শিরোনাম
◈ কবে দেশে ফিরবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান? (ভিডিও) ◈ যুবককে কুপিয়ে হত্যা, কেটে নিয়ে গেল হাত (ভিডিও) ◈ বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ: সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত ◈ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর হলেন তাজুল ইসলাম ◈ ‘দেহ ব্যবসা’র ভিডিও প্রতিবেদন ইস্যুতে সোহানা সাবার হুঁশিয়ারি ◈ বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা ইতালির মোনফ্যালকনে ◈ নিউইয়র্কে ইউনূস-মোদি সাক্ষাতে ঢাকার অনুরোধ, এখনো চুপ দিল্লি ◈ হদিস মিলছে না পলকের দুটি আগ্নেয়াস্ত্রের ◈ অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্ত যৌক্তিক ও সময়োপযোগী: ফখরুল ◈ ট্রাক থামিয়ে চাঁদাবাজি, যুবদল নেতাকে পুলিশে দিলো সেনাবাহিনী

প্রকাশিত : ১২ জুন, ২০২৪, ০৩:১৯ রাত
আপডেট : ১২ জুন, ২০২৪, ০৩:১৯ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বঙ্গবন্ধু পরিবার ও গান্ধী পরিবারের হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক আগের মতোই অটুট আছে

ফারদিন ফেরদৌস

ফারদিন ফেরদৌস: উনিশে মার্চ ১৯৭২ : ঢাকার বঙ্গভবনে ২৫ বছর মেয়াদী মৈত্রী চুক্তিতে সই শেষে করমর্দন করেন দুই প্রধানমন্ত্রী-ইন্দিরা গান্ধী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১০ জুন ২০২৪ : দুপুরে দিল্লির আইটিসি মৌর্য হোটেলে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাৎ করেন মিসেস সোনিয়া গান্ধী এবং তাঁর দুই সন্তান রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর সাথে। এসময় সবার সাথে ঐঁম করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এমন সম্পর্কের আন্তরিক পরম্পরা ৫৩ বছরেরও অধিককাল ধরে চলছে। একাত্তরে ইন্দিরা গান্ধীর নেতৃত্বে ভারত এক কোটিরও বেশি শরণার্থীকে আশ্রয়-আহার-চিকিৎসা দেবার ব্যবস্থা করেছে। পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালিদের স্বাধীনতা সংগ্রামে সমর্থন দিয়ে গেরিলা যোদ্ধাদের অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। স্বীকৃতির জন্য আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কূটনৈতিক প্রচারণা চালিয়েছেন। একপর্যায়ে নিজের দেশকে সরাসরি সেই যুদ্ধে জড়িয়ে ফেলেছেন। শত্রুদেশ কর্তৃক বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রাণসংহার ঠেকাতে বিশ্বব্যাপী ফলপ্রসূ তৎপরতা চালিয়েছেন। পঁচাত্তর ট্র্যাজেডির পর বঙ্গবন্ধুর কন্যাদের ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। 

আঠারো মার্চ ১৯৭২ : বঙ্গভবনে নৈশভোজে দেওয়া ভাষণে মিসেস গান্ধী বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বিরাজমান বন্ধুত্বমূলক পরিবেশকে দূষিত করার জন্য ভেতরের ও বাইরের বিরুদ্ধ মহল চেষ্টা করবে, কিন্তু মিসেস গান্ধী দৃঢ আস্থা প্রকাশ করেন যে, উভয় দেশের মৈত্রী সম্পর্ক ক্রমান্বয়ে অধিকতর শক্তিশালী ও সফল হইবে। চুক্তিটি সই হয়েছিল মিসেস গান্ধীর সফরের শেষ দিন ১৯ মার্চ। চুক্তিতে লেখা ছিল, দুই দেশ একে অন্যের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার বিষয়ে সম্মান প্রদর্শন করবে এবং কেউই একে অন্যের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে হস্তক্ষেপ করবে না। কোনো পক্ষ স্বাক্ষরকারী অপর পক্ষের বিরুদ্ধে পরিচালিত কোনো সামরিক জোটে অংশ নেবে না।
মৌর্য হোটেলে সাক্ষাৎ শেষে রাহুল গান্ধী এক বিবৃতিতে বলেছেন, বিশ্বাস, সহযোগিতা এবং পারস্পরিক প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে যে প্রাকৃতিক বন্ধন রয়েছে তা আরও জোরদার করার জন্য আমরা বিস্তৃত বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। হিন্দুস্তান টাইমস লিখেছে, শেখ হাসিনা এবং গান্ধী পরিবারের সম্পর্ক তাদের পূর্বসূরিদের মধ্যে সম্পর্কের মধ্যে খুঁজে পাওয়া যায়। শেখ হাসিনার পিতা এবং বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা নেতা শেখ মুজিবুর রহমান ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সাথে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। ইন্দিরা গান্ধী ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন, পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে সমর্থন করেছিলেন, যা দীর্ঘস্থায়ী কৃতজ্ঞতা এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধকে লালন করেছে। এখন অবশ্য ভারতের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় কংগ্রেস নেই। তাই ইন্দিরা গান্ধী প্রণীত নীতির ধারাবাহিকতাও খুব বেশি নেই। বরং নরেন্দ্র মোদি সরকারের বাংলাদেশ নীতিতে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা যবমবসড়হু'ই খুঁজে পান। তবে বঙ্গবন্ধু পরিবার ও গান্ধী পরিবারের হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক আগের মতোই অটুট আছে। ছবিগুলোই এর প্রমাণ। তথ্যসূত্র:  বিবিসি বাংলা। লেখক: সাংবাদিক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়