই ইত্তেফাক নিউজ করেছিল, গতবারের বিশ্বকাপ ফাইনাল বাতিল করা হয়েছে। ফাইনাল খেলা আবার হবে। ঘটনাটি আমি প্রয়াত ক্রীড়া সাংবাদিক মাসুদ আহমেদ রুমির লেখা থেকে জেনেছি। বাংলাদেশে এখন বহু ইত্তেফাক। তারা কি এমন একটি খবর করবেন যে, ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে! লেখক: সাংবাদিক। ৩০-৬-২৪। ফেসবুক থেকে 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়