শিরোনাম
◈ বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক অন্যদের জন্য মডেল: প্রধানমন্ত্রী ◈ টেকনাফ সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে রোহিঙ্গা যুবক নিহত ◈ ১৫ জুলাই ঢাকা-বেইজিং সরাসরি ফ্লাইট চালু হচ্ছে  ◈ খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য মেডিকেল বোর্ডের সুপারিশ: ডা. জাহিদ ◈ এইচএসসির দ্বিতীয় দিনে আট বোর্ডে অনুপস্থিত ১০ হাজার ৪৪০ পরীক্ষার্থী ◈ কোটা বাতিলের দাবিতে শাহবাগ মোড় অবরোধ শিক্ষার্থীদের, বুধবার থেকে অবস্থান কর্মসূচি ◈ টানা ভারী বর্ষণে সাজেকে আটকা ৭ শতাধিক পর্যটক ◈ দুদকের মামলায় সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে চার্জশিট ◈ সরকারি কর্মকর্তাদের সম্পদের হিসেব দিতে হবে: হাইকোর্ট  ◈ আগস্টে বন্যার আশঙ্কা, মোকাবেলার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ

প্রকাশিত : ০১ জুলাই, ২০২৪, ০২:০৭ রাত
আপডেট : ০১ জুলাই, ২০২৪, ০২:০৭ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

‘তুফান’ অখাদ্য নয়, আবার মাস্টারপিসও মনে হয়নি! 

নভ নুভেদ আনান: ‘Chromatic passing tones পশ্চিমা সঙ্গীতের প্রায় সকল ধারার যন্ত্রশিল্পীদের দ্বারা বহুলব্যবহৃত এক হাতিয়ার। মূলত নির্দিষ্ট টোনালিটি বা স্কেলের বাইরে কিছু অতিরিক্ত নোট ব্যবহার করাকেই ‘ Chromatic passing tones’-এর সহজ ব্যাখ্যা বলা যায়। চালাকির সাথে এই হাতিয়ারের ব্যবহার করতে পারলে সহজে শ্রোতাদের আকর্ষণ কেড়ে নেওয়া যায়। তবে একটা কথা মনে রাখতে হবে যে, ‘Passing tones are passing tones’। Passing tones দিয়ে গানের একটি নির্দিষ্ট সেগমেন্ট শুরু কিংবা শেষ করে সব ধরনের দর্শকের মন জয় করে ফেলা প্রায় অসম্ভব। নির্দিষ্ট আয়োজনে নির্দিষ্ট টোনালিটির মধ্যে গান বহমান থাকাকালীন যেকোনো একটি যন্ত্র যদি ক্রোমাটিসিজম ফলো করে তাহলে বেশিরভাগ সময় পুরো আয়োজন বেসুরো এবং খাপছাড়া মনে হয়।

এবার একটু ‘তুফান’ সিনেমা নিয়ে কথা বলা যাক। এই সিনেমায় খুন জিনিসটাকে Passing tone  হিসেবে বহুবার ব্যবহার করা হয়েছে। এতবার করা হয়েছে যে হল থেকে বের হয়ে পুরো সিনেমার এই একটা জিনিস ছাড়া কারোর কিছুই মনে থাকেনি। আমার বাবা গাড়িতে বলেছে, ‘২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলায়ও এতজন মানুষ একসঙ্গে মারা যায় নাই।’ খুনকে খুবই সহজ বিষয় হিসেবেই দেখানো হয় তুফান সিনেমায়। এভাবে সমানে এতগুলো খুন করা নাকি অনেকের স্বপ্ন বিলাস (দয়া করে তাদের কেউ ডাক্তার দেখান)। খুব রোমাঞ্চকরভাবেও দেখানো হয়। অনেকগুলো খুনের পিছনে আবার তেমন কোনো লজিকই ছিলো না। তবে খুন বা ভায়োলেন্স তুফানের একমাত্র কন্টেন্ট না। খুন নামের Passing tones-এর মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে তুফান সিনেমাটাকে অনেকে হজম করতে পারেননি। তবে তার মানে এই না যে, তুফান অতি অখাদ্য।

দিনশেষে সবই পছন্দ-অপছন্দের বিষয়। আমার তুফানকে অখাদ্য মনে হয়নি। আবার মাস্টারপিসও মনে হয়নি। কিন্তু একটা ‘Unorthodox’ আয়োজন ছিল। মাত্রাতিরিক্ত খুনের ব্যাপারটাকে ইগনোর করতে পারলে তুফান সকলের কাছেই খুব খারাপ লাগবে বলে মনে হয় না। গল্পটা মাঝখানে ফ্ল্যাট হয়ে যায়। তবে আমার মনে হয় এটার একটা উদ্দেশ্য ছিল এবং সেই উদ্দেশ্য ছিল গল্পে চঞ্চল চৌধুরীর এন্ট্রির ইম্প্যাক্ট বাড়ানো (এটা শুধু আমার নিজের ধারণা)। আমার ধারণা, তুফান সিনেমার নির্মাতাদের একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল একটা ‘Jarring’ সিনেমা বানানো এবং তারা তাই করেছে। তারা যাই করতে চেয়েছে,তাই তারা যথেষ্ট সফলভাবে করতে পেরেছে। মুভিটা খুব সিরিয়াসলি নেওয়ার কিছু না। আবার খুব নেতিবাচকভাবে নেওয়ার জিনিসও না। একটা নিরাপদ এবং স্বাভাবিক দূরত্ব হতে দেখার বিষয় শুধু। গল্প, প্রোডাকশন, স্ক্রিনপ্লে নিয়ে আর কিছুই বলব না আমি, কারণ সেই কাজ আমার না। ট্রেইলার দেখে নিজে চিন্তা করে সিনেমা দেখেন, তারপর নিজে বিচার করেন। বি.দ্র. আপনি ১২ বছরের কম বয়সের কেউ হলে বা দুর্বল হৃদয়ের অধিকারী হলে তুফান আপনার জন্য না।
 লেখক: শিক্ষার্থী, একাদশ শ্রেণি, কেম্ব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়