অধ্যাপক ডা. মো. তাজুল ইসলাম: ইজরায়েলের (ইহুদিদের) সঙ্গে লড়াইয়ে ফিলিস্তিনিদের ইহুদিদের অতীত পদ্ধতিই ব্যবহার করতে হবে। একসময় স্পেন দীর্ঘ দিন মুসলিমরা শাসন করেছিল। তখন ইহুদিরা স্বাধীন ও শান্তি পূর্ণ তাদের ধর্ম পালন করতে পারতো। কিন্তু যখন মুসলিম শাসন উৎখাত করে খ্রিস্টান শাসন শুরু হয়, শুরু হয় ইহুদিদের কাল অধ্যায়। হাজার হাজার ইহুদি হত্যা করা হয়, বাকিদের দেশ ছাড়া করা হয়। আর যারা স্পেনে থেকে যায় তারা বাহ্যিকভাবে পুরোদস্তুর খ্রিস্টান হওয়ার ভান করতো, চার্চে প্রচুর দান খয়রাত করতো, এমনকি কখনো কখনো ইহুদি বিরোধী কথা বার্তা ও বলতো। কিন্তু অন্তরে ও ঘরের ভিতর নিজ ধর্ম বিশ্বাস লালন করতেন। এদের একদল যাদের ঘৃণাভরে খ্রিস্টানরা মোরনস বা শূকর বলতো তারা এমন বাহ্যিক খ্রিস্টান হয়ে যায় যে তাদের অনেককে সরকারের উচ্চপদে ও নিযুক্ত করা হয়। এভাবে পরবর্তী ৩ শত বছরের মধ্যে স্পেনের দৃশ্য পট পুরোই বদলে যায়।
আজ যে আমেরিকা ও পশ্চিমা শক্তি (খ্রিস্টান শক্তি) মুসলিম জনগণকে কচুকাটা করে খুন করতে ইহুদি রাষ্ট্র ইজরায়েলকে সহায়তা দিচ্ছে তারাই (খ্রিস্টানরা) একসময়ে এই ইহুদিদের হত্যা করেছে ও দেশছাড়া করেছে। আজ ফিলিস্তিনি মুসলমানরা গাজায় হাজারে হাজারে মারা যাচ্ছে (যাদের বেশির ভাগ শিশু) ওই পূর্বে নির্যাতিত ইহুদিদের দ্বারাই। তাই বর্তমানে নির্যাতিত ফিলিস্তিনি মুসলমানদের টিকে থাকতে হলে স্পেনে নির্যাতিত ইহুদিরা যে কৌশল নিয়েছিল তেমনটা নিতে হবে। শহীদ হয় মরে লাভ নেই-বরং বৈরী ও শক্তিশালী প্রতিপক্ষের সঙ্গে দীর্ঘ মেয়াদি লড়াইয়ের প্রস্তুতি ও কৌশল ঠিক করতে হবে, যেহেতু তথাকথিত মুসলিম রাস্ট্র (সৌদি আরব,মিসর সহ কোনো রাষ্ট্রই) ফিলিস্তিনিদের পক্ষে সরাসরি মাঠে নামছে না, বরং ইহুদি লবি ম্যানটেইন করছে। তাই স্পেনের ইহুদিদের মতন টিকে থাকা ও শক্তি অর্জন করার দিকে মনোযোগ দিতে হবে (হয়তো তখন এদেরই কোনো পরাশক্তি ফিলিস্তিনিদের পাশেও দাঁড়াতে পারে)। লেখক: মনোবিদ
আপনার মতামত লিখুন :