ইমতিয়াজ মাহমুদ: শোনেন, কিছু মোল্লা পহেলা বৈশাখ উদযাপনকে নিয়ে নানাপ্রকার কটু কথা বলে। ওদের সাথে যুক্ত হয়েছে ওই রকম অর্থে পুরা মোল্লা না, তবে কট্টর ইসলামপন্থী রাজনৈতিক কর্মী। এসব পরাজিত, অবহেলিত, তুচ্ছ ক্যারেক্টারকে গুরুত্ব দেওয়ার কিছু নেই। ওইসব মোল্লা এবং রাজনৈতিক কর্মী এরা অথবা ওদের বড় ভাই বা পিতা বা দাদা এরা কোনো না কোনোভাবে বাঙালির নিজস্ব রাষ্ট্র গঠনের বিরুদ্ধে ছিল, ওরা হেরেছে। যুদ্ধেও হেরেছে, রাজনৈতিকভাবেও হেরেছে। বাঙালির লাত্থি গুতা খাওয়া মানুষ ওরা। ওদের উপেক্ষা করুন।
বাঙালির পহেলা বৈশাখ উদযাপন ওরা কান্নাকাটি করে বা দোয়া কালাম করে বা বেহেশত দোজখের ভয় দেখিয়ে কোনোভাবেই থামিয়ে রাখতে পারবে না। ওরা তো বোমা মেরেও চেষ্টা করেছে। পেরেছে থামাতে? পারেনি। আরে, ওরা আমাদের থামাবে কী? ওদের বাবা আইয়ুব খানকেই তো আমরা পাত্তা দিইনি। আইয়ুব খান নির্দেশ দিয়েছে রবীন্দ্রনাথ চলবে না, আর আমাদের সানজিদা খাতুন ছায়ানট নিয়ে বটগাছে নিচে বসে ধরেছেন ‘এসো হে বৈশাখ’। ওই এক সুরেই ভেসে গেছে আইয়ুব মোনায়েম।
এখন যেগুলি মোল্লা মৌলানা বা ওরদের চ্যালারা মুসলিম বা মুসলমান ধুয়া তুলে আজেবাজে কথা বলে, ওদের মুখের দিকে তাকিয়েও আমার মায়া হয়। আহারে বেচারারা। ওই এক এসো হে বৈশাখের সুরেই এদের সকল চিৎকার চ্যাঁচামেচি ভেসে যাবে। যহন আমরা গাইব, ‘বৎসরের আবর্জনা, যাক মুছে যাক যাক যাক’ বৈশাখের হাওয়া ওদের ধুয়ে ফেলবে। নববর্ষ উদযাপন করুন। ওইগুলোকে উপেক্ষা করুন। চলুন সকলে মিলে গাই, ‘এসো হে বৈশাখ, এসো এসো’। শুভ নববর্ষ। লেখক: আইনজীবী। ফেসবুক থেকে