শিরোনাম
◈ পাকিস্তানের সঙ্গে ব্যবসা বাড়াতে চায় বাংলাদেশ ◈ ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে রাজি পুতিন! ◈ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বাসভবনে আগুন ◈ এবার উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের বক্তব্য নিয়ে জামাত যে বিবৃতি দিলেন ◈ ঢাবির সাবেক ভিসি ড. আরেফিন সিদ্দিক আর নেই ◈ আছিয়ার মৃত্যুতে কাঁদছে গোটা দেশ, দ্রুত বিচারের আশ্বাস ◈ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের লিগ্যাসি অনুপ্রেরণা হিসেবে থেকে যাবে: বিসিবি সভাপতি ◈ বাংলাদেশ সৌদিতে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছে, ক্লোজড ডোর হওয়ায় ফলাফল জানাতে পারেনি বাফুফে ◈ একটি বৈধ সংসদে ধর্ষণের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য শাস্তির আইন পাশ করতে হবে : মির্জা ফখরুল  ◈ বাংলাদেশের জন্য আইএমএফের অর্থ ছাড়ের দুই কিস্তির প্রস্তাব উঠছে জুনে

প্রকাশিত : ১৬ এপ্রিল, ২০২৪, ০৩:৩৫ রাত
আপডেট : ১৬ এপ্রিল, ২০২৪, ০৩:৩৫ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

একসময় সর্বজনীন উৎসব হিসেবে ‘হালখাতা’ ছিলো বাংলা নববর্ষের প্রাণ

মীর শাহনেওয়াজ

মীর শাহনেওয়াজ: অতীতে জমিদারদের নিকট খাজনা প্রদানের অনুষ্ঠান হিসেবে ‘পূণ্যাহ’ প্রচলিত ছিলো। বাংলা বছরের প্রথম দিন প্রজারা সাধ্যমতো ভালো পোশাকাদি পরে জমিদার বাড়িতে গিয়ে খাজনা পরিশোধ করে আসতেন। তাদের মিষ্টি দিয়ে আপ্যায়নও করা হতো। জমিদারি প্রথা ওঠে যাওয়ায় ‘পূণ্যাহ’ আজ বিলুপ্ত। তবে ব্যবসায়ী সম্প্রদায় নববর্ষে হালখাতার আয়োজন করে আজও। একটি মাত্র মোটা খাতায় ব্যবসায়ীরা তাদের সারা বছরের যাবতীয় বেচাকেনার হিসাব লিখে রাখতেন। এই খাতাটি বৈশাখের প্রথম দিন নতুন করে হালনাগাদ করা হতো। হিসাবের খাতা হালনাগাদ করার এ রীতি থেকেই উদ্ভব হয় হালখাতার। পুরনো বছরের হিসাব বন্ধ করে নতুন হিসাব খোলা হয় যে খাতায়, তা-ই ‘হালখাতা’ নামে পরিচিত হয়ে ওঠে।

ব্যবসায়ের জন্য কিংবা ব্যক্তিগত সম্পর্কের কারণে হলেও দোকানদারদের বাকি দেওয়া পড়তো। এই বাকি বেচাকেনার সাথে ‘শুভ হালখাতা’ কথাটি জড়িত হয়ে পড়ে। যার সাথে বাঙালি জাতিসত্তার এক অনন্য সম্পর্ক। বাকি না থাকলে হালখাতা থাকতো না। হালখাতা না থাকলে বৈশাখের উৎসব একঘেঁয়েমি হয়ে যেতো। একঘেঁয়েমি বৈশাখের উৎসবের ফলে বাঙালি তার প্রাণের অস্তিত্ব হারাতো। ‘হালখাতা’ শুধু হিসাবের নতুন খাতা খোলা নয়, পাওনা আদায়ের পাশাপাশি ক্রেতাদের আপ্যায়নের মাধ্যমও। এই উপলক্ষে তারা নতুন-পুরাতন খদ্দের ও শুভাকাক্সক্ষীদের আমন্ত্রণ জানিয়ে রসগোল্লা, চমচম, জিলাপি, নিমকি ইত্যাদি দিয়ে মিষ্টি মুখ করান এবং নতুনভাবে তাদের সঙ্গে ব্যবসায়িক যোগসূত্র স্থাপন করেন। বছরের প্রথমদিন হালখাতার রেওয়াজ থাকলেও এটা প্রায় পুরো বৈশাখ মাস থেকে শুরু করে জ্যৈষ্ঠ মাস পর্যন্ত চলে। একসময় সর্বজনীন উৎসব হিসেবে ‘হালখাতা’ ছিলো বাংলা নববর্ষের প্রাণ, মূল উৎসব। 

ইতিহাস ঘেঁটে জানা যায়, ১৫৮৪ সালের ১০-১১ মার্চ সম্রাট আকবরের বাংলা সন প্রবর্তনের পর থেকেই ‘হালখাতা’র প্রচলন হয় তৎকালীন ভারতবর্ষে। 'পূণ্যাহ' করতে দেখেছি যখন আমি খুব ছোট ছিলাম। এটা দেখেছি শেরপুর নিউ মার্কেটের পেছনে বর্তমান মহিলা কলেজের ভিতরের প্রবেশপথের লাগোয়া বামদিকের চৌচালা টিনের ঘরটাতে। প্রবেশপথের উপরে লাল শালু কাপড়ে 'শুভ পূণ্যাহ' লেখা কাপড় টানানো থাকতো। আর স্কুল জীবনে মানে মোটামুটি ১৯৭২ পর্যন্ত; এখনও মনে পড়ে সন্ধ্যার দিকে দোকানে হালখাতা করতে যেতাম। সারা বছরের বকেয়া টাকাটা পরিশোধের জন্য বাবা আমার হাতে তুলে দিতেন, সাথে দিতেন হালখাতার দুখানা নিমন্ত্রণ কার্ড। নির্দিষ্ট দুটি দোকানে বাবা আমাকে পাঠাতেন। তেরা বাজারের ঢোকার মুখে ব্যানার্জীর দোকান (পাগলা'র দোকান) আর নয়ানি বাজারের পোদ্দার বস্ত্রালয়ে। ওই দুই জায়গাতেই টাকাটা হালখাতার হিসেবে তুলে রসগোল্লার সাথে নিমকি খেয়ে এসেছি অনেকবার। ব্যানার্জির দোকানের সুভাষ দা, রবি দা আর বাদল দা’দের কথা এখনও খুব মনে পড়ে। ফেসবুক থেকে
.

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়