শিরোনাম
◈ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের লিগ্যাসি অনুপ্রেরণা হিসেবে থেকে যাবে: বিসিবি সভাপতি ◈ বাংলাদেশ সৌদিতে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছে, ক্লোজড ডোর হওয়ায় ফলাফল জানাতে পারেনি বাফুফে ◈ একটি বৈধ সংসদে ধর্ষণের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য শাস্তির আইন পাশ করতে হবে : মির্জা ফখরুল  ◈ বাংলাদেশের জন্য আইএমএফের অর্থ ছাড়ের দুই কিস্তির প্রস্তাব উঠছে জুনে ◈ ঢাবিতে ধর্ষণ-নিপীড়নের বিচারসহ ৩ দাবিতে ছাত্র-জনতার মশাল মিছিল ◈ যেসব অঞ্চলে রাত ১টার মধ্যে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা ◈ সেই শিশুটির জানাজায় অংশ নিতে মাগুরায় মামুনুল-হাসনাত-সারজিস ◈ ২০২৬ সালেই এলডিসি থেকে উত্তরণ, প্রস্তুতির নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার ◈ তিন পুলিশ কর্মকর্তা বরখাস্ত ◈ মডেল মসজিদ নির্মাণে সৌদি আরব কোনো টাকা দেয়নি, হয়েছে ব্যাপক অনিয়ম: প্রেস সচিব

প্রকাশিত : ১৩ এপ্রিল, ২০২৪, ০২:৪৬ দুপুর
আপডেট : ১৩ এপ্রিল, ২০২৪, ০২:৪৬ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বাচ্চু ভাই জেলে কেনো!

পলাশ রহমান, ফেসবুক: রোমের বাংলাদেশি কম্যুনিটি নেতা বাচ্চু ভাই ইতালিয় প্রশাসনের টার্গেটে পরিণত হয়েছেন বেশ আগে থেকে। হয়তো অনেক দিন যাবৎ তার উপর নজরদারি করা হচ্ছিলো। প্রশাসন একটা সুবিধাজনক সময় খুঁজছিলো।

ক'বছর আগে রোমের প্রশাসন চারটি মসজিদ বন্ধ করে দিয়েছিলো নানা অভিযোগে। আরো কিছু বন্ধ করার ঘোষনা দিয়েছিলো। তখন রোমের মুসল্লিদের মধ্যে বেশ ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছিলো। তারা প্রতিবাদ-বিক্ষোভ করেছিলেন। মসজিদ বন্ধ করার প্রতিবাদে বাচ্চু ভাই রোমের কয়েকটি খোলা চত্বরে নামাজ আদায়ের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। হাজার হাজার মানুষকে রাস্তায় নামিয়ে এনেছিলেন। কোলাচ্ছিওর চত্ত্বরে নামাজ আদায় করে ইতিহাস সৃষ্টি করেছিলেন।

এর আগেও অভিবাসীদের অধিকার আদায়ের প্রশ্নে বাচ্চু ভাই সব সময় নেতৃত্বের প্রথম সারিতে ছিলেন। রোমের সবচেয়ে বড় এনজিওর (নিবন্ধিত সদস্যর ভিত্তিতে) নেতৃত্ব এখনো তার হাতে। তিনি কয়েকটি আর্থিক প্রকল্প নিয়েও কাজ করছেন, যার সাথে ধর্মীয় স্বার্থ জড়িয়ে আছে।

বাচ্চু ভাই একবার লাইভ টিভি অনুষ্ঠানে সে সময়ের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সালভিনির সাথে তর্ক করেছিলেন। যা ইতালি জুড়ে বেশ সমালোচিত হয়েছিলো। একজন মন্ত্রীর সাথে উনি যে ভাষায় কথা বলেছিলেন, তা অনেকেই পছন্দ করেনি। 

বাচ্চু ভাই রোম কম্যুনিটির পরিচিত মানুষ। ভিজিবিলে মানুষ। তার বাসা আছে, পরিবার আছে, স্ত্রী সন্তান আছে। কর্মস্থল আছে। সোস্যালমিডিয়ায় বিচরণ আছে। নিয়মিত সামাজিক এবং ধর্মীয় কর্মকান্ডে তাকে দেখা যায়। যে অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে তার জন্য গভীর রাতে বাড়ি ঘেরাও করার দরকার ছিলো না। পরিবারে ভীতি ছড়ানোর দরকার ছিলো না। থানায় ডেকে পাঠালেই বাচ্চু ভাই যেতেন। 

পুলিশ তাকে দিনের আলোয় গ্রেফতার করতে পারতো। গভীর রাতে কেনো? তিনি কী পালিয়ে যাচ্ছিলেন? নাকী দিনের আলোয় গ্রেফতার করলে তিনি রোমের সেই নিরো সম্রাটের আমলের মতো আগুন ধরিয়ে দিতেন?

বাচ্চু ভাই মূলত রোমের রাজপথের নেতা। রাজপথে প্রতিবাদ করতে, সমাধান খুঁজতে বেশি পছন্দ করেন। তাই বলে কী তিনি সত্যিই এতটা ভয়ঙ্কর মানুষ? উল্লেখিত অভিযোগগুলো কী সত্যিই? নাকী ষড়যন্ত্র?

এমন একটা সময় বাচ্চু ভাইকে গ্রেফতার করা হলো- যখন ইতালিজুড়ে বাংলাদেশি কম্যুনিটিকে টার্গেট করা হয়েছে। টিভিগুলো লম্বা লম্বা প্রতিবেদন (অধিকাংশ বিদ্বেষ প্রসূত) প্রচার করছে। পত্রিকাগুলো দিস্তা দিস্তা উপসম্পাদকীয় লিখছে। চারদিকে থকথক করছে- ঘৃণা আর বিদ্বেষ ছড়ানোর মাতম।

আর একটা বিষয় হলো- ইতালিতে সাধারণত কাউকে গ্রেফতার করা হলে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা না পাওয়া পর্যন্ত মিডিয়ায় নাম-ছবি প্রকাশ করা হয় না। বাচ্চু ভাইর বেলায় ঘটেছে ব্যতিক্রম। তার গ্রেফতার খবরের সাথে নাম-ছবি ফলাও করে প্রকাশ করা হয়েছে। এমন কী গতরাতের 'ইসতিরিচ্ছা নোতিচ্ছিয়ায়'ও তাদের প্রথা ভেঙ্গে বাচ্চু ভাইর ছবি দেখানো হয়েছে।
আশা করি বাচ্চু ভাই সুবিচার পাবেন। সতর্ক থাকুন। কোনো উস্কানিতে জড়াবেন না।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়