ডা. গুলজার হোসেন উজ্জ্বল: বাংলাদেশে ৬ মাসের শিশু থেকে ১৯ বছরের তরুণের মধ্যে রক্তস্বল্পতার হার ৪৭ শতাংশ। মানে মোট সংখ্যার প্রায় অর্ধেক। এদের মধ্যে ৬ মাস থেকে ১ বছরের শিশুদের হার সবচেয়ে বেশি। প্রায় ৭৩ শতাংশ। এরপরই আছে ১ বছর থেকে ২ বছরের মধ্যে যাদের বয়স। এদের মধ্যে রক্তস্বল্পতায় ভোগার হার ৭০ শতাংশ। পরিসংখ্যানটি ভয়াবহ। ডব্লিউএইচও বলছে, এর তুলনায় ইথিওপিয়ান শিশুরা কম রক্তস্বল্পতায় ভোগে। পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুরা রক্তস্বল্পতায় ভুগলে শিশুদের দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষতি হয়। বৃদ্ধি কম হয়, বুদ্ধিমত্তা কমে যায়, কর্মদক্ষতা ও স্পৃহা কমে যায়।
শরীরের প্রায় সবগুলো হরমোনগ্রন্থিতেই এর প্রভাব পড়ে। ছোট শিশুদের রক্তস্বল্পতায় ভোগার একটি বড় কারণ হলো গর্ভাবস্থায় মায়ের রক্তস্বল্পতা। এছাড়াও ভুল খাদ্যাভ্যাস, খাবারে অনীহা, দারিদ্র জনিত অপুষ্টি, কৃমি, বিশেষ কিছু রক্তরোগ ইত্যাদিও দায়ী। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সঠিকভাবে পৃথিবীতে বাঁচিয়ে রাখতে হলে এই জায়গাটিতে সচেতন হতে হবে। রক্তস্বল্পতা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আপাতদৃষ্টিতে কোনো সমস্যা তৈরি করে না বলে আমরা একে ইগ্নোর করি। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে এর ফল গভীর। লেখক : চিকিৎসক
আপনার মতামত লিখুন :