শিরোনাম
◈ কবে দেশে ফিরবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান? (ভিডিও) ◈ যুবককে কুপিয়ে হত্যা, কেটে নিয়ে গেল হাত (ভিডিও) ◈ বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ: সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত ◈ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর হলেন তাজুল ইসলাম ◈ ‘দেহ ব্যবসা’র ভিডিও প্রতিবেদন ইস্যুতে সোহানা সাবার হুঁশিয়ারি ◈ বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা ইতালির মোনফ্যালকনে ◈ নিউইয়র্কে ইউনূস-মোদি সাক্ষাতে ঢাকার অনুরোধ, এখনো চুপ দিল্লি ◈ হদিস মিলছে না পলকের দুটি আগ্নেয়াস্ত্রের ◈ অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্ত যৌক্তিক ও সময়োপযোগী: ফখরুল ◈ ট্রাক থামিয়ে চাঁদাবাজি, যুবদল নেতাকে পুলিশে দিলো সেনাবাহিনী

প্রকাশিত : ০৯ এপ্রিল, ২০২৪, ০৪:৪৯ সকাল
আপডেট : ০৯ এপ্রিল, ২০২৪, ০৪:৪৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ইতিহাসের ‘সফলতম’ নারী জলদস্যু, যার আয়ত্ত্বে ছিলো ৮০ হাজার সৈন্য!

নবীন নিউজ : ইতিহাসের সফলতম জলদস্যু একজন নারী। হ্যাঁ, অবাক লাগলেও সত্যি। সমুদ্র ছিল তার দখলে। ৮০ হাজার জলদস্যু তার আঙুলের ইশারায় উঠতো-বসতো। ১৮০০ এরও বেশি সংখ্যক যুদ্ধ জাহাজ ছিলো তার আয়ত্ত্বে। সেগুলো তার কথা অনুসারেই সমুদ্রের বিভিন্ন জাহাজ লুটপাটের কাজে নিযুক্ত ছিল। অথচ এ নারী একসময় বাস করতেন পতিতালয়ে। ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে ক্যান্টন শহরের ভাসমান পতিতালয়ে বাস করতেন এ নারী। অতঃপর সেখানেই তার সঙ্গে পরিচয় ও প্রণয় ঘটে চেং আইয়ের। যিনি ছিলেন দক্ষিণ চীন সাগরের এক ভয়ঙ্কর জলদস্যু। এক পর্যায়ে তারা বিয়ে করে সংসার বাঁধেন। বিয়ের পর থেকে স্বামীর সঙ্গে দুঃসাহসিক বিভিন্ন অভিযানেও অংশ নিতে সাহসী এই নারী। বলছি চিং শি এর কথা। ইতিহাসের সবচেয়ে কুখ্যাত এবং সফল নারী জলদস্যুদের একজন ছিলেন তিনি। তার স্বামী ছিলেন চেং আই। স্বামীর কারণেই এ নারী এতোটা সফল জলদস্যু হয়ে উঠেছিলেন। কারণ তার স্বামী চেং আই ছিলেন একজন শক্তিশাল জলদস্যু। সমুদ্রের বিভিন্ন স্থানে তার ছোট ছোট জলদস্যুর দল ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকত।
১৮০৪ সালের মধ্যেই চেং আইয়ের আয়ত্ত্বে ছিল ১২০০টি জাহাজ প্রায় ৭০ হাজার জলদস্যু। বিয়ের ৬ বছরের মাথায় ৪২ বছর বয়সে ১৮০৭ সালে, চেং আই মারা যান। এরপর চেং আইয়ের পরবর্তী উত্তরাধিকার হিসেবে দায়িত্ব চলে যায় তার পালকপূত্র চেং পো পো সই এরই উপরে। তিনি একসময় চিং শি অর্থাৎ সম্পর্কে তা মা হলেও, তার প্রেমে পড়েন। যা অবৈধ ছিল। তবুও ক্ষমতার লোভ সামলাতে না পেরে এ অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত হন চিং শি। পরবর্তীতে তাদের বিবাহ হয় এবং দস্যুরানী হয়ে ওঠেন তিনি। দ্বিতীয় স্বামীর সব দায়িত্ব নিজের ঘাড়ে তুলে নেন।
অত্যন্ত বুদ্ধিমান ও চতুর ছিলেন চিং শি। স্বামী মারা যাওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই পুরো দস্যুবাহিনীকে নিজের নিয়ন্ত্রণে আনেন। দস্যু জাহাজগুলোর জন্য একটি কঠোর আইন তৈরি করেছিলেন। তার নির্দেশ ছিলো, উপকূলীয় কোনো গ্রামবাসীদের কাছ থেকে লুটপাট করা যাবে না। এ ছাড়াও জাহাজে অপহরণ করা নারী বা শিশুর সঙ্গে কোনো দস্যু যৌনসম্পর্কে লিপ্ত হতে পারবেন না।
এ কাজ করলে তার শিরচ্ছেদ করা হবে। যদিও পরবর্তীতে এ জাতীয় কাজের কারণে অনেক দস্যুকেই চিং শি মৃত্যুদণ্ড দেন শিরচ্ছেদ করে। রিচার্ড গ্লাসপুল নামক একজন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কর্মচারী ১৮০৯ সালের সেপ্টেম্বরে চিং শি’র জলদস্যুদের হাতে ধরা পড়েন। ও বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত তাকে আটকে রাখা হয়েছিল দস্যুজাহাজে। তিনি ভয়ঙ্কর ওই অভিজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, ৮০ হাজার জলদস্যুকে একাই নিয়ন্ত্রণ করতেন এ নারী। প্রায় হাজারখানেক বড় জাহাজ এবং ৮০০টি ছোট জাহাজ এবং নৌকা ছিল তার আয়ত্ত্বে।টানা ৩ বছর সমুদ্রে দাঁপিয়ে বেড়ান এ নারী। ১৮১০ সালে চীন সরকারের কাছে ধরা পড়েন এ জলদস্যু দল। এরপর ক্ষমা প্রার্থনা করে অবসর গ্রহণ করেন চিং শি। ১৮৪৪ সালে ৬৯ বছর বয়সে মারা যান ইতিহাসের কুখ্যাত ও নিষ্ঠুর এ নারী। সূত্র: অ্যাটলাস অবসকিউর 

 

 
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়