শিরোনাম
◈ পদ্মা সেতু প্রকল্পের সমাপনী অনুষ্ঠানে ভাষণ দিবেন প্রধানমন্ত্রী ◈ সচিব সভায় সম্পদের হিসাব প্রকাশ নিয়ে মতানৈক্য ◈ ঈশ্বরদীতে প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ৫ জন নিহত ◈ বিএনপির অবস্থান সবসময় গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের বিপরীত মেরুতে: ওবায়দুল কাদের ◈ প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে শিক্ষক-কর্মচারীদের কর্মবিরতিতে অচল ৩৫ বিশ্ববিদ্যালয় ◈ ব্যয়ের ক্ষেত্রে আবারও কৃচ্ছ সাধনের নীতিতে সরকার ◈ ওমান শিগগিরই বাংলাদেশীদের জন্য ওয়ার্কিং ভিসা চালুর চেষ্টা করছে ◈ ধর্ষণ মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের মুশতাক-ফাওজিয়া ◈ সিলেট কাস্টমস কমিশনার এনামুল হকের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ ◈ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসার কিছু নেই: ড. ইউনূস

প্রকাশিত : ০১ জুলাই, ২০২৪, ০১:২৪ রাত
আপডেট : ০১ জুলাই, ২০২৪, ০১:২৪ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

তাজাকিস্তানে কেন হিজাব নিষিদ্ধ হলো?

মজিব রহমান

মজিব রহমান: তাজাক মেয়েরা অসম্ভব রকমের রূপবতী। মেয়েদের উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের হারও বাড়ছে। সরকার শিক্ষা খাতে ৩.৫০ শতাংশ ব্যয় করে। মধ্য এশিয়ার এই দেশটি চেপে বসা আরবের সংস্কৃতি থেকে বের হতে চাচ্ছে। ধর্মান্ধতার কুফল তারা উপলব্ধি করতে পেরেছে। সে কারণেই তারা নিষিদ্ধ করেছে ধর্মীয় পোশাক হিজাব। সুষ্ঠু ধারার গণতন্ত্র না থাকায় তারা সংকট মুক্ত হতে পারছে না। মাথাপিছু আয় বাংলাদেশের চেয়ে বেশি। পাহাড়ঘেঁষা মধ্য এশিয়ার দেশটি এগিয়ে যেতে চেষ্টা করছে। দেশটির সর্বোচ্চ আইনসভায় হিজাব নিষিদ্ধ এবং ইসলামিক ধর্মীয় কালচার সংক্রান্ত একটি আইনও পাস হয়েছে। এতে পোশাকসহ অন্যান্য নিয়মও যুক্ত করা হয়েছে, যার কারণে উৎসবের পোশাকেও এসেছে বিধি-নিষেধ।

দেশটির ৯৮ শতাংশ মানুষ মুসলিম, যার মধ্যে ৯৫ শতাংশ সুন্নী এবং ৩ শতাংশ শিয়া। সেখানে হিজাবের মতো পোশাককে ‘এলিয়েন গার্মেন্ট’ বা বিদেশি পোশাক বলে অভিহিত করা হয়েছে। সংসদের নিম্নকক্ষে আগেই পাস হয়েছিলো একটি বিল, এরপর সংসদের উচ্চকক্ষও নতুন বিল পাস হলো। মূলত মধ্যপ্রাচ্য থেকে হিজাব পাঠানো হয় তাজিকিস্তানে। এর সঙ্গে চরমপন্থীদের সংযোগ খুঁজে পেয়েছে প্রশাসন। সেই কারণেই এমন সিদ্ধান্ত। বিলে প্রথাগত পোশাককে লক্ষ্য করা হয়েছে। বিশেষত হিজাব। যাকে ‘এলিয়েনদের পোশাক’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। অর্থাৎ তা যেন তাজিকিস্তানের সংস্কৃতির সঙ্গে ঠিক খাপ যায় না। ঈদ উদযাপনকেও বিদেশি সংস্কৃতি বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তাই ঈদে রাস্তায় বেরিয়ে উদযাপনে মাততে পারবে না শিশুরা। উল্লেখ্য, সরকারিভাবে হিজাব নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত এখন নেওয়া হলেও বহু বছর ধরেই তাজিকিস্তানে হিজাব নিষিদ্ধ। তবে তাতে কোনও আইন ছিল না। দেশটিতে বড় দাড়ি রাখাও কার্যত নিষিদ্ধ। ২০০৭ সালে তাজিক সরকার ইসলামিক ও মিনিস্কার্টের মতো পশ্চিমা পোশাক শিক্ষার্থীদের জন্য নিষিদ্ধ করে।

নতুন আইনে জাতীয় পোশাক পরার উপরেই জোর দিয়েছে তাজিকিস্তান। নারীদের জাতীয় পোশাক পরার আর্জি জানিয়ে বার্তা পাঠাবে সরকার। ২০০৯ সাল থেকেই সেদেশের সরকারি ধর্ম ইসলাম। তবে, এরই পাশাপাশি অন্যান্য ধর্মপালনের পূর্ণ স্বাধীনতাও দিয়েছে তাজিক প্রশাসন। তাজিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানাচ্ছে, নতুন আইনে বলা হয়েছে, শিশুদের পড়াশোনা নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি সুরক্ষার দিকেও নজর দিতে হবে। সেদেশের সংস্কৃতি, শিক্ষক ও ছাত্রদের ভূমিকার কথাও বলা হয়েছে আইনে। এই আইন না মানলে শাস্তি হিসেবে দিতে হবে মোটা টাকা জরিমানা। ২২-৬-২০২৪। ফেসবুক থেকে 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়