আজিজুর রহমান আসাদ: বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) ধর্মজীবী শ্রেণির অস্তিত্বকে বিলীন করে দেওয়ার ভিত্তি তৈরি করেছে, প্রয়োজন রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের। ভাবুনতো, মসজিদে কোনো ইমাম বা মুয়াজ্জিন নেই। নামাজের সময় অটোমেটিক স্পিকারে আজান হচ্ছে, শব্দদূষণের মাত্রার নিচে। ইমামতি করছে একটি রোবট। আপনি জানাজা পড়াতে চান, দোয়া দরুদ পড়াতে চান, আপনার স্মার্ট ফোনকে বলুন, সে সময় ঠিক করে দেবে, যারা উপস্তিত হবে তাঁদের সংবাদ দেবে এবং অনুষ্ঠান পরিচালনা করে দেবে। আপনার সন্তানকে কোরআনে হাফেজ বানাতে চান, ঘরে বসেই সে শুনবে, শুদ্ধ উচ্চারণে পড়বে এবং কম সময়ে মুখস্থ করে ফেলবে। আপনার ধর্ম সম্পর্কে প্রশ্ন আছে, বা কোনো দোয়া জানতে চান, গুগল করেই পেয়ে যাচ্ছেন। আরবিতে কথা বলতে চান, বাংলা ও আরবি ট্রান্সলেটর আছে। এগুলি কোনো কল্পনা নয়।
তার মানে, ধর্মের রিচুয়াল ও জ্ঞান অতি পুরনো, যা রিপিটেটিভ, এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে সম্ভব, এই জ্ঞান বিতরণ ও রিচুয়াল পালন করা। ধর্ম বোঝা বা পালনের জন্য আপনার তেমন কোনো জ্ঞান চর্চার প্রয়োজন হয় না, জানবেন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা থেকে এবং বিশ্বাস করবেন। চিন্তা করে দেখুন, কত মানুষের কত কর্মঘণ্টা বেচে যাবে! মানুষ মুক্ত হবে প্রতিদিন একই ধরনের কাজ (আজান দেয়া, নামাজ পড়ানো) থেকে। এবার ভাবুন, বাংলাদেশের সকল শিশুরা বিজ্ঞান শিক্ষার সুযোগ পাচ্ছে। শিল্পকলা ও সৃজনশীল সক্ষমতা অর্জন করছে। নিজেদের প্রতিভা বিকাশের সুযোগ পাচ্ছে। তাহলে অবস্থাটা কেমন হবে? বিশাল প্রতিভাবান সৃজনশীল দক্ষ জনশক্তি, বাংলাদেশ নয়, গোটা দুনিয়ার চিত্র বদলে দিতে পারে। লেখক: গবেষক